ফিচার ডেস্ক
বিভিন্ন সময় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হই। তারপর সে রোগের চিকিৎসা করাই। কিন্তু আমরা কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছি, সেটি যদি আগে থেকে জানা যেত, তাহলে কেমন হতো?
ঠিক এমনটাই ভেবেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কিয়ান সাদেগি। শুধু ভাবনাতেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকলেন না; তৈরি করলেন নিউক্লিয়াস জিনোমিকস নামে নিজের স্টার্টআপ। এই জেনেটিক টেস্টিং প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। নিউইয়র্কভিত্তিক স্টার্টআপ নিউক্লিয়াস জিনোমিকস মূলত একটি বায়োমেডিকেল গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। এটি জেনেটিক তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও জীববিজ্ঞানের নানান দিক উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
নিউক্লিয়াস প্রতিষ্ঠাতা কিয়ান সাদেগির কাছে এই উদ্যোগ ব্যক্তিগতভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সালে তাঁর ১৬ বছর বয়সী এক আত্মীয় হঠাৎ মারা যায়। চিকিৎসকেরা ধারণা করেছিলেন, তার দীর্ঘ কিউটি সিনড্রোম নামক একটি বিরল হৃদ্রোগ ছিল। সাদেগি বলেন, ‘যদি তখন আমাদের কাছে এমন একটি স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম থাকত, যা আমাদের জেনেটিক তথ্য দিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বুঝতে সাহায্য করত; তাহলে হয়তো আমরা তাকে বাঁচাতে পারতাম।’
এমন অভিজ্ঞতা থেকেই নিউক্লিয়াস প্রতিষ্ঠার চিন্তা মাথায় আসে কিয়ানের। তিনি একধরনের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে চান, যা মানুষের জিনগত প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। এ জন্য তিনি বিভিন্ন শাখার বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য পেশাদারের একটি দল তৈরি করেন। ২০২২ সালে নিউক্লিয়াস ১৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছিল।
কাজের পদ্ধতি
নিউক্লিয়াস জিনোমিকস তাদের গবেষণার মূল ভিত্তি হিসেবে ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। জেনেটিক ডেটা বিশ্লেষণের জন্য তারা অত্যাধুনিক বায়োইনফরমেটিকস সফটওয়্যার এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশাল পরিমাণে জেনেটিক ডেটা দ্রুত এবং সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। নিউক্লিয়াস জিনোমিকস বিভিন্ন জেনেটিক প্রোফাইল তৈরি করে ব্যক্তিভিত্তিক চিকিৎসাব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক।
নিউক্লিয়াস জিনোমিকস প্রতিষ্ঠার পর থেকে বায়োটেকনোলজি শিল্পে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে। তারা বৃহত্তর রিসার্চ কমিউনিটি এবং চিকিৎসার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে চলছে। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাদের কাজ প্রদর্শন করছে। নিউক্লিয়াস জিনোমিকস বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক রিসার্চের ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে তাদের কাজের মাধ্যমে নতুন চিকিৎসাব্যবস্থা, রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি আরও দ্রুত এবং সঠিক হবে। তাদের গবেষণা ভবিষ্যতের চিকিৎসাব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া মানবজাতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
বিভিন্ন সময় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হই। তারপর সে রোগের চিকিৎসা করাই। কিন্তু আমরা কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছি, সেটি যদি আগে থেকে জানা যেত, তাহলে কেমন হতো?
বিভিন্ন সময় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হই। তারপর সে রোগের চিকিৎসা করাই। কিন্তু আমরা কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছি, সেটি যদি আগে থেকে জানা যেত, তাহলে কেমন হতো?
ঠিক এমনটাই ভেবেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কিয়ান সাদেগি। শুধু ভাবনাতেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকলেন না; তৈরি করলেন নিউক্লিয়াস জিনোমিকস নামে নিজের স্টার্টআপ। এই জেনেটিক টেস্টিং প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালে। নিউইয়র্কভিত্তিক স্টার্টআপ নিউক্লিয়াস জিনোমিকস মূলত একটি বায়োমেডিকেল গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। এটি জেনেটিক তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও জীববিজ্ঞানের নানান দিক উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
নিউক্লিয়াস প্রতিষ্ঠাতা কিয়ান সাদেগির কাছে এই উদ্যোগ ব্যক্তিগতভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সালে তাঁর ১৬ বছর বয়সী এক আত্মীয় হঠাৎ মারা যায়। চিকিৎসকেরা ধারণা করেছিলেন, তার দীর্ঘ কিউটি সিনড্রোম নামক একটি বিরল হৃদ্রোগ ছিল। সাদেগি বলেন, ‘যদি তখন আমাদের কাছে এমন একটি স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম থাকত, যা আমাদের জেনেটিক তথ্য দিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বুঝতে সাহায্য করত; তাহলে হয়তো আমরা তাকে বাঁচাতে পারতাম।’
এমন অভিজ্ঞতা থেকেই নিউক্লিয়াস প্রতিষ্ঠার চিন্তা মাথায় আসে কিয়ানের। তিনি একধরনের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে চান, যা মানুষের জিনগত প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। এ জন্য তিনি বিভিন্ন শাখার বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার ও অন্যান্য পেশাদারের একটি দল তৈরি করেন। ২০২২ সালে নিউক্লিয়াস ১৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পেয়েছিল।
কাজের পদ্ধতি
নিউক্লিয়াস জিনোমিকস তাদের গবেষণার মূল ভিত্তি হিসেবে ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। জেনেটিক ডেটা বিশ্লেষণের জন্য তারা অত্যাধুনিক বায়োইনফরমেটিকস সফটওয়্যার এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশাল পরিমাণে জেনেটিক ডেটা দ্রুত এবং সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। নিউক্লিয়াস জিনোমিকস বিভিন্ন জেনেটিক প্রোফাইল তৈরি করে ব্যক্তিভিত্তিক চিকিৎসাব্যবস্থা তৈরিতে সহায়ক।
নিউক্লিয়াস জিনোমিকস প্রতিষ্ঠার পর থেকে বায়োটেকনোলজি শিল্পে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে। তারা বৃহত্তর রিসার্চ কমিউনিটি এবং চিকিৎসার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করে চলছে। তা ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাদের কাজ প্রদর্শন করছে। নিউক্লিয়াস জিনোমিকস বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক রিসার্চের ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে তাদের কাজের মাধ্যমে নতুন চিকিৎসাব্যবস্থা, রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি আরও দ্রুত এবং সঠিক হবে। তাদের গবেষণা ভবিষ্যতের চিকিৎসাব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া মানবজাতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ
বিভিন্ন সময় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হই। তারপর সে রোগের চিকিৎসা করাই। কিন্তু আমরা কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছি, সেটি যদি আগে থেকে জানা যেত, তাহলে কেমন হতো?
পেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
২ দিন আগেপুরুষদের জন্য নতুন এক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটিতে কোনো হরমোন নেই। আরও সহজ করে বললে, এই ওষুধ খাওয়ার পর পুরুষের হরমোনে সেই অর্থে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এর নাম ওয়াইসিটি-৫২৯। ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদন থেকে এ...
২ দিন আগেএকসময়কার আভিজাত্যের প্রতীক সেই ভুঁড়িই এখন চিন্তার কারণ। ভারতে বাড়ছে স্থূলতা সমস্যা। আর আপাত নিরীহ সেই ভুঁড়িই হয়তো সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনছে। ২০২১ সালে ভারতে ১৮ কোটি মানুষ ছিলেন স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের। বিশ্বে স্থূল মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারতের অবস্থা ছিল দ্বিতীয়।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ একদল গবেষক এমন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে আগেভাগেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ পাউন্ড স্টারলিং বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প
৩ দিন আগে