মো. ইকবাল হোসেন
দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রচণ্ড দাবদাহ প্রতিটি প্রাণীর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে গেলেই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
কেমন হবে খাদ্যাভ্যাস
গরমে সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাবারের ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় এমন খাবার খেতে হবে, যা শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করবে না। সেই সঙ্গে শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করবে। এই গরমে শরীরে এই ভারসাম্য খুবই জরুরি।
ফলের রস
সারা দিনে ৫০০-৭০০ মিলিলিটার ফলের রস পান করুন। ফলের রস ভিটামিন, মিনারেল ও পানির চমৎকার সমন্বয়। হতে পারে সেটি তরমুজ, আনারস, পেঁপে, বেল, তেঁতুল কিংবা মাল্টার রস। এই ফলের জুসগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পানি। সেই সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষার প্রধান উপাদান পানি। আর পেশির কর্মক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখবে ভিটামিন ও মিনারেল।
টক দইয়ের লাচ্ছি
পর্যাপ্ত পানি, পর্যাপ্ত ভিটামিন মিনারেলের উৎস এবং প্রোবায়োটিক হিসেবে টক দইয়ের লাচ্ছি হতে পারে গরম প্রতিরোধে অন্যতম একটি খাবার। এর প্রোবায়োটিক গুণাবলি শরীরে বেশি তাপমাত্রা উৎপন্ন হওয়া প্রশমিত করে।
মাঠা-লাবান
মাঠা ও লাবানও প্রোবায়োটিক গুণাবলিসমৃদ্ধ খাবার। এগুলো শরীরে কম তাপ উৎপন্ন করবে এবং পানি ও মিনারেলের ভারসাম্য রক্ষা করবে।
পানি
আমাদের শরীরে পানির অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করা। তাই এ সময় আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি পানি পান করতে হবে। চাইলে পানিতে কিছুটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। লেবুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
অনেকে ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। ঠান্ডা পানি খেলে প্রথমেই শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে গিয়ে আরাম বোধ হয়। কিন্তু অল্প সময় পরেই গরমের অনুভূতি অনেক বেড়ে যাবে। তাই ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি সরাসরি পান না করে তার সঙ্গে ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি মিশিয়ে পান করুন।
স্যুপ
শরীরের তাপমাত্রা ও খনিজের ভারসাম্য রক্ষায় চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ হতে পারে একটি চমৎকার খাবার।
শর্করা
ভাত বা লাল আটার রুটি খাবেন। গরমে স্বস্তি পেতে বিরিয়ানি, পোলাও বা ফাস্টফুডের মতো খাবার একেবারেই খাবেন না। হোটেল বা রেস্টুরেন্টের খাবারও খাবেন না। এগুলো শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
প্রোটিন
প্রোটিনের উৎস হিসেবে শিং, পুঁটি, ট্যাংরা, পাবদা প্রভৃতি মাছের পাতলা ঝোল খেতে পারেন। মাংস যতটা সম্ভব কম খাবেন। মাংস না খাওয়াই উত্তম। খাবারে অবশ্যই মাঝারি ঘন ডাল রাখতে চেষ্টা করবেন। রান্নায় তেল-মসলার ব্যবহার কমাতে হবে।
পাতলা ঝোলের তরকারি
কম মসলাযুক্ত পাতলা ঝোলের তরকারি শরীরে কম তাপ উৎপন্ন করে বলে স্বস্তি দেয়। বেশি মসলাযুক্ত খাবার হজম করতে শরীরের বেশি সময় লাগে এবং বেশি তাপ উৎপন্ন হয়।
এ সময় লাউ, চালকুমড়া, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গার মতো সবজি পাতলা ঝোল করে খেতে পারেন। শাক অতিরিক্ত খাবেন না, পরিমিত পরিমাণে খাবেন।
ছোট ছোট এমন সচেতনতাই পারে আমাদের গরম থেকে রক্ষা করতে।
পরামর্শ: জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রচণ্ড দাবদাহ প্রতিটি প্রাণীর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে গেলেই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
কেমন হবে খাদ্যাভ্যাস
গরমে সুস্থ থাকার জন্য সঠিক খাবারের ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় এমন খাবার খেতে হবে, যা শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করবে না। সেই সঙ্গে শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করবে। এই গরমে শরীরে এই ভারসাম্য খুবই জরুরি।
ফলের রস
সারা দিনে ৫০০-৭০০ মিলিলিটার ফলের রস পান করুন। ফলের রস ভিটামিন, মিনারেল ও পানির চমৎকার সমন্বয়। হতে পারে সেটি তরমুজ, আনারস, পেঁপে, বেল, তেঁতুল কিংবা মাল্টার রস। এই ফলের জুসগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পানি। সেই সঙ্গে ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষার প্রধান উপাদান পানি। আর পেশির কর্মক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখবে ভিটামিন ও মিনারেল।
টক দইয়ের লাচ্ছি
পর্যাপ্ত পানি, পর্যাপ্ত ভিটামিন মিনারেলের উৎস এবং প্রোবায়োটিক হিসেবে টক দইয়ের লাচ্ছি হতে পারে গরম প্রতিরোধে অন্যতম একটি খাবার। এর প্রোবায়োটিক গুণাবলি শরীরে বেশি তাপমাত্রা উৎপন্ন হওয়া প্রশমিত করে।
মাঠা-লাবান
মাঠা ও লাবানও প্রোবায়োটিক গুণাবলিসমৃদ্ধ খাবার। এগুলো শরীরে কম তাপ উৎপন্ন করবে এবং পানি ও মিনারেলের ভারসাম্য রক্ষা করবে।
পানি
আমাদের শরীরে পানির অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করা। তাই এ সময় আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি পানি পান করতে হবে। চাইলে পানিতে কিছুটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন। লেবুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
অনেকে ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। ঠান্ডা পানি খেলে প্রথমেই শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে গিয়ে আরাম বোধ হয়। কিন্তু অল্প সময় পরেই গরমের অনুভূতি অনেক বেড়ে যাবে। তাই ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি সরাসরি পান না করে তার সঙ্গে ৫০ শতাংশ স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি মিশিয়ে পান করুন।
স্যুপ
শরীরের তাপমাত্রা ও খনিজের ভারসাম্য রক্ষায় চিকেন ভেজিটেবল স্যুপ হতে পারে একটি চমৎকার খাবার।
শর্করা
ভাত বা লাল আটার রুটি খাবেন। গরমে স্বস্তি পেতে বিরিয়ানি, পোলাও বা ফাস্টফুডের মতো খাবার একেবারেই খাবেন না। হোটেল বা রেস্টুরেন্টের খাবারও খাবেন না। এগুলো শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
প্রোটিন
প্রোটিনের উৎস হিসেবে শিং, পুঁটি, ট্যাংরা, পাবদা প্রভৃতি মাছের পাতলা ঝোল খেতে পারেন। মাংস যতটা সম্ভব কম খাবেন। মাংস না খাওয়াই উত্তম। খাবারে অবশ্যই মাঝারি ঘন ডাল রাখতে চেষ্টা করবেন। রান্নায় তেল-মসলার ব্যবহার কমাতে হবে।
পাতলা ঝোলের তরকারি
কম মসলাযুক্ত পাতলা ঝোলের তরকারি শরীরে কম তাপ উৎপন্ন করে বলে স্বস্তি দেয়। বেশি মসলাযুক্ত খাবার হজম করতে শরীরের বেশি সময় লাগে এবং বেশি তাপ উৎপন্ন হয়।
এ সময় লাউ, চালকুমড়া, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গার মতো সবজি পাতলা ঝোল করে খেতে পারেন। শাক অতিরিক্ত খাবেন না, পরিমিত পরিমাণে খাবেন।
ছোট ছোট এমন সচেতনতাই পারে আমাদের গরম থেকে রক্ষা করতে।
পরামর্শ: জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে