অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর সারা পৃথিবীতে পালিত হয় বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস। এর মূল দৃষ্টিভঙ্গি হলো, প্রতিটি গর্ভধারণ যেন হয় সুচিন্তিত ও আকাঙ্ক্ষিত। এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ২০০৭ সালে। তখন থেকে গর্ভনিরোধের ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি মূল লক্ষ্য হয়ে আছে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো, যুবক-যুবতীরা যেন তাঁদের প্রজনন ও যৌনস্বাস্থ্য সম্বন্ধে জেনে-শুনে-বুঝে সিদ্ধান্ত নেন।
আর সব বয়সী, সব লিঙ্গের ও সব পরিবেশ-পটভূমি থেকে উঠে আসা মানুষকে গর্ভনিরোধের গুরুত্ব বোঝানো; একে ব্যবহারের নানান পদ্ধতি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা দেওয়া দরকার। এর সঙ্গে যুক্ত বিষয় হিসেবে গর্ভনিরোধ পদ্ধতিগুলো সবার আওতায় আসা এবং সেগুলো সবার নাগালে আনা মানবাধিকার। এ ধরনের উদ্যোগে কেবল নারী বা বালিকাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে তা নয়, এতে পুরো পরিবার স্বাস্থ্যের উন্নতির আওতায় পড়বে।
কিন্তু এ ব্যাপারে বৈষম্য বাড়ছে। সারা বিশ্বে জাতি, গোত্র, স্থানচ্যুত মানুষের আয় আর সংগতি, সামাজিক অবস্থান, শিক্ষা—সব উপাদান একে জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে নারীরা গর্ভনিরোধের অভিগম্যতায় এসেছে খুব কম।
প্রত্যেকের নিজের প্রজননস্বাস্থ্যের ব্যাপারে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে, পরিবার পরিকল্পনা করার স্বাধীনতাও থাকবে। সবার জন্য পছন্দ করার এখতিয়ার থাকবে, পরিকল্পনা করার স্বাধীনতা থাকবে আর পছন্দ করে নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। এমন ক্ষমতায়ন হলো এবারের সংকল্প।
গর্ভনিরোধের পদ্ধতিগুলো নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষসহ সবার কাছে পৌঁছানো হবে বড় চ্যালেঞ্জ। নিম্ন আয় আর মধ্য আয়ের দেশের ২৫৭ মিলিয়ন নারী আধুনিক গর্ভনিরোধ পদ্ধতির আওতায় নেই। ফলে যৌনবাহিত রোগ, যেমন এইচআইভি বাড়ছে। আর এর পরিণতিতে হচ্ছে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ অনিরাপদ গর্ভপাত এবং প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যু।
মহাজনের বাক্য ‘সুস্থ পরিবার হয় পছন্দে, এ কোনো দৈবাৎ ঘটা ঘটনা নয়’। লিঙ্গ বা বয়স কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যকের জন্য নিরাপদ গর্ভনিরোধকে অভিগম্য করা হবে এই দিবস পালনের মূল সুর।
গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে একটি কাজ।
গর্ভনিরোধক ওষুধ যেমন আছে, তেমন আছে সার্জারি, আছে প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধ পদ্ধতি, সঙ্গমে বিরত থাকলেও হতে পারে গর্ভনিরোধ। আছে ক্যালেন্ডার পদ্ধতি।
যে মা শিশুকে স্তন্য দান করেন তাদের হতে পারে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভনিরোধ। এ ছাড়া আছে গর্ভনিরোধক ডিভাইস। আমরা জানি পরিবার পরিকল্পনার একটি উপায় হলো পরিকল্পিত গর্ভনিরোধ বা কন্ট্রাসেপশন। গর্ভনিরোধের জন্য রয়েছে হরমোন পিল আর ইনজেকশন। হরমোন পিল মুখে খাওয়ার ওষুধ। আছে সম্মিলিত মুখে গ্রহণযোগ্য গর্ভনিরোধক পিল কম্বাইন্ড অরাল কন্ট্রাসেপ্টটিভ। আছে হরমোন নয় এমন পদ্ধতিও। আছে কপার ডিভাইস, ইন্ট্রাইউটারিন ডিভাইস আর ইমপ্লান্টস, আছে নিরোধক পদ্ধতি পুরুষের জন্য কন্ডম। আছে স্ত্রী আর পুরুষ নির্বীজকরণ। যেমন—পুরুষের ভেসেক্টমি আর নারীদের টিউবাল লাইগেসন। এগুলো স্থায়ী পদ্ধতির মধ্যে পড়ে।
পদ্ধতিগুলো ব্যক্তি পছন্দের ব্যাপার। আর একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। তবে তা সবার কাছে অভিগম্য হলে আমরা পাব সুস্থ পরিকল্পিত পরিবার, সুস্থ সমাজ।
প্রতি বছর ২৬ সেপ্টেম্বর সারা পৃথিবীতে পালিত হয় বিশ্ব গর্ভনিরোধ দিবস। এর মূল দৃষ্টিভঙ্গি হলো, প্রতিটি গর্ভধারণ যেন হয় সুচিন্তিত ও আকাঙ্ক্ষিত। এই আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ২০০৭ সালে। তখন থেকে গর্ভনিরোধের ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি মূল লক্ষ্য হয়ে আছে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো, যুবক-যুবতীরা যেন তাঁদের প্রজনন ও যৌনস্বাস্থ্য সম্বন্ধে জেনে-শুনে-বুঝে সিদ্ধান্ত নেন।
আর সব বয়সী, সব লিঙ্গের ও সব পরিবেশ-পটভূমি থেকে উঠে আসা মানুষকে গর্ভনিরোধের গুরুত্ব বোঝানো; একে ব্যবহারের নানান পদ্ধতি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা দেওয়া দরকার। এর সঙ্গে যুক্ত বিষয় হিসেবে গর্ভনিরোধ পদ্ধতিগুলো সবার আওতায় আসা এবং সেগুলো সবার নাগালে আনা মানবাধিকার। এ ধরনের উদ্যোগে কেবল নারী বা বালিকাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে তা নয়, এতে পুরো পরিবার স্বাস্থ্যের উন্নতির আওতায় পড়বে।
কিন্তু এ ব্যাপারে বৈষম্য বাড়ছে। সারা বিশ্বে জাতি, গোত্র, স্থানচ্যুত মানুষের আয় আর সংগতি, সামাজিক অবস্থান, শিক্ষা—সব উপাদান একে জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে নারীরা গর্ভনিরোধের অভিগম্যতায় এসেছে খুব কম।
প্রত্যেকের নিজের প্রজননস্বাস্থ্যের ব্যাপারে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার থাকবে, পরিবার পরিকল্পনা করার স্বাধীনতাও থাকবে। সবার জন্য পছন্দ করার এখতিয়ার থাকবে, পরিকল্পনা করার স্বাধীনতা থাকবে আর পছন্দ করে নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। এমন ক্ষমতায়ন হলো এবারের সংকল্প।
গর্ভনিরোধের পদ্ধতিগুলো নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষসহ সবার কাছে পৌঁছানো হবে বড় চ্যালেঞ্জ। নিম্ন আয় আর মধ্য আয়ের দেশের ২৫৭ মিলিয়ন নারী আধুনিক গর্ভনিরোধ পদ্ধতির আওতায় নেই। ফলে যৌনবাহিত রোগ, যেমন এইচআইভি বাড়ছে। আর এর পরিণতিতে হচ্ছে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ অনিরাপদ গর্ভপাত এবং প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যু।
মহাজনের বাক্য ‘সুস্থ পরিবার হয় পছন্দে, এ কোনো দৈবাৎ ঘটা ঘটনা নয়’। লিঙ্গ বা বয়স কিংবা আর্থসামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে প্রত্যকের জন্য নিরাপদ গর্ভনিরোধকে অভিগম্য করা হবে এই দিবস পালনের মূল সুর।
গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে একটি কাজ।
গর্ভনিরোধক ওষুধ যেমন আছে, তেমন আছে সার্জারি, আছে প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধ পদ্ধতি, সঙ্গমে বিরত থাকলেও হতে পারে গর্ভনিরোধ। আছে ক্যালেন্ডার পদ্ধতি।
যে মা শিশুকে স্তন্য দান করেন তাদের হতে পারে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভনিরোধ। এ ছাড়া আছে গর্ভনিরোধক ডিভাইস। আমরা জানি পরিবার পরিকল্পনার একটি উপায় হলো পরিকল্পিত গর্ভনিরোধ বা কন্ট্রাসেপশন। গর্ভনিরোধের জন্য রয়েছে হরমোন পিল আর ইনজেকশন। হরমোন পিল মুখে খাওয়ার ওষুধ। আছে সম্মিলিত মুখে গ্রহণযোগ্য গর্ভনিরোধক পিল কম্বাইন্ড অরাল কন্ট্রাসেপ্টটিভ। আছে হরমোন নয় এমন পদ্ধতিও। আছে কপার ডিভাইস, ইন্ট্রাইউটারিন ডিভাইস আর ইমপ্লান্টস, আছে নিরোধক পদ্ধতি পুরুষের জন্য কন্ডম। আছে স্ত্রী আর পুরুষ নির্বীজকরণ। যেমন—পুরুষের ভেসেক্টমি আর নারীদের টিউবাল লাইগেসন। এগুলো স্থায়ী পদ্ধতির মধ্যে পড়ে।
পদ্ধতিগুলো ব্যক্তি পছন্দের ব্যাপার। আর একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। তবে তা সবার কাছে অভিগম্য হলে আমরা পাব সুস্থ পরিকল্পিত পরিবার, সুস্থ সমাজ।
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১০ ঘণ্টা আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১০ ঘণ্টা আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১০ ঘণ্টা আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১০ ঘণ্টা আগে