কমিউনিটি ক্লিনিক
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ নামে এই ওপি গত বছরের জুনে শেষ হলেও নতুন পর্ব শুরু হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এখন অধীর আগ্রহে তারই পথ চেয়ে আছেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা এবং টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। গত বছরের জুনে শেষ হয় ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ওই বছরের জুলাই মাসেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পঞ্চম এইচপিএনএসপি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় তা অনুমোদন করেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সিএইচসিপিদের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ওপি চালু না থাকায় ১৪ হাজারের কিছু বেশি সিএইচসিপি গত জুনের পর আর বেতন পাননি।
তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৮ সালে গ্রামাঞ্চলের প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করে সরকার। দেশজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয়েছে। এখানে গর্ভকালীন ও প্রসূতিসেবা, শিশুদের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষাদান ও পরামর্শ এবং পুষ্টিকর অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়া হয়।
দেশজুড়ে কষ্টের দিনলিপি
আট মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএইচসিপিরা। অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন ঋণে।
জয়পুরহাট জেলার ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা গত বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন। সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের আরজি-জগদীশপুরের সিএইচসিপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কম বেতনের চাকরিতে এমনিতেই দিন চলে টানাটানি করে। তার ওপরে সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা স্যালারি ঋণ নেওয়া আছে। কিছু ধার-দেনাও হয়েছে। খুব কষ্টে আছি।’
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের কেশুরতা ক্লিনিকের মনিরা বেগম বলেন, ‘বেতন নাই। কিস্তি দিতে পারছি না। প্রতিদিন অন্যের কথা শুনতে হয়।’
বাগেরহাটে ৭ মাস ধরে বেতন পান না ২১১ ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা। চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এসব কর্মী। কোথাও কোথাও নিয়মিত ওষুধের সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মো. বাশার শেখ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ক্লিনিকে গেলে ঠিকঠাক সেবা পাই না। ওষুধ চাইলে বলে নাই। আবার শুনছি সিএইচসিপিরা ঠিকমতো বেতন পান না। তাই কাজে কম আসছেন তাঁরা।’
মেহেরপুরের গাংনীর হোগলবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কী কষ্টে যে আছি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি অসুস্থ, স্ত্রী অসুস্থ...ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বসবাস করছি।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা ক্লিনিকের শামীম হোসেন বলেন, ‘ওপি না থাকার কারণে বেতন হচ্ছে না। আমরা পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
সিএইচসিপিদের জাতীয় সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের অগ্রখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি, সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে আমাদের বেতন হবে। আর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে ওপি থেকে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বেতন হাতে পাব, বুঝতে পারছি না।’
এ ছাড়া জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ২১টি ক্লিনিক; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৩৫টি ক্লিনিক; দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা উপজেলার ৭১টি ক্লিনিক; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৬টি ক্লিনিক, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ২০টি ক্লিনিক এবং মেহেরপুরের গাংনীর ৩৫টি ক্লিনিকের কর্মীদের বেতন না পাওয়ার কথা সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা।
ওষুধের ঘাটতির আশঙ্কা
কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের ব্যয় আসে পাঁচ বছর মেয়াদি ওপি থেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ক্লিনিকে সর্বশেষ ওষুধ সরবরাহ করা হয় গত ২ অক্টোবর। সাধারণত এক দফার সরবরাহে চার থেকে পাঁচ মাস চলে। সংকটের আশঙ্কায় কেন্দ্র থেকে ওষুধ বিতরণে সতর্ক হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সিএইচসিপি। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডা-জ্বর ও কৃমির ওষুধ এবং আয়রন, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের ২২টি ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ওপি থেকে নাকি রাজস্ব খাত থেকে কেনা হবে, তা এখন বিবেচনাধীন। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের কাছে অর্থ বিভাগ ওষুধের বাজেট চেয়েছে। সংকটের শঙ্কায় আমরা ক্লিনিকগুলোকে যৌক্তিকভাবে ওষুধ খরচ করতে বলেছি।’
ওপি ছেড়ে সমাধানের পথে
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ওপি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার কথা ভাবছে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বর্তমান সেক্টর কর্মসূচি পদ্ধতির ওপি থেকে বের হওয়ার কৌশল নির্ধারণের জন্য সভা হয়। এতে পুরো কর্মসূচিকেই রাজস্ব খাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই (সম্ভাব্য তারিখ) সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দিতে আরও তিন মাসের মতো সময় লাগবে। পঞ্চবার্ষিক এই কর্মসূচির বিকল্প ভাবার জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকেও তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।
সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওপিতে যেসব কর্মসূচি বা দপ্তর কর্তৃপক্ষ কাজ করে, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওপি থেকে বের হওয়া এবং এর কার্যক্রম ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালনা করা যায়, তার রোডম্যাপ (পথনকশা) থাকতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের অভিমত
বর্তমান ওপি পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই বছর আগে পরিকল্পনা থাকার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এই এইচপিএনএসপি নামের ওপি। এটা প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে। জনস্বাস্থ্যের বড় কাজগুলো এর মাধ্যমেই হয়। পরিবর্তন করতে চাইলে ওপি চলমান অবস্থায় দু-তিন বছর আগেই এ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল।’
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার বাগেরহাট, জয়পুরহাট ও কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), গাংনী (মেহেরপুর), জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) এবং দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা প্রতিনিধি।
আরও খবর পড়ুন:

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ নামে এই ওপি গত বছরের জুনে শেষ হলেও নতুন পর্ব শুরু হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এখন অধীর আগ্রহে তারই পথ চেয়ে আছেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা এবং টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। গত বছরের জুনে শেষ হয় ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ওই বছরের জুলাই মাসেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পঞ্চম এইচপিএনএসপি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় তা অনুমোদন করেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সিএইচসিপিদের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ওপি চালু না থাকায় ১৪ হাজারের কিছু বেশি সিএইচসিপি গত জুনের পর আর বেতন পাননি।
তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৮ সালে গ্রামাঞ্চলের প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করে সরকার। দেশজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয়েছে। এখানে গর্ভকালীন ও প্রসূতিসেবা, শিশুদের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষাদান ও পরামর্শ এবং পুষ্টিকর অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়া হয়।
দেশজুড়ে কষ্টের দিনলিপি
আট মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএইচসিপিরা। অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন ঋণে।
জয়পুরহাট জেলার ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা গত বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন। সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের আরজি-জগদীশপুরের সিএইচসিপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কম বেতনের চাকরিতে এমনিতেই দিন চলে টানাটানি করে। তার ওপরে সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা স্যালারি ঋণ নেওয়া আছে। কিছু ধার-দেনাও হয়েছে। খুব কষ্টে আছি।’
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের কেশুরতা ক্লিনিকের মনিরা বেগম বলেন, ‘বেতন নাই। কিস্তি দিতে পারছি না। প্রতিদিন অন্যের কথা শুনতে হয়।’
বাগেরহাটে ৭ মাস ধরে বেতন পান না ২১১ ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা। চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এসব কর্মী। কোথাও কোথাও নিয়মিত ওষুধের সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মো. বাশার শেখ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ক্লিনিকে গেলে ঠিকঠাক সেবা পাই না। ওষুধ চাইলে বলে নাই। আবার শুনছি সিএইচসিপিরা ঠিকমতো বেতন পান না। তাই কাজে কম আসছেন তাঁরা।’
মেহেরপুরের গাংনীর হোগলবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কী কষ্টে যে আছি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি অসুস্থ, স্ত্রী অসুস্থ...ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বসবাস করছি।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা ক্লিনিকের শামীম হোসেন বলেন, ‘ওপি না থাকার কারণে বেতন হচ্ছে না। আমরা পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
সিএইচসিপিদের জাতীয় সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের অগ্রখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি, সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে আমাদের বেতন হবে। আর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে ওপি থেকে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বেতন হাতে পাব, বুঝতে পারছি না।’
এ ছাড়া জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ২১টি ক্লিনিক; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৩৫টি ক্লিনিক; দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা উপজেলার ৭১টি ক্লিনিক; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৬টি ক্লিনিক, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ২০টি ক্লিনিক এবং মেহেরপুরের গাংনীর ৩৫টি ক্লিনিকের কর্মীদের বেতন না পাওয়ার কথা সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা।
ওষুধের ঘাটতির আশঙ্কা
কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের ব্যয় আসে পাঁচ বছর মেয়াদি ওপি থেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ক্লিনিকে সর্বশেষ ওষুধ সরবরাহ করা হয় গত ২ অক্টোবর। সাধারণত এক দফার সরবরাহে চার থেকে পাঁচ মাস চলে। সংকটের আশঙ্কায় কেন্দ্র থেকে ওষুধ বিতরণে সতর্ক হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সিএইচসিপি। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডা-জ্বর ও কৃমির ওষুধ এবং আয়রন, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের ২২টি ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ওপি থেকে নাকি রাজস্ব খাত থেকে কেনা হবে, তা এখন বিবেচনাধীন। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের কাছে অর্থ বিভাগ ওষুধের বাজেট চেয়েছে। সংকটের শঙ্কায় আমরা ক্লিনিকগুলোকে যৌক্তিকভাবে ওষুধ খরচ করতে বলেছি।’
ওপি ছেড়ে সমাধানের পথে
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ওপি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার কথা ভাবছে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বর্তমান সেক্টর কর্মসূচি পদ্ধতির ওপি থেকে বের হওয়ার কৌশল নির্ধারণের জন্য সভা হয়। এতে পুরো কর্মসূচিকেই রাজস্ব খাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই (সম্ভাব্য তারিখ) সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দিতে আরও তিন মাসের মতো সময় লাগবে। পঞ্চবার্ষিক এই কর্মসূচির বিকল্প ভাবার জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকেও তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।
সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওপিতে যেসব কর্মসূচি বা দপ্তর কর্তৃপক্ষ কাজ করে, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওপি থেকে বের হওয়া এবং এর কার্যক্রম ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালনা করা যায়, তার রোডম্যাপ (পথনকশা) থাকতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের অভিমত
বর্তমান ওপি পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই বছর আগে পরিকল্পনা থাকার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এই এইচপিএনএসপি নামের ওপি। এটা প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে। জনস্বাস্থ্যের বড় কাজগুলো এর মাধ্যমেই হয়। পরিবর্তন করতে চাইলে ওপি চলমান অবস্থায় দু-তিন বছর আগেই এ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল।’
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার বাগেরহাট, জয়পুরহাট ও কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), গাংনী (মেহেরপুর), জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) এবং দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা প্রতিনিধি।
আরও খবর পড়ুন:
কমিউনিটি ক্লিনিক
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ নামে এই ওপি গত বছরের জুনে শেষ হলেও নতুন পর্ব শুরু হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এখন অধীর আগ্রহে তারই পথ চেয়ে আছেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা এবং টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। গত বছরের জুনে শেষ হয় ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ওই বছরের জুলাই মাসেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পঞ্চম এইচপিএনএসপি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় তা অনুমোদন করেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সিএইচসিপিদের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ওপি চালু না থাকায় ১৪ হাজারের কিছু বেশি সিএইচসিপি গত জুনের পর আর বেতন পাননি।
তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৮ সালে গ্রামাঞ্চলের প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করে সরকার। দেশজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয়েছে। এখানে গর্ভকালীন ও প্রসূতিসেবা, শিশুদের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষাদান ও পরামর্শ এবং পুষ্টিকর অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়া হয়।
দেশজুড়ে কষ্টের দিনলিপি
আট মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএইচসিপিরা। অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন ঋণে।
জয়পুরহাট জেলার ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা গত বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন। সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের আরজি-জগদীশপুরের সিএইচসিপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কম বেতনের চাকরিতে এমনিতেই দিন চলে টানাটানি করে। তার ওপরে সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা স্যালারি ঋণ নেওয়া আছে। কিছু ধার-দেনাও হয়েছে। খুব কষ্টে আছি।’
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের কেশুরতা ক্লিনিকের মনিরা বেগম বলেন, ‘বেতন নাই। কিস্তি দিতে পারছি না। প্রতিদিন অন্যের কথা শুনতে হয়।’
বাগেরহাটে ৭ মাস ধরে বেতন পান না ২১১ ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা। চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এসব কর্মী। কোথাও কোথাও নিয়মিত ওষুধের সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মো. বাশার শেখ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ক্লিনিকে গেলে ঠিকঠাক সেবা পাই না। ওষুধ চাইলে বলে নাই। আবার শুনছি সিএইচসিপিরা ঠিকমতো বেতন পান না। তাই কাজে কম আসছেন তাঁরা।’
মেহেরপুরের গাংনীর হোগলবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কী কষ্টে যে আছি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি অসুস্থ, স্ত্রী অসুস্থ...ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বসবাস করছি।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা ক্লিনিকের শামীম হোসেন বলেন, ‘ওপি না থাকার কারণে বেতন হচ্ছে না। আমরা পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
সিএইচসিপিদের জাতীয় সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের অগ্রখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি, সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে আমাদের বেতন হবে। আর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে ওপি থেকে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বেতন হাতে পাব, বুঝতে পারছি না।’
এ ছাড়া জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ২১টি ক্লিনিক; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৩৫টি ক্লিনিক; দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা উপজেলার ৭১টি ক্লিনিক; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৬টি ক্লিনিক, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ২০টি ক্লিনিক এবং মেহেরপুরের গাংনীর ৩৫টি ক্লিনিকের কর্মীদের বেতন না পাওয়ার কথা সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা।
ওষুধের ঘাটতির আশঙ্কা
কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের ব্যয় আসে পাঁচ বছর মেয়াদি ওপি থেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ক্লিনিকে সর্বশেষ ওষুধ সরবরাহ করা হয় গত ২ অক্টোবর। সাধারণত এক দফার সরবরাহে চার থেকে পাঁচ মাস চলে। সংকটের আশঙ্কায় কেন্দ্র থেকে ওষুধ বিতরণে সতর্ক হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সিএইচসিপি। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডা-জ্বর ও কৃমির ওষুধ এবং আয়রন, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের ২২টি ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ওপি থেকে নাকি রাজস্ব খাত থেকে কেনা হবে, তা এখন বিবেচনাধীন। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের কাছে অর্থ বিভাগ ওষুধের বাজেট চেয়েছে। সংকটের শঙ্কায় আমরা ক্লিনিকগুলোকে যৌক্তিকভাবে ওষুধ খরচ করতে বলেছি।’
ওপি ছেড়ে সমাধানের পথে
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ওপি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার কথা ভাবছে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বর্তমান সেক্টর কর্মসূচি পদ্ধতির ওপি থেকে বের হওয়ার কৌশল নির্ধারণের জন্য সভা হয়। এতে পুরো কর্মসূচিকেই রাজস্ব খাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই (সম্ভাব্য তারিখ) সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দিতে আরও তিন মাসের মতো সময় লাগবে। পঞ্চবার্ষিক এই কর্মসূচির বিকল্প ভাবার জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকেও তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।
সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওপিতে যেসব কর্মসূচি বা দপ্তর কর্তৃপক্ষ কাজ করে, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওপি থেকে বের হওয়া এবং এর কার্যক্রম ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালনা করা যায়, তার রোডম্যাপ (পথনকশা) থাকতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের অভিমত
বর্তমান ওপি পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই বছর আগে পরিকল্পনা থাকার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এই এইচপিএনএসপি নামের ওপি। এটা প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে। জনস্বাস্থ্যের বড় কাজগুলো এর মাধ্যমেই হয়। পরিবর্তন করতে চাইলে ওপি চলমান অবস্থায় দু-তিন বছর আগেই এ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল।’
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার বাগেরহাট, জয়পুরহাট ও কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), গাংনী (মেহেরপুর), জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) এবং দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা প্রতিনিধি।
আরও খবর পড়ুন:

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে কোথাও কোথাও।
‘স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ নামে এই ওপি গত বছরের জুনে শেষ হলেও নতুন পর্ব শুরু হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ১৪ হাজারের বেশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এখন অধীর আগ্রহে তারই পথ চেয়ে আছেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতালের সেবা ব্যবস্থাপনা এবং টিকা ও পুষ্টি কার্যক্রমসহ ৩০টির বেশি কর্মসূচি পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। গত বছরের জুনে শেষ হয় ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’। ওই বছরের জুলাই মাসেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ১ লাখ ৬ হাজার ১০০ কোটি টাকার পঞ্চম এইচপিএনএসপি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় তা অনুমোদন করেনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সিএইচসিপিদের সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ওপি চালু না থাকায় ১৪ হাজারের কিছু বেশি সিএইচসিপি গত জুনের পর আর বেতন পাননি।
তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক। ১৯৯৮ সালে গ্রামাঞ্চলের প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করে সরকার। দেশজুড়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মিত হয়েছে। এখানে গর্ভকালীন ও প্রসূতিসেবা, শিশুদের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষাদান ও পরামর্শ এবং পুষ্টিকর অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহসহ বেশ কিছু সেবা দেওয়া হয়।
দেশজুড়ে কষ্টের দিনলিপি
আট মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সিএইচসিপিরা। অনেকে জড়িয়ে পড়েছেন ঋণে।
জয়পুরহাট জেলার ১১৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা গত বছরের জুলাই মাস থেকে বেতন না পাওয়ায় কষ্টে দিন যাপন করছেন। সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের আরজি-জগদীশপুরের সিএইচসিপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কম বেতনের চাকরিতে এমনিতেই দিন চলে টানাটানি করে। তার ওপরে সোনালী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা স্যালারি ঋণ নেওয়া আছে। কিছু ধার-দেনাও হয়েছে। খুব কষ্টে আছি।’
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের কেশুরতা ক্লিনিকের মনিরা বেগম বলেন, ‘বেতন নাই। কিস্তি দিতে পারছি না। প্রতিদিন অন্যের কথা শুনতে হয়।’
বাগেরহাটে ৭ মাস ধরে বেতন পান না ২১১ ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা। চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এসব কর্মী। কোথাও কোথাও নিয়মিত ওষুধের সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মো. বাশার শেখ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ক্লিনিকে গেলে ঠিকঠাক সেবা পাই না। ওষুধ চাইলে বলে নাই। আবার শুনছি সিএইচসিপিরা ঠিকমতো বেতন পান না। তাই কাজে কম আসছেন তাঁরা।’
মেহেরপুরের গাংনীর হোগলবাড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘কী কষ্টে যে আছি, তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আমি অসুস্থ, স্ত্রী অসুস্থ...ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে বসবাস করছি।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আখড়াখোলা ক্লিনিকের শামীম হোসেন বলেন, ‘ওপি না থাকার কারণে বেতন হচ্ছে না। আমরা পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
সিএইচসিপিদের জাতীয় সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের অগ্রখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি, সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে আমাদের বেতন হবে। আর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে ওপি থেকে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বেতন হাতে পাব, বুঝতে পারছি না।’
এ ছাড়া জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার ২১টি ক্লিনিক; কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৩৫টি ক্লিনিক; দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা উপজেলার ৭১টি ক্লিনিক; ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ১৬টি ক্লিনিক, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের ২০টি ক্লিনিক এবং মেহেরপুরের গাংনীর ৩৫টি ক্লিনিকের কর্মীদের বেতন না পাওয়ার কথা সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা।
ওষুধের ঘাটতির আশঙ্কা
কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের ব্যয় আসে পাঁচ বছর মেয়াদি ওপি থেকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ক্লিনিকে সর্বশেষ ওষুধ সরবরাহ করা হয় গত ২ অক্টোবর। সাধারণত এক দফার সরবরাহে চার থেকে পাঁচ মাস চলে। সংকটের আশঙ্কায় কেন্দ্র থেকে ওষুধ বিতরণে সতর্ক হতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সিএইচসিপি। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ঠান্ডা-জ্বর ও কৃমির ওষুধ এবং আয়রন, ফলিক অ্যাসিডসহ বিভিন্ন ধরনের ২২টি ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ওপি থেকে নাকি রাজস্ব খাত থেকে কেনা হবে, তা এখন বিবেচনাধীন। কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের কাছে অর্থ বিভাগ ওষুধের বাজেট চেয়েছে। সংকটের শঙ্কায় আমরা ক্লিনিকগুলোকে যৌক্তিকভাবে ওষুধ খরচ করতে বলেছি।’
ওপি ছেড়ে সমাধানের পথে
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চলমান ওপি প্রক্রিয়া থেকে বের হওয়ার কথা ভাবছে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বর্তমান সেক্টর কর্মসূচি পদ্ধতির ওপি থেকে বের হওয়ার কৌশল নির্ধারণের জন্য সভা হয়। এতে পুরো কর্মসূচিকেই রাজস্ব খাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই (সম্ভাব্য তারিখ) সংশোধিত বাজেট অনুমোদনের পর রাজস্ব খাত থেকে সিএইচসিপিদের বেতন দিতে আরও তিন মাসের মতো সময় লাগবে। পঞ্চবার্ষিক এই কর্মসূচির বিকল্প ভাবার জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকেও তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।
সিবিএইচসির লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ওপিতে যেসব কর্মসূচি বা দপ্তর কর্তৃপক্ষ কাজ করে, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে ওপি থেকে বের হওয়া এবং এর কার্যক্রম ভবিষ্যতে কীভাবে পরিচালনা করা যায়, তার রোডম্যাপ (পথনকশা) থাকতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের অভিমত
বর্তমান ওপি পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার জন্য কমপক্ষে দুই বছর আগে পরিকল্পনা থাকার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি এই এইচপিএনএসপি নামের ওপি। এটা প্রায় ৩০ বছর ধরে চলছে। জনস্বাস্থ্যের বড় কাজগুলো এর মাধ্যমেই হয়। পরিবর্তন করতে চাইলে ওপি চলমান অবস্থায় দু-তিন বছর আগেই এ থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার ছিল।’
প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার বাগেরহাট, জয়পুরহাট ও কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), গাংনী (মেহেরপুর), জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা), ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম), আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) এবং দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও খানসামা প্রতিনিধি।
আরও খবর পড়ুন:

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১৬ ঘণ্টা আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১৬ ঘণ্টা আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১৬ ঘণ্টা আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা’ (সিএইচসিপি) বেতন পাচ্ছেন না আট মাস ধরে। পরিবার নিয়ে তাঁরা দুঃসহ আর্থিক অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্বাস্থ্য খাতের পাঁচ বছর মেয়াদি অপারেশনাল প্ল্যান (ওপি) চালু না...
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে