আলমগীর আলম
ইরানে এটি টক চা নামে পরিচিত। ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে একে রেড সোরেল বলা হয়। মূলত আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মতো ক্যারিবিয়ান দেশ থেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটি চাষ করা হয়।
এর নাম রোজেলা। স্থানীয়ভাবে একে আমরা চুকাই বা চুকুরি বলে জানি। এখন এগুলো বাজারে পাওয়া যায়।
আমাদের দেশে ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠে রোজেলা। এটি থেরাপিউটিক উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দাঁতের ব্যথা, মূত্রনালির সংক্রমণ, সর্দি, এমনকি হ্যাংওভারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ঐতিহ্যগতভাবে।
রোজেলা চা খাওয়ার উপকারিতা
প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য: রোজেলা চা অ্যাসকরবিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ বলে এটি ভিটামিন সি নামে পরিচিত। ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি ও উদ্দীপিত করে। রোজেলার তাজা বা শুকনো ফুলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য জ্বরের মতো অস্বস্তির চিকিৎসায় সাহায্য করে রোজেলা চা।
মাসিকের ব্যথা দূর করে: মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়, হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এটি মেজাজের পরিবর্তন, বিষণ্নতা এবং অতিরিক্ত খাওয়ার মতো মানসিক লক্ষণগুলো কমাতে পারে।
ওজন কমায়: ওজন কমাতেও উপকারী। গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, রোজেলা নির্যাস স্টার্চ এবং গ্লুকোজের শোষণ কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিষণ্নতা রোধক: ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে। এগুলো স্নায়ুতন্ত্র শান্ত করতে শরীর ও মনে একটি শিথিল সংবেদন তৈরি করে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-ক্যানসার: রোজেলা ভেষজ চায়ে প্রোটোক্যাচুইক অ্যাসিড রয়েছে। এই অ্যাসিডের অ্যান্টি-টিউমার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাইওয়ানের তাইচুং-এর চুং শান মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের ডিপার্টমেন্ট এবং ইনস্টিটিউট অব বায়োকেমিস্ট্রি পরিচালিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রোজেলা অ্যাপোপটোসিসকে প্ররোচিত করে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে দেয়, যা সাধারণত প্রোগ্রামড সেল ডেথ নামে পরিচিত।
কাশি, সর্দি ও জ্বরে উপকারী: ‘হিলিং হারবাল চা’ বই অনুসারে, তাজা রোজেলা ফুলে প্রায় ৬ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড থাকে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে একটি।
রক্তচাপ কমায়: ২০০৮ সালে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবেদনে জানায়, রোজেলা চা খাওয়া প্রাক্-হাইপারটেনসিভের জন্য ভালো। এটি উচ্চ রক্তচাপযুক্ত প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। বোস্টনের টাফটস ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে রোজেলা চা ১০ পয়েন্ট পর্যন্ত রক্তচাপ কমাতে পারে। কয়েক সপ্তাহের জন্য এটি প্রতিদিন তিন কাপ খেতে হবে।
কীভাবে খাবেন
এক কাপ গরম পানিতে ৫-৬টি শুকনো রোজেলা ফুল কিছুক্ষণ রেখে দিলেই গোলাপি রঙের পানি পাওয়া যাবে। এ পানিই খেতে হবে। এটি এমনিতেই খাওয়া যায়, চাইলে মধু যোগ করতে পারেন। রোজেলা ক্যাফিন-মুক্ত হারবাল চা।
প্রতি ঋতুতে কাঁচা রোজেলা ভালো করে শুকিয়ে রাখুন সারা বছরের জন্য। তবে রোজেলা গুঁড়া দিয়ে তৈরি চা খাবেন না। যাদের রক্তচাপ কম, তারা এই চা খাবেন না। এই শীতে শরীর চাঙা রাখতে অনেক ধরনের চায়ের মধ্যে রোজেলা চা সেরা।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
ইরানে এটি টক চা নামে পরিচিত। ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে একে রেড সোরেল বলা হয়। মূলত আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর মতো ক্যারিবিয়ান দেশ থেকে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটি চাষ করা হয়।
এর নাম রোজেলা। স্থানীয়ভাবে একে আমরা চুকাই বা চুকুরি বলে জানি। এখন এগুলো বাজারে পাওয়া যায়।
আমাদের দেশে ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠে রোজেলা। এটি থেরাপিউটিক উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দাঁতের ব্যথা, মূত্রনালির সংক্রমণ, সর্দি, এমনকি হ্যাংওভারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ঐতিহ্যগতভাবে।
রোজেলা চা খাওয়ার উপকারিতা
প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য: রোজেলা চা অ্যাসকরবিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ বলে এটি ভিটামিন সি নামে পরিচিত। ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি ও উদ্দীপিত করে। রোজেলার তাজা বা শুকনো ফুলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য জ্বরের মতো অস্বস্তির চিকিৎসায় সাহায্য করে রোজেলা চা।
মাসিকের ব্যথা দূর করে: মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়, হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এটি মেজাজের পরিবর্তন, বিষণ্নতা এবং অতিরিক্ত খাওয়ার মতো মানসিক লক্ষণগুলো কমাতে পারে।
ওজন কমায়: ওজন কমাতেও উপকারী। গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, রোজেলা নির্যাস স্টার্চ এবং গ্লুকোজের শোষণ কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিষণ্নতা রোধক: ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে এতে। এগুলো স্নায়ুতন্ত্র শান্ত করতে শরীর ও মনে একটি শিথিল সংবেদন তৈরি করে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টি-ক্যানসার: রোজেলা ভেষজ চায়ে প্রোটোক্যাচুইক অ্যাসিড রয়েছে। এই অ্যাসিডের অ্যান্টি-টিউমার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাইওয়ানের তাইচুং-এর চুং শান মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজের ডিপার্টমেন্ট এবং ইনস্টিটিউট অব বায়োকেমিস্ট্রি পরিচালিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রোজেলা অ্যাপোপটোসিসকে প্ররোচিত করে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে দেয়, যা সাধারণত প্রোগ্রামড সেল ডেথ নামে পরিচিত।
কাশি, সর্দি ও জ্বরে উপকারী: ‘হিলিং হারবাল চা’ বই অনুসারে, তাজা রোজেলা ফুলে প্রায় ৬ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড থাকে। এটি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে একটি।
রক্তচাপ কমায়: ২০০৮ সালে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিবেদনে জানায়, রোজেলা চা খাওয়া প্রাক্-হাইপারটেনসিভের জন্য ভালো। এটি উচ্চ রক্তচাপযুক্ত প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। বোস্টনের টাফটস ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে রোজেলা চা ১০ পয়েন্ট পর্যন্ত রক্তচাপ কমাতে পারে। কয়েক সপ্তাহের জন্য এটি প্রতিদিন তিন কাপ খেতে হবে।
কীভাবে খাবেন
এক কাপ গরম পানিতে ৫-৬টি শুকনো রোজেলা ফুল কিছুক্ষণ রেখে দিলেই গোলাপি রঙের পানি পাওয়া যাবে। এ পানিই খেতে হবে। এটি এমনিতেই খাওয়া যায়, চাইলে মধু যোগ করতে পারেন। রোজেলা ক্যাফিন-মুক্ত হারবাল চা।
প্রতি ঋতুতে কাঁচা রোজেলা ভালো করে শুকিয়ে রাখুন সারা বছরের জন্য। তবে রোজেলা গুঁড়া দিয়ে তৈরি চা খাবেন না। যাদের রক্তচাপ কম, তারা এই চা খাবেন না। এই শীতে শরীর চাঙা রাখতে অনেক ধরনের চায়ের মধ্যে রোজেলা চা সেরা।
আলমগীর আলম, খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
যাঁরা মোবাইল বা কোনো স্ক্রিনের সামনে দীর্ঘ সময় কাটান, তাদের জন্য সতর্কবার্তা। গবেষণা বলছে, দিনে মাত্র ১ ঘণ্টা স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহারের ফলে মায়োপিয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে। মায়োপিয়ার সমস্যায় মানুষ কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখলেও দূরের বস্তু ঝাপসা দেখে।
২ দিন আগেশিশুরা ভাইরাস সংক্রমণের প্রতি খুব সংবেদনশীল, বিশেষত মৌসুম পরিবর্তনের সময়। ভাইরাসজনিত জ্বর শিশুদের জন্য সাধারণ বিষয় হলেও কখনো কখনো তা গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। যথাসময়ে টিকা দেওয়া হলে ভাইরাস জ্বরসহ নানা সংক্রামক রোগ থেকে শিশুরা সুরক্ষিত থাকে।
৩ দিন আগেনারীদের প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন ক্যানসারের মধ্যে ডিম্বাশয়ের ক্যানসার অন্যতম। এতে মৃত্যুহার খুব বেশি, ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। ডিম্বাশয়ের আবরণ, ডিম্বনালি ও পেরিটেনিয়ামের ক্যানসারকে একসঙ্গে ডিম্বাশয়ের ক্যানসার বলে। কারণ, উপসর্গ, রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসাপদ্ধতিও তাদের একই রকম। এই ক্যানসার সাধারণত..
৩ দিন আগেমেয়েদের শরীরে লোম থাকতে পারে। কিন্তু তা অতি দ্রুত ও মোটা হয়ে পুরুষের লোমের মতো মুখ, পিঠ, বুক এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উঠলে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের লোমকেই হারসুটিজম বা অবাঞ্ছিত লোম বলে।
৩ দিন আগে