ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
এশিয়ার সবচেয়ে বড় ধনকুবের ভারতের মুকেশ আম্বানি। গুজরাটের জামনগরে তাঁর ছেলের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠান মাতিয়ে গেছেন বিশ্বের নামীদামি সব ব্যক্তিত্ব। গত রোববার শেষ হয় তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে।
কালের কণ্ঠের লোগো এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করে তৈরি ফটোকার্ডটিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের ছবি আছে। তাতে লেখা, ‘মুকেশ আম্বানিপুত্রের বিয়েতে অতিথিদের ২ শতাংশ হারে সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করবেন ড. ইউনূস।’
আশিকুর রহমান অণু নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ফটোকার্ডটি বেশি শেয়ার হতে দেখা গেছে। সেখানে অণুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাইয়ে কালের কণ্ঠের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে পোস্ট করা এমন কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সংবাদপত্রটির ওয়েবসাইটে খুঁজেও এমন কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। বরং সংবাদপত্রটির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডের সঙ্গে ড. ইউনূসকে জড়িয়ে ভাইরাল ফটোকার্ডটির অমিল পাওয়া যায়।
যেমন: ভাইরাল ফটোকার্ডে কোনো তারিখের উল্লেখ নেই, শিরোনামেও ভিন্ন ভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়েছে। কালের কণ্ঠের একই ডিজাইনে তৈরি ফটোকার্ডগুলোতে সচরাচর এমন আলাদা রং ব্যবহার দেখা যায়নি। এ ছাড়া ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টেও ভিন্নতা দেখা গেছে।
অন্য কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রেও মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের জন্য ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ঘোষণা দেওয়ার দাবির পক্ষে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি এমন ঘোষণা দিলে স্বভাবতই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হতো।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, তার প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ খুঁজেও মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ঘোষণা দেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ড. ইউনূসের মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের ঘোষণা নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কালের কণ্ঠের ফটোকার্ডটি এডিটেড।
মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের তালিকায় ছিলেন বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, রাষ্ট্রপ্রধান ও হলিউড-বলিউড তারকারা। প্রায় ১২০০ জনের অতিথির তালিকায় জনপ্রিয় পপ তারকা রিয়ানা, বিজনেস টাইকুন বিল গেটস, ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও বলিউড তারকা শাহরুখ খানসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের উপস্থিতি না থাকলেও মুকেশ আম্বানির সঙ্গে তাঁর সখ্যের বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় ইন্টারনেট সূত্রে। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের ভেন্যুতে তোলা ড. ইউনূস, মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রীর ছবি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) পাওয়া যায়। ছবিটি ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট এক্সে টুইট করা হয়। এ ছাড়া ড. ইউনূসের নোবেল বিজয়ের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ড. ইউনূসকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন নীতা আম্বানি।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় ধনকুবের ভারতের মুকেশ আম্বানি। গুজরাটের জামনগরে তাঁর ছেলের বিবাহপূর্ব অনুষ্ঠান মাতিয়ে গেছেন বিশ্বের নামীদামি সব ব্যক্তিত্ব। গত রোববার শেষ হয় তিন দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে।
কালের কণ্ঠের লোগো এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করে তৈরি ফটোকার্ডটিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের ছবি আছে। তাতে লেখা, ‘মুকেশ আম্বানিপুত্রের বিয়েতে অতিথিদের ২ শতাংশ হারে সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করবেন ড. ইউনূস।’
আশিকুর রহমান অণু নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ফটোকার্ডটি বেশি শেয়ার হতে দেখা গেছে। সেখানে অণুকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাইয়ে কালের কণ্ঠের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে পোস্ট করা এমন কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সংবাদপত্রটির ওয়েবসাইটে খুঁজেও এমন কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। বরং সংবাদপত্রটির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডের সঙ্গে ড. ইউনূসকে জড়িয়ে ভাইরাল ফটোকার্ডটির অমিল পাওয়া যায়।
যেমন: ভাইরাল ফটোকার্ডে কোনো তারিখের উল্লেখ নেই, শিরোনামেও ভিন্ন ভিন্ন রং ব্যবহার করা হয়েছে। কালের কণ্ঠের একই ডিজাইনে তৈরি ফটোকার্ডগুলোতে সচরাচর এমন আলাদা রং ব্যবহার দেখা যায়নি। এ ছাড়া ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে ব্যবহৃত ফন্টেও ভিন্নতা দেখা গেছে।
অন্য কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রেও মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের জন্য ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ঘোষণা দেওয়ার দাবির পক্ষে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তিনি এমন ঘোষণা দিলে স্বভাবতই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হতো।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, তার প্রতিষ্ঠান ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ খুঁজেও মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের ঘোষণা দেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ ড. ইউনূসের মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের ঘোষণা নিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া কালের কণ্ঠের ফটোকার্ডটি এডিটেড।
মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অতিথিদের তালিকায় ছিলেন বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, রাষ্ট্রপ্রধান ও হলিউড-বলিউড তারকারা। প্রায় ১২০০ জনের অতিথির তালিকায় জনপ্রিয় পপ তারকা রিয়ানা, বিজনেস টাইকুন বিল গেটস, ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও বলিউড তারকা শাহরুখ খানসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের উপস্থিতি না থাকলেও মুকেশ আম্বানির সঙ্গে তাঁর সখ্যের বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায় ইন্টারনেট সূত্রে। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের ভেন্যুতে তোলা ড. ইউনূস, মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রীর ছবি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) পাওয়া যায়। ছবিটি ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট এক্সে টুইট করা হয়। এ ছাড়া ড. ইউনূসের নোবেল বিজয়ের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ড. ইউনূসকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন নীতা আম্বানি।
মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে একটি ধানের ওপর ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার নকশা করা হয়েছে— এই দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘এটা একটা ধান যার উপরে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে, ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সকল প্রসেস নকশা করা হয়েছ
২ ঘণ্টা আগেদেশে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট ৬০০ পর্যন্ত করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘কংগ্রাচুলেশনস বাংলাদেশ। ৬০০ সিসি কনফার্মড! ৩৭৫–৫৯৯ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
১৩ ঘণ্টা আগেপরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
২ দিন আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
২ দিন আগে