আলমগীর আলম
চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই উৎকর্ষের কালে বিভিন্ন কারণে অ্যান্টিবায়োটিককে ধন্যবাদ দিতে হয়। ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ শব্দটি শুনলেই এর ভালো ও মন্দের কথা মনে পড়ে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কারের বয়স এখনো এক শ বছর হয়নি। তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে মানুষ কী করত।
আপনি ‘ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক’ শব্দ দুটি কখনো শুনেছেন নিশ্চয়ই। এগুলো ফুসফুসসহ শরীরের নানা সংক্রমণে কাজ করে। সেগুলোই ব্যবহার করতেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা। কখনো কখনো আমরাও যে সেগুলো ব্যবহার করি না, তা নয়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সেই আদি অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর কথা আমরা ভুলে গেছি। প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের রয়েছে অসাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক রেসিপি। আর সেগুলোর আছে সংক্রমণ ও প্রদাহ দূর করার জাদুকরি শক্তি।
কীভাবে বানাবেন
» হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ (প্যাকেটের হলুদের গুঁড়া নয়)
» আদাকুচি ১ চামচ
» লেবুর রস ২ চা-চামচ
» দারুচিনিগুঁড়া আধা চা-চামচ
» ২টি গোলমরিচের গুঁড়া
» এক চিমটি লাল মরিচ
১ কাপ পানিতে জ্বাল দিন ৫ থেকে ১০ মিনিট। এরপর এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতের খাবারের পর খেয়ে নিন।
এই মিশ্রণে আছে হলুদের কারকিউমিন। হলুদে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান পার্কিনসন্স, আলঝেইমার, টিস্যুর স্থবিরতার মতো অসুস্থতা রোধে সক্ষম। এটি আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য আদান-প্রদানের পরিমাণ বাড়ায়। হতাশা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হলুদের কারকিউমিন। অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস বা কাশি, ঠান্ডা ও কফের সমস্যায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা হলুদ সেবনের পরামর্শ দিতেন।
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানসমৃদ্ধ আদাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এটি হজমে সহায়তা করে, বমি ভাব কমায়, ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যাঁরা প্রায়ই বমি ভাব অনুভব করেন, তাঁদের জন্য আদা দুর্দান্ত পথ্য। এটি পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমায়।
লেবুর অ্যালকালাইন করার ক্ষমতা আছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। টক স্বাদের এই ফল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। সেই সঙ্গে সর্দি ও ফ্লুর লক্ষণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধেও লড়াই করে। আপনি যদি কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভোগেন বা এ ধরনের কোনো ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে লেবু আপনাকে সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। এই সাইট্রাস ফলে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিডের উপস্থিত রয়েছে, যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। লেমোনেড বা
লেবুর রস মূত্রনালির পাথরের বিকাশ রোধে সাহায্য করে।
দারুচিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। এ ছাড়া এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। দারুচিনি মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ, যেমন পারকিনসন্স ও আলঝেইমার প্রতিহত করতে সহায়তা করে।
লাল মরিচে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোলন ও স্তন ক্যানসার রোধে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন ই ব্যথা কমানোর কাজ করে।
প্রাকৃতিক এই মিশ্রণে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ৭ দিন নিয়মিত সেবন করুন। দেখবেন শরীরে অনেক পরিবর্তন আসবে।
আলমগীর আলম, খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই উৎকর্ষের কালে বিভিন্ন কারণে অ্যান্টিবায়োটিককে ধন্যবাদ দিতে হয়। ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ শব্দটি শুনলেই এর ভালো ও মন্দের কথা মনে পড়ে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কারের বয়স এখনো এক শ বছর হয়নি। তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের আগে মানুষ কী করত।
আপনি ‘ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক’ শব্দ দুটি কখনো শুনেছেন নিশ্চয়ই। এগুলো ফুসফুসসহ শরীরের নানা সংক্রমণে কাজ করে। সেগুলোই ব্যবহার করতেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা। কখনো কখনো আমরাও যে সেগুলো ব্যবহার করি না, তা নয়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে সেই আদি অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর কথা আমরা ভুলে গেছি। প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের রয়েছে অসাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক রেসিপি। আর সেগুলোর আছে সংক্রমণ ও প্রদাহ দূর করার জাদুকরি শক্তি।
কীভাবে বানাবেন
» হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ (প্যাকেটের হলুদের গুঁড়া নয়)
» আদাকুচি ১ চামচ
» লেবুর রস ২ চা-চামচ
» দারুচিনিগুঁড়া আধা চা-চামচ
» ২টি গোলমরিচের গুঁড়া
» এক চিমটি লাল মরিচ
১ কাপ পানিতে জ্বাল দিন ৫ থেকে ১০ মিনিট। এরপর এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতের খাবারের পর খেয়ে নিন।
এই মিশ্রণে আছে হলুদের কারকিউমিন। হলুদে থাকা প্রদাহরোধী উপাদান পার্কিনসন্স, আলঝেইমার, টিস্যুর স্থবিরতার মতো অসুস্থতা রোধে সক্ষম। এটি আমাদের মস্তিষ্কে তথ্য আদান-প্রদানের পরিমাণ বাড়ায়। হতাশা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হলুদের কারকিউমিন। অ্যালার্জি, হাঁপানি, ব্রংকাইটিস বা কাশি, ঠান্ডা ও কফের সমস্যায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা হলুদ সেবনের পরামর্শ দিতেন।
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদানসমৃদ্ধ আদাকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এটি হজমে সহায়তা করে, বমি ভাব কমায়, ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যাঁরা প্রায়ই বমি ভাব অনুভব করেন, তাঁদের জন্য আদা দুর্দান্ত পথ্য। এটি পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমায়।
লেবুর অ্যালকালাইন করার ক্ষমতা আছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। টক স্বাদের এই ফল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। সেই সঙ্গে সর্দি ও ফ্লুর লক্ষণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধেও লড়াই করে। আপনি যদি কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভোগেন বা এ ধরনের কোনো ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে লেবু আপনাকে সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। এই সাইট্রাস ফলে প্রচুর সাইট্রিক অ্যাসিডের উপস্থিত রয়েছে, যা কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। লেমোনেড বা
লেবুর রস মূত্রনালির পাথরের বিকাশ রোধে সাহায্য করে।
দারুচিনি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায়। এ ছাড়া এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। দারুচিনি মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত রোগ, যেমন পারকিনসন্স ও আলঝেইমার প্রতিহত করতে সহায়তা করে।
লাল মরিচে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস কোলন ও স্তন ক্যানসার রোধে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন ই ব্যথা কমানোর কাজ করে।
প্রাকৃতিক এই মিশ্রণে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ৭ দিন নিয়মিত সেবন করুন। দেখবেন শরীরে অনেক পরিবর্তন আসবে।
আলমগীর আলম, খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে ওই রোগী খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন না। তাঁর নিয়মিত খাদ্যতালিকায় প্রধানত ছিল প্রক্রিয়াজাত খাবার। সবজি বা ফলে তেমন খেতেন না। কখনো কখনো সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করতেন না। তিনি গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পর নির্ধারিত ভিটামিন এবং খনিজের সাপ্লিমেন্টও গ্রহণ করা বন্ধ করে দিয়ে
১ দিন আগেদেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। এসব রোগীর মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগের আগত শিশু রোগীদের প্রায় ৫ শতাংশ কিডনির সমস্যা নিয়ে আসে। শিশুর কিডনি বিকল রোগে পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা ব
৩ দিন আগেরক্তচাপ কমাতে দৈনিক একটি বিশেষ ‘সুপারফুড’–এর ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন ২৫০ মিলি বিটরুট জুস রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
৩ দিন আগেনারী, গর্ভপাত, স্বাস্থ্য, পরিসংখ্যান, কন্যাশিশু, ভ্রূণ, পরিসংখ্যা ব্যুরো
৪ দিন আগে