ডা. শাফেয়ী আলম তুলতুল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। এতে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা, এমনকি তাঁদের উপসর্গ মৃদু হলেও, প্রাথমিকভাবে করোনামুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় ভুগে থাকেন। আবার অনেক সময় রোগের উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। মোদ্দাকথা, একজন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত বা কোভিড হলে, ভাইরাসমুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যান, যাকে ‘লং কোভিড’ বলেও ডাকা হয়।
করোনাভাইরাস মূলত ফুসফুসের ক্ষতি করলেও হার্ট, কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গকেও এটি আক্রান্ত করে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বয়স্ক ব্যক্তিরা, যাঁদের আগে থেকেই নানা রকম শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জটিলতা হয় সবচেয়ে বেশি এবং গুরুতর। কিন্তু তরুণেরাও কোভিড-পরবর্তী বিভিন্ন রকম জটিলতার সম্মুখীন হন। যেমন:
কোভিডের পর রোগীদের কাছ থেকে বেশি যে অভিযোগটি পাওয়া যায় তা হলো, তাঁরা ক্লান্তবোধ করেন, শরীর দুর্বল লাগে, কাজ করতে হাঁপিয়ে ওঠেন, আগে যতটা পরিশ্রম করতে পারতেন, ততটা কর্মক্ষম থাকেন না। ক্ষুধা থাকলেও খাবারে রুচি থাকে না, অনেকে আবার খাবারে স্বাদ-গন্ধ পান না দীর্ঘদিন। খেতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
কোভিডের উপসর্গ হিসেবেই কাশি হয় রোগীদের। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই কাশি ভালো হতে কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যায়। এ ছাড়া শ্বাস নিতেও অনেকের সমস্যা হয়। এমনকি বুকে ব্যথার কথাও বলেন কোনো কোনো রোগী।
কোভিড মূলত ফুসফুসকে বেশি আক্রান্ত করলেও এটি কমবেশি শরীরের সব অঙ্গেরই ক্ষতি করে। অন্য অনেক ভাইরাসের মতো হাড়ের সংযোগস্থল বা গিঁটও আক্রান্ত করে আর্থরাইটিস তৈরি করতে পারে; যার ফলে গিঁটে গিঁটে ব্যথা অনুভূত হয়।
অনেকে আবার অভিযোগ করেন, কোভিড হওয়ার পর তাঁরা লক্ষ করেছেন, তাঁদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি অনেক বিষয় তাঁরা মনে রাখতে পারছেন না, সহজেই ভুলে যাচ্ছেন অনেক কিছু। এ ছাড়া কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতেও তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে আবার ভুগছেন কোভিড-পরবর্তী অবসাদ ও বিষণ্নতায়।
কোভিড একটি মহামারি, নতুন একটি অসুখ, যাতে মৃত্যুঝুঁকিও আছে, আরও আছে পরিবার-পরিজনের মাঝে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। ফলে শারীরিক কষ্ট যেমন আছে, তার সঙ্গে আছে প্রচণ্ড মানসিক চাপও। সময় নিয়ে, মনোবল ধরে রেখে, আমাদের কোভিড মোকাবিলা করতে হবে।
জটিলতা কমাতে যা করতে হবে
অনেককে দেখা যায়, তেমন উপসর্গ না থাকায় করোনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন না। কিন্তু পরে কোভিড-পরবর্তী জটিলতার শিকার হন। অনেকের হয়তো হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু অবহেলা করে যাননি, বাড়িতে চিকিৎসা যথাযথ হয়নি, কমতি থেকে গেছে, যাকে আন্ডারট্রিটমেন্ট বলে, এটি দীর্ঘ মেয়াদে ভোগান্তির অন্যতম কারণ।
সুস্থ হলেও এতে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, তাঁর ফুসফুস স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, দুর্বলতাসহ সব রকম জটিলতায় তিনি দীর্ঘদিন ভুগবেন। কোভিডে রক্ত জমাট বাঁধার একটি প্রবণতা থাকে, এই জমাট রক্ত হার্টে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনে গিয়ে স্ট্রোক করতে পারে। এগুলোও করোনা-পরবর্তী জটিলতা তৈরি করে। এসব জটিলতা এড়াতে হলে:
যা করতে হবে
করোনা-পরবর্তী জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে
লেখক: মেডিকেল অফিসার,
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। এতে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা, এমনকি তাঁদের উপসর্গ মৃদু হলেও, প্রাথমিকভাবে করোনামুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় ভুগে থাকেন। আবার অনেক সময় রোগের উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়। মোদ্দাকথা, একজন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত বা কোভিড হলে, ভাইরাসমুক্ত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যান, যাকে ‘লং কোভিড’ বলেও ডাকা হয়।
করোনাভাইরাস মূলত ফুসফুসের ক্ষতি করলেও হার্ট, কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গকেও এটি আক্রান্ত করে। ফলে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বয়স্ক ব্যক্তিরা, যাঁদের আগে থেকেই নানা রকম শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জটিলতা হয় সবচেয়ে বেশি এবং গুরুতর। কিন্তু তরুণেরাও কোভিড-পরবর্তী বিভিন্ন রকম জটিলতার সম্মুখীন হন। যেমন:
কোভিডের পর রোগীদের কাছ থেকে বেশি যে অভিযোগটি পাওয়া যায় তা হলো, তাঁরা ক্লান্তবোধ করেন, শরীর দুর্বল লাগে, কাজ করতে হাঁপিয়ে ওঠেন, আগে যতটা পরিশ্রম করতে পারতেন, ততটা কর্মক্ষম থাকেন না। ক্ষুধা থাকলেও খাবারে রুচি থাকে না, অনেকে আবার খাবারে স্বাদ-গন্ধ পান না দীর্ঘদিন। খেতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
কোভিডের উপসর্গ হিসেবেই কাশি হয় রোগীদের। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই কাশি ভালো হতে কয়েক মাস পর্যন্ত লেগে যায়। এ ছাড়া শ্বাস নিতেও অনেকের সমস্যা হয়। এমনকি বুকে ব্যথার কথাও বলেন কোনো কোনো রোগী।
কোভিড মূলত ফুসফুসকে বেশি আক্রান্ত করলেও এটি কমবেশি শরীরের সব অঙ্গেরই ক্ষতি করে। অন্য অনেক ভাইরাসের মতো হাড়ের সংযোগস্থল বা গিঁটও আক্রান্ত করে আর্থরাইটিস তৈরি করতে পারে; যার ফলে গিঁটে গিঁটে ব্যথা অনুভূত হয়।
অনেকে আবার অভিযোগ করেন, কোভিড হওয়ার পর তাঁরা লক্ষ করেছেন, তাঁদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি অনেক বিষয় তাঁরা মনে রাখতে পারছেন না, সহজেই ভুলে যাচ্ছেন অনেক কিছু। এ ছাড়া কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতেও তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। অনেকে আবার ভুগছেন কোভিড-পরবর্তী অবসাদ ও বিষণ্নতায়।
কোভিড একটি মহামারি, নতুন একটি অসুখ, যাতে মৃত্যুঝুঁকিও আছে, আরও আছে পরিবার-পরিজনের মাঝে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা। ফলে শারীরিক কষ্ট যেমন আছে, তার সঙ্গে আছে প্রচণ্ড মানসিক চাপও। সময় নিয়ে, মনোবল ধরে রেখে, আমাদের কোভিড মোকাবিলা করতে হবে।
জটিলতা কমাতে যা করতে হবে
অনেককে দেখা যায়, তেমন উপসর্গ না থাকায় করোনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন না। কিন্তু পরে কোভিড-পরবর্তী জটিলতার শিকার হন। অনেকের হয়তো হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু অবহেলা করে যাননি, বাড়িতে চিকিৎসা যথাযথ হয়নি, কমতি থেকে গেছে, যাকে আন্ডারট্রিটমেন্ট বলে, এটি দীর্ঘ মেয়াদে ভোগান্তির অন্যতম কারণ।
সুস্থ হলেও এতে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, তাঁর ফুসফুস স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, দুর্বলতাসহ সব রকম জটিলতায় তিনি দীর্ঘদিন ভুগবেন। কোভিডে রক্ত জমাট বাঁধার একটি প্রবণতা থাকে, এই জমাট রক্ত হার্টে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেনে গিয়ে স্ট্রোক করতে পারে। এগুলোও করোনা-পরবর্তী জটিলতা তৈরি করে। এসব জটিলতা এড়াতে হলে:
যা করতে হবে
করোনা-পরবর্তী জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে
লেখক: মেডিকেল অফিসার,
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
৪৩ মিনিট আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগে