আলমগীর আলম
এখন ফ্লুর সিজন চলছে, ঘরে ঘরে জ্বর আর কাশি। স্বাভাবিকভাবে এই ফ্লু ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু প্রথম প্রকোপে আমরা অনেকটা কাবু হয়ে যাই। বিশেষ করে শিশুদের বেলায় কাশিতে কষ্টকর অবস্থা তৈরি হয়। এমন ফ্লু হলে কী করবেন? আবার ফ্লু যেন না হয়, তার জন্য কী করবেন?
এমন প্রশ্নের একটি জবাব, নিয়মিত রোজেলা চা পান করুন। রোজেলা চা হিবিস্কাস সাবডারিফা গাছের ফুল দিয়ে তৈরি একটি ভেষজ চা। বাজার থেকে চুকাই কিনে বোঁটা ফেলে ছায়ায় শুকিয়ে নিন তিন থেকে চার দিন।
চা বানাবেন যেভাবে
চার থেকে পাঁচটি শুকনা রোজেলা বা চুকাই পানিতে দিয়ে জ্বাল দিলে হালকা গোলাপি রং চলে আসবে। ওই পানি খেতে টক টক লাগবে। কিন্তু কোনো কিছু না মিশিয়ে খেয়ে নিন সেই পানি।
রোজেলা চা স্বাস্থ্যকর পানীয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশি, জ্বর ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। রোজেলা চা ভিটামিন এ, বি ও সির একটি ভালো উৎস। এটি খনিজ পদার্থ; যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ এখনো নিয়মিত রোজেলা খায় চায়ে, সবজিতে, আচার কিংবা চাটনি বানিয়ে। তাদের সিজনাল ফ্লু হয় না বললেই চলে। ফ্লু হলে আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মিত রোজেলা চা পান করুন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর বিভিন্ন নাম আছে। যেমন চুকাই, অম্ব মধু বা অম্বল মধু, চুকুল, হইলফা, মেডশ, মেট্টস বা মেস্তা ইত্যাদি। এ ছাড়া চুকুর, চুকুরি, চুপুরি, চুকোর, চুপড়, চুকা, চুক্কি, চুই, মেস্তা, খিইরুপ ইত্যাদি নামও প্রচলিত আছে। এর ফুলগুলো গভীর লাল রঙের এবং তীব্র টক স্বাদের হয়।
রোজেলা চায়ের উপকারিতা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: রোজেলা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: রোজেলা চায়ে থাকা আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: রোজেলা চায়ে থাকা আঁশ দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
লিভারের সুরক্ষা করে: রোজেলা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের সুরক্ষা করে তার ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী: রোজেলা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে পড়া বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে।
চুলের জন্য উপকারী: রোজেলা চায়ে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ চুলের জন্য উপকারী। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া রোধ করে।
একসময় আমাদের বাড়ির ঝোপঝাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মাত রোজেলা। এর চা রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। রোজেলা পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমানোর সঙ্গে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখে, ফুসফুসজনিত সমস্যায় উপকার করে। যাঁরা রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁরা রোজেলা চা দিনে দুবার খেতে পারেন। তাতে মন চঞ্চল হয়ে উঠবে এবং বুকে যত পুরোনো কফ রয়েছে, তা বের হয়ে যাবে।
লেখক: আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
এখন ফ্লুর সিজন চলছে, ঘরে ঘরে জ্বর আর কাশি। স্বাভাবিকভাবে এই ফ্লু ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু প্রথম প্রকোপে আমরা অনেকটা কাবু হয়ে যাই। বিশেষ করে শিশুদের বেলায় কাশিতে কষ্টকর অবস্থা তৈরি হয়। এমন ফ্লু হলে কী করবেন? আবার ফ্লু যেন না হয়, তার জন্য কী করবেন?
এমন প্রশ্নের একটি জবাব, নিয়মিত রোজেলা চা পান করুন। রোজেলা চা হিবিস্কাস সাবডারিফা গাছের ফুল দিয়ে তৈরি একটি ভেষজ চা। বাজার থেকে চুকাই কিনে বোঁটা ফেলে ছায়ায় শুকিয়ে নিন তিন থেকে চার দিন।
চা বানাবেন যেভাবে
চার থেকে পাঁচটি শুকনা রোজেলা বা চুকাই পানিতে দিয়ে জ্বাল দিলে হালকা গোলাপি রং চলে আসবে। ওই পানি খেতে টক টক লাগবে। কিন্তু কোনো কিছু না মিশিয়ে খেয়ে নিন সেই পানি।
রোজেলা চা স্বাস্থ্যকর পানীয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি-কাশি, জ্বর ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। রোজেলা চা ভিটামিন এ, বি ও সির একটি ভালো উৎস। এটি খনিজ পদার্থ; যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ এখনো নিয়মিত রোজেলা খায় চায়ে, সবজিতে, আচার কিংবা চাটনি বানিয়ে। তাদের সিজনাল ফ্লু হয় না বললেই চলে। ফ্লু হলে আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মিত রোজেলা চা পান করুন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর বিভিন্ন নাম আছে। যেমন চুকাই, অম্ব মধু বা অম্বল মধু, চুকুল, হইলফা, মেডশ, মেট্টস বা মেস্তা ইত্যাদি। এ ছাড়া চুকুর, চুকুরি, চুপুরি, চুকোর, চুপড়, চুকা, চুক্কি, চুই, মেস্তা, খিইরুপ ইত্যাদি নামও প্রচলিত আছে। এর ফুলগুলো গভীর লাল রঙের এবং তীব্র টক স্বাদের হয়।
রোজেলা চায়ের উপকারিতা
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: রোজেলা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি উচ্চ রক্তচাপের ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: রোজেলা চায়ে থাকা আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: রোজেলা চায়ে থাকা আঁশ দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
লিভারের সুরক্ষা করে: রোজেলা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের সুরক্ষা করে তার ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের জন্য উপকারী: রোজেলা চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে পড়া বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে।
চুলের জন্য উপকারী: রোজেলা চায়ে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ চুলের জন্য উপকারী। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল পড়া রোধ করে।
একসময় আমাদের বাড়ির ঝোপঝাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মাত রোজেলা। এর চা রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। রোজেলা পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ, যা প্রদাহ কমানোর সঙ্গে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত রাখে, ফুসফুসজনিত সমস্যায় উপকার করে। যাঁরা রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁরা রোজেলা চা দিনে দুবার খেতে পারেন। তাতে মন চঞ্চল হয়ে উঠবে এবং বুকে যত পুরোনো কফ রয়েছে, তা বের হয়ে যাবে।
লেখক: আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে