ডা. পূজা সাহা
কীভাবে শিশুদের দাঁতের যত্ন নিতে হয়—প্রতিটি মা-বাবার জন্য এটি খুব সাধারণ জিজ্ঞাসা।
শিশুদের দুধদাঁত জন্মের ছয় মাস থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত গজাতে থাকে। বুকের দুধ খেলে শিশুর মুখের ব্যায়াম হওয়ায় চোয়াল সুগঠিত হয়। এ জন্য দাঁত আগে গজায়। ফিডার খাওয়া শিশুদের অনেক সময় প্রথম দাঁত এক বছর পরেও গজাতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। ৬ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত দুধদাঁত ওঠার পর স্থায়ী দাঁত ওঠে।
শিশুর দাঁতে ক্ষয় বা গর্ত, অর্থাৎ ডেন্টাল ক্যারিজ হয়। এটিই আমাদের দেশে পরিচিত দাঁতের পোকা হিসেবে। মূলত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য মুখের ভেতরে একধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ বা এনামেলকে ক্ষয় করে গর্তের সৃষ্টি করে। শিশুদের দাঁতের ব্যথা হওয়ার বড় কারণ এ ধরনের ক্ষয়।
দাঁত ক্ষয়ের কারণ
যা করবেন
অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, দুধদাঁত তো পড়েই যাবে, এর বেশি যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু সময়ের আগে দুধদাঁত পড়ে গেলে বা ফেলে দিতে হলে স্থায়ী দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে ওঠে। দাঁতের ধর্মই হচ্ছে ফাঁকা জায়গা দখল করা। কোনো দাঁত সময়ের আগে ফেলে দিলে পেছনের দাঁত সেখানে হেলে পড়ে অথবা জায়গা দখল করে নেয়। এ জন্য সেই শূন্যস্থানে যে স্থায়ী দাঁত ওঠার কথা ছিল, সেটি ওঠার জায়গা না পেয়ে অন্য দিক দিয়ে ওঠে। তখনই দাঁত আঁকাবাঁকা হয়। এ ছাড়া হাতের বুড়ো আঙুল চোষা, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া, জিহ্বা দিয়ে ধাক্কা দেওয়া, পেসিফায়ার ব্যবহার করা, দীর্ঘদিন বোতলের মাধ্যমে খাওয়ানো, এসব কারণে স্থায়ী দাঁত উঁচু হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশুর প্রাথমিক দাঁত বা দুধদাঁত যত ভালো থাকবে, ভবিষ্যতে স্থায়ী দাঁত ততই সুন্দর হবে। শিশুর দাঁতের ক্ষয়রোগ এড়াতে দুধদাঁতের যত্ন নিতে হবে। শিশুর প্রথম ছয় বছরে অন্তত তিনবার ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে শিশুর দাঁতের কোনো সমস্যা না হয়।
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার
কীভাবে শিশুদের দাঁতের যত্ন নিতে হয়—প্রতিটি মা-বাবার জন্য এটি খুব সাধারণ জিজ্ঞাসা।
শিশুদের দুধদাঁত জন্মের ছয় মাস থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত গজাতে থাকে। বুকের দুধ খেলে শিশুর মুখের ব্যায়াম হওয়ায় চোয়াল সুগঠিত হয়। এ জন্য দাঁত আগে গজায়। ফিডার খাওয়া শিশুদের অনেক সময় প্রথম দাঁত এক বছর পরেও গজাতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। ৬ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত দুধদাঁত ওঠার পর স্থায়ী দাঁত ওঠে।
শিশুর দাঁতে ক্ষয় বা গর্ত, অর্থাৎ ডেন্টাল ক্যারিজ হয়। এটিই আমাদের দেশে পরিচিত দাঁতের পোকা হিসেবে। মূলত চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাদ্য মুখের ভেতরে একধরনের জীবাণুর সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ বা এনামেলকে ক্ষয় করে গর্তের সৃষ্টি করে। শিশুদের দাঁতের ব্যথা হওয়ার বড় কারণ এ ধরনের ক্ষয়।
দাঁত ক্ষয়ের কারণ
যা করবেন
অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, দুধদাঁত তো পড়েই যাবে, এর বেশি যত্ন নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু সময়ের আগে দুধদাঁত পড়ে গেলে বা ফেলে দিতে হলে স্থায়ী দাঁত আঁকাবাঁকা হয়ে ওঠে। দাঁতের ধর্মই হচ্ছে ফাঁকা জায়গা দখল করা। কোনো দাঁত সময়ের আগে ফেলে দিলে পেছনের দাঁত সেখানে হেলে পড়ে অথবা জায়গা দখল করে নেয়। এ জন্য সেই শূন্যস্থানে যে স্থায়ী দাঁত ওঠার কথা ছিল, সেটি ওঠার জায়গা না পেয়ে অন্য দিক দিয়ে ওঠে। তখনই দাঁত আঁকাবাঁকা হয়। এ ছাড়া হাতের বুড়ো আঙুল চোষা, মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া, জিহ্বা দিয়ে ধাক্কা দেওয়া, পেসিফায়ার ব্যবহার করা, দীর্ঘদিন বোতলের মাধ্যমে খাওয়ানো, এসব কারণে স্থায়ী দাঁত উঁচু হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
শিশুর প্রাথমিক দাঁত বা দুধদাঁত যত ভালো থাকবে, ভবিষ্যতে স্থায়ী দাঁত ততই সুন্দর হবে। শিশুর দাঁতের ক্ষয়রোগ এড়াতে দুধদাঁতের যত্ন নিতে হবে। শিশুর প্রথম ছয় বছরে অন্তত তিনবার ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে শিশুর দাঁতের কোনো সমস্যা না হয়।
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার
দেশের ৪১ জেলায় নতুন সিভিল সার্জন নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বদলি/পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগাদান করবেন। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন।
২ দিন আগেবিগত কয়েক দশক ধরেই বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা মুটিয়ে যাওয়া ও স্থূলতা। আগামী কয়েক দশকে এই সমস্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী ২০৫০ সালের মধ্যে অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এবং এক-তৃতীয়াংশ শিশু ও কিশোর-কিশোরী অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতার শিকার হবে। এই বিষয়টি
৩ দিন আগে২০২৫ সালে এসেও এই চিত্র খুব একটা বদলায়নি। এখনো স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ৪টি উপাদান লৌহ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, জিংকের ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৫ শতাংশ কিশোরী এবং স্থূলতায় আক্রান্ত কমপক্ষে ১০ শতাংশ।
৩ দিন আগেআত্মহত্যা একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাংলাদেশে এখনো আত্মহত্যা সংক্রান্ত পর্যাপ্ত গবেষণা ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি হয়নি
৩ দিন আগে