গর্ভকালীন প্যানিক অ্যাটাক

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
Thumbnail image

গর্ভকালে নারীদের প্যানিক অ্যাটাক হয়ে থাকে। এটি অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার বা দুশ্চিন্তাজনিত ব্যাধির অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে ১০ শতাংশ নারী গর্ভকালীন প্যানিক অ্যাটাকে ভোগেন। এ সময় প্যানিক অ্যাটাক এড়াতে যা যা করা যেতে পারে:

  • গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ওষুধ খাওয়া যায় না। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের ধরন ও পরিমাপ নির্দিষ্ট করে খেতে হবে।
  • রিলাক্সেশন বা শিথিলায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করুন। অনলাইনে খুঁজলে পাবেন ডিপ ব্রিদিং টেকনিক, প্রগ্রেসিভ মাসল রিলাক্সেশন, গাইডেড ভিজুয়ালাইজেশন, মাইন্ডফুল এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, নিজের মনের কথাগুলো কাগজে লেখা ইত্যাদি ধরনের পদ্ধতি। সেখান থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার কোনটি ভালো লাগছে। তবে কঠিন কোনো পদ্ধতি অবলম্বনের আগে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
  • নিজের যত্নে বাড়তি সময় দিন। গর্ভকাল প্রত্যেক নারীর জীবনে এক বিশেষ মুহূর্ত। এ সময় বেশি যত্ন নারীর মৌলিক অধিকার। নিজের যত্ন নেওয়া মানেই স্বার্থপরতা নয়। নিজের জন্য ব্যায়ামের সময়, বাড়তি বিশ্রাম, বাড়তি খাবার, বাড়তি ঘুম, চাপমুক্ত থাকার অবস্থা ইত্যাদি নিজ দায়িত্বে বের বা তৈরি করে নিতে হবে।
  • পছন্দমতো সাহায্যকারী খুঁজে রাখুন। তিনি হতে পারেন আপনার বন্ধু বা পরিবারের কেউ। প্যানিক অ্যাটাক শুরু হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ওই সময়ে নির্দিষ্ট একজনের সহায়তা আপনার জন্য জরুরি হতে পারে।
  • প্যানিক অ্যাটাক কিন্তু সন্তান জন্মদানের পরপর শেষ হয়ে যাবে না। তারপর ঘুমের কষ্ট এবং আরও নতুন নতুন ঝামেলার মুখোমুখি হতে হবে আপনাকে। কাজেই প্রসব-পরবর্তী একটি পরিকল্পনা করে নিজের বিষণ্নতা, হতাশা, অসম্পূর্ণতা ইত্যাদি অনুভূতিকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • গর্ভাবস্থায় চা বা কফি ইত্যাদি পানীয় এড়িয়ে চলুন। এতে সন্তানের ওজন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. সান‌জিদা শাহ‌রিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত