আলমগীর আলম
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে। তবে ভালো দিক হলো, নাগরিক জীবনের কিছু কাজ ফ্রিজ কমিয়ে দিয়েছে।
ফ্রিজে খাবার সতেজ থাকার মূল কারণ তাপমাত্রা কম থাকা। কম তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্য সূক্ষ্ম জীবাণুগুলো বেড়ে উঠতে সময় নেয়। ফলে খাবারে পচনপ্রক্রিয়া ধীরগতির হয় এবং খাবার কিছুদিন ভালো থাকে।
এবার বিস্তারিত জানা যাক—
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি: অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া গরম ও আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বাড়ে। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশ এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর বৃদ্ধি ধীর করে দেয়। ফলে খাবারে পচনপ্রক্রিয়া শুরু হয় দেরিতে।
এনজাইমের কার্যকলাপ: খাবারে থাকা এনজাইম তা নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। তাপমাত্রা কম থাকায় এগুলোর কার্যকলাপ ধীর হয়ে যায়। ফলে খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
অক্সিডেশন প্রক্রিয়া: খাবার বাতাসের সংস্পর্শে এলে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে খাবারের রং ও স্বাদ বদলে যায়। ফ্রিজে খাবার রাখলে এই প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: ফ্রিজের ভেতরে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত থাকে বলে শুষ্ক না হয়ে খাবার তাজা থাকে। কিন্তু ফ্রিজে সব খাবার যে ভালো থাকবে, তা নয়। জানতে হবে, ফ্রিজে কোন কোন খাবার রাখা যাবে না।
যেসব কারণে ফ্রিজে খাবার রাখা ক্ষতিকর পুষ্টিগুণের ক্ষতি: অনেক খাবারের পুষ্টিগুণ ফ্রিজের ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যায়; বিশেষ করে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
স্বাদ ও গন্ধের পরিবর্তন: ফ্রিজের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কিছু খাবারের স্বাদ, গন্ধে পরিবর্তন আনতে পারে।
ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি: কয়েকটি খাবার ফ্রিজে রাখলে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বাড়তে পারে, যা খাবারকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে।
কোন কোন খাবার ফ্রিজে রাখা অনুচিত
পেঁয়াজ ও রসুন: এই দুটি মসলা ফ্রিজে রাখলে দ্রুত অঙ্কুরিত হয়ে যায়। এ ছাড়া ছত্রাকে আক্রান্ত হয়।
আদা: ফ্রিজে রাখলে এর ওপর ছত্রাক জন্মাতে পারে, যা ওক্র্যাটক্সিন নামের একটি বিষাক্ত যৌগ তৈরি করে।
টমেটো: ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় এবং এর ত্বক নরম হয়ে যায়।
কলা: এটি ফ্রিজে রাখলে এর ত্বক কালো ও গুঁড়ো হয়ে যায় বলে খাওয়ার অনুপযোগী।
রুটি: ফ্রিজে রাখলে রুটি শুকিয়ে যায় এবং স্বাদ কমে। তবে আটা বা ময়দার খামির ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
মধু: এটি ফ্রিজে রাখলে এর গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এটি ক্রিস্টালাইজ হতে পারে, এতে থাকা মোম জমে যেতে থাকে এবং রং বদলে যায়।
তরমুজ ও বাঁধাকপি: এগুলো ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। গরমে অনেকে তরমুজ ঠান্ডা করে খেয়ে থাকেন, সেটাও ঠিক নয়।
কিছু খাবার ফ্রিজে কত দিন রাখা যায়
খাবার সংরক্ষণের সঠিক উপায়
শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গা: পেঁয়াজ, রসুন, আদা ইত্যাদি শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।
কাগজের থলে: শাকসবজি কাগজের থলেতে করে ফ্রিজে রাখুন।
» একবারে বেশি পরিমাণে না কিনে প্রয়োজন অনুযায়ী কিনুন, যাতে খাবার নষ্ট না হয়।
» ফ্রিজ নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি: নিয়মিত এটি পরিষ্কার করা হলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে না।
ফ্রিজ খাবার সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হলেও সব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে এর পুষ্টিগুণ ধরে রাখা যায় এবং অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে। তবে ভালো দিক হলো, নাগরিক জীবনের কিছু কাজ ফ্রিজ কমিয়ে দিয়েছে।
ফ্রিজে খাবার সতেজ থাকার মূল কারণ তাপমাত্রা কম থাকা। কম তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং অন্য সূক্ষ্ম জীবাণুগুলো বেড়ে উঠতে সময় নেয়। ফলে খাবারে পচনপ্রক্রিয়া ধীরগতির হয় এবং খাবার কিছুদিন ভালো থাকে।
এবার বিস্তারিত জানা যাক—
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি: অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়া গরম ও আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বাড়ে। ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশ এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর বৃদ্ধি ধীর করে দেয়। ফলে খাবারে পচনপ্রক্রিয়া শুরু হয় দেরিতে।
এনজাইমের কার্যকলাপ: খাবারে থাকা এনজাইম তা নষ্ট করে দিতে সাহায্য করে। তাপমাত্রা কম থাকায় এগুলোর কার্যকলাপ ধীর হয়ে যায়। ফলে খাবার দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
অক্সিডেশন প্রক্রিয়া: খাবার বাতাসের সংস্পর্শে এলে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে খাবারের রং ও স্বাদ বদলে যায়। ফ্রিজে খাবার রাখলে এই প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ: ফ্রিজের ভেতরে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত থাকে বলে শুষ্ক না হয়ে খাবার তাজা থাকে। কিন্তু ফ্রিজে সব খাবার যে ভালো থাকবে, তা নয়। জানতে হবে, ফ্রিজে কোন কোন খাবার রাখা যাবে না।
যেসব কারণে ফ্রিজে খাবার রাখা ক্ষতিকর পুষ্টিগুণের ক্ষতি: অনেক খাবারের পুষ্টিগুণ ফ্রিজের ঠান্ডায় নষ্ট হয়ে যায়; বিশেষ করে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
স্বাদ ও গন্ধের পরিবর্তন: ফ্রিজের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কিছু খাবারের স্বাদ, গন্ধে পরিবর্তন আনতে পারে।
ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি: কয়েকটি খাবার ফ্রিজে রাখলে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বাড়তে পারে, যা খাবারকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে।
কোন কোন খাবার ফ্রিজে রাখা অনুচিত
পেঁয়াজ ও রসুন: এই দুটি মসলা ফ্রিজে রাখলে দ্রুত অঙ্কুরিত হয়ে যায়। এ ছাড়া ছত্রাকে আক্রান্ত হয়।
আদা: ফ্রিজে রাখলে এর ওপর ছত্রাক জন্মাতে পারে, যা ওক্র্যাটক্সিন নামের একটি বিষাক্ত যৌগ তৈরি করে।
টমেটো: ফ্রিজে রাখলে এর স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় এবং এর ত্বক নরম হয়ে যায়।
কলা: এটি ফ্রিজে রাখলে এর ত্বক কালো ও গুঁড়ো হয়ে যায় বলে খাওয়ার অনুপযোগী।
রুটি: ফ্রিজে রাখলে রুটি শুকিয়ে যায় এবং স্বাদ কমে। তবে আটা বা ময়দার খামির ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
মধু: এটি ফ্রিজে রাখলে এর গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া এটি ক্রিস্টালাইজ হতে পারে, এতে থাকা মোম জমে যেতে থাকে এবং রং বদলে যায়।
তরমুজ ও বাঁধাকপি: এগুলো ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। গরমে অনেকে তরমুজ ঠান্ডা করে খেয়ে থাকেন, সেটাও ঠিক নয়।
কিছু খাবার ফ্রিজে কত দিন রাখা যায়
খাবার সংরক্ষণের সঠিক উপায়
শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গা: পেঁয়াজ, রসুন, আদা ইত্যাদি শুষ্ক ও ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।
কাগজের থলে: শাকসবজি কাগজের থলেতে করে ফ্রিজে রাখুন।
» একবারে বেশি পরিমাণে না কিনে প্রয়োজন অনুযায়ী কিনুন, যাতে খাবার নষ্ট না হয়।
» ফ্রিজ নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি: নিয়মিত এটি পরিষ্কার করা হলে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে না।
ফ্রিজ খাবার সংরক্ষণের একটি ভালো উপায় হলেও সব খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে এর পুষ্টিগুণ ধরে রাখা যায় এবং অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
গ্লকোমা বাংলাদেশ তথা পৃথিবীতে অনিবারণযোগ্য অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। এবারের এ দিবসের স্লোগান হলো ‘এক সাথে হাত ধরি, গ্লকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।
১ দিন আগেবাংলাদেশে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়বহুল এবং সীমিত পরিসরে হওয়ায় প্রতিবছর অসংখ্য রোগী উন্নত চিকিৎসার আশায় বিদেশে পাড়ি জমান। বিশেষত, কিডনি প্রতিস্থাপন ও ডায়ালাইসিস সুবিধা পর্যাপ্ত না থাকায় রোগীরা ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এই প্রবণতা রোধে ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে মোট ১৩৮ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসক। এর মধ্যে ১১৫ জন রোগীকে চক্ষু চিকিৎসাসেবা এবং ২৩ জন রোগীর সার্জারি করেন তাঁরা
২ দিন আগেস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, আয়াত এডুকেশন এবং বিএসএমএমইউ-এর সহযোগিতায় এই শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে