বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৩৪ জন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২৫-এ নামিয়ে আনতে হবে। একইভাবে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি ১০ হাজারে ১২১ জন।
এসডিজি অর্জন করতে হলে ২০২৩ সালের মধ্যে এটি ৪০-এ নামিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে ১৮ জন। এসডিজি অর্জন করতে এটি ১২ জনে নামিয়ে আনার কথা। খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই এসব তথ্য মিলেছে। এসব তথ্য থেকে বোঝা যায়, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এসডিজি থেকে কতটা পিছিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মোটেও সহজসাধ্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ ৭ এপ্রিল বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। একই সঙ্গে উদ্যাপিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এসডিজি অর্জন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। দেশের জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের আহ্বান সার্থক হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। মৃত্যু ও অক্ষমতার বড় কারণ রোগ ও দুর্যোগ। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, একই সঙ্গে জলবায়ু সংকট বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের বায়ুদূষণে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাউন্সিল অন দি ইকোনমিকস অব হেলথ ফর অল জানিয়েছে, অন্তত ১৪০টি দেশ তাদের সংবিধানে স্বাস্থ্যকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবু দেশগুলো তাদের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন পাস করছে না। যাদের আইন রয়েছে, তারা সেগুলোর চর্চা করছে না। এটি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, পৃথিবীর ৪৫০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪-এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’।
প্রতিপাদ্য প্রসঙ্গে সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যেখানে প্রত্যেকের সর্বত্র উচ্চমানের স্বাস্থ্যসুবিধা ও পরিষেবা ভোগের সুযোগ থাকবে। তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপণ্য কিনতে পারবে এবং তাদের মর্যাদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অর্থাৎ, মানুষকে স্বাস্থ্যকরভাবে বাঁচতে সক্ষম করে তোলা, যাতে তাদের নিরাপদ পানি ও বাতাস, বাসস্থান ও পুষ্টিকর খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের অধিকার পূরণে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
বেশ কিছু অগ্রগতি সত্ত্বেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে সবার জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার বাস্তবে পরিণত করতে এখনো যথেষ্ট অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের অধিকারের প্রতি বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এই অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। দারিদ্র্য ও দুর্বলতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে সবচেয়ে বড় বাধা; যা তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য বিপর্যয়কর।
দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে ৩৪ জন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২৫-এ নামিয়ে আনতে হবে। একইভাবে মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি ১০ হাজারে ১২১ জন।
এসডিজি অর্জন করতে হলে ২০২৩ সালের মধ্যে এটি ৪০-এ নামিয়ে আনতে হবে। এ ছাড়া শিশুমৃত্যুর হার বর্তমানে প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে ১৮ জন। এসডিজি অর্জন করতে এটি ১২ জনে নামিয়ে আনার কথা। খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই এসব তথ্য মিলেছে। এসব তথ্য থেকে বোঝা যায়, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এসডিজি থেকে কতটা পিছিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন মোটেও সহজসাধ্য নয়। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ ৭ এপ্রিল বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। একই সঙ্গে উদ্যাপিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এসডিজি অর্জন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে বৈশ্বিক অঙ্গীকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। দেশের জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের আহ্বান সার্থক হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে। মৃত্যু ও অক্ষমতার বড় কারণ রোগ ও দুর্যোগ। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, একই সঙ্গে জলবায়ু সংকট বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ এবং বাইরের বায়ুদূষণে প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাউন্সিল অন দি ইকোনমিকস অব হেলথ ফর অল জানিয়েছে, অন্তত ১৪০টি দেশ তাদের সংবিধানে স্বাস্থ্যকে মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবু দেশগুলো তাদের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন পাস করছে না। যাদের আইন রয়েছে, তারা সেগুলোর চর্চা করছে না। এটি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, পৃথিবীর ৪৫০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪-এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’।
প্রতিপাদ্য প্রসঙ্গে সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বলেছেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যেখানে প্রত্যেকের সর্বত্র উচ্চমানের স্বাস্থ্যসুবিধা ও পরিষেবা ভোগের সুযোগ থাকবে। তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যপণ্য কিনতে পারবে এবং তাদের মর্যাদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অর্থাৎ, মানুষকে স্বাস্থ্যকরভাবে বাঁচতে সক্ষম করে তোলা, যাতে তাদের নিরাপদ পানি ও বাতাস, বাসস্থান ও পুষ্টিকর খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের অধিকার পূরণে স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
বেশ কিছু অগ্রগতি সত্ত্বেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে সবার জন্য স্বাস্থ্যের অধিকার বাস্তবে পরিণত করতে এখনো যথেষ্ট অসংগতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের অধিকারের প্রতি বিশ্বব্যাপী প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এই অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। দারিদ্র্য ও দুর্বলতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে সবচেয়ে বড় বাধা; যা তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য বিপর্যয়কর।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে