সানজিদা সামরিন, ঢাকা
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অধিকাংশ নারীরই পা ও গোড়ালির ফুলে যায়। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে জরায়ুর আকার খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। গর্ভের শিশু যখন বড় হয়, তখন তার মাথার চাপে মায়ের শরীরের নিচের অংশের যে শিরাগুলো দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ডে প্রবাহিত হয়, সেগুলোয় রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে শরীরের নিজের অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। তখন শিরা থেকে তরল বের হয়ে শরীরের টিস্যুতে জমতে থাকে। এতে পায়ে পানি আসে বা ফুলে যায়। তবে এসময় গর্ভবতী মায়ের যদি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কিডনিতে সমস্যা থাকে তাহলেও পায়ে পানি আসতে পারে।
গর্ভকালে মায়েদের পায়ে যে পানি জমে তা পুরোপুরি দূর করা যায় কিনা বা এটা কোনোভাবে প্রতিরোধ করা যায় কিনা এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। কোন কোন ব্যায়াম করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়েও ইন্টারনেটে বিস্তর খোঁজ করেন অনেকে।
এভারগ্রিন ইয়োগার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তনু বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভাষ্য় অনুযায়ী, গর্ভকালের শেষার্ধে গর্ভবতী নারীর পায়ে যে পানি আসে তা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। কারণ এ সময়ে জরায়ুর আকার বড় হয়ে যায় ও সন্তানের ওজনও খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে তখন মায়েদের রক্তনালীতে চাপ পড়ে। এ কারণে এ সময়টায় শরীরে ওয়াটার রিটেনশন হবেই বা পানি জমবেই। তবে সন্তান প্রসবের পর এই সমস্যাটা আর থাকে না।’
তিনি জানান, যোগাসন ও প্রাণায়ামের পাশাপাশি কিছু বিষয় মেনে চললে এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান না করা গেলেও কিছুটা কমানো সম্ভব।
সহায়ক হতে পারে অর্ধ–হলাসন
বাপ্পা শান্তনু জানান, গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি জমলে যোগব্যায়ামের যে আসনটি করা যেতে পারে তা হলো অর্ধ–হলাসন। স্বাভাবিক অবস্থায় এই আসনটি ইয়োগা ম্যাটে পিঠের ওপর শুয়ে পা দুটো উপরের দিকে তুলে করা হয়। কিন্তু গর্ভকালে এই আসনটি এভাবে করা যাবে না। কারণ এতে পেটে চাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে উপায় হচ্ছে, পিঠের ওপর শুয়ে দেয়ালে হিপটা স্পর্শ করে দেয়াল ঘেঁষেই পা দুটো উপরের দিকে তুলে দিয়ে কিছুক্ষণ থাকতে হবে। মানে, দেয়াল ও মেঝেতে শরীরটা এল শেপের মতো করে থাকবে। এভাবে কিছুক্ষণ থাকলে পায়ে জমা পানি কিছুটা হলেও কমে আসবে।
স্ট্রেস কমাবে দুই প্রাণায়াম
গর্ভকালে যেমন শারীরিক স্ট্রেস থাকে, তেমনি মানসিক চাপও কিন্তু অনেক বেশি থাকে। কারণ এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমোনের তারতম্য দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক চিন্তাও কাজ করে মনে। মানসিক স্ট্রেসের কিন্তু শারীরিক প্রভাবও রয়েছে। আবার পা ফোলার কারণে যদি ব্যথা হয় তাহলেও ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। ঘুম ভালো না হলে শরীর–মন কোনোটাই ভালোলাগে না। তাই এই প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
অনুলোম–বিলোম: এই প্রাণায়াম করলে ঘুম ভালো হয়, মানসিক চাপ কমে। তবে এই প্রাণায়ামে শ্বাস নেওয়া ও শ্বাস ছাড়ার অনুপাত ১:২ হতে হবে। বাপ্পা শান্তনু বলেন, ‘যেটুকু সময় নিয়ে শ্বাস নেবেন তার দ্বিগুণ সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। এই প্রাণায়াম অন্তত ৯ রাউন্ড করতে হবে, মানে ৪–৫ মিনিট ধরে করতে হবে।
ভ্রামরী প্রাণায়াম: ভ্রামরী প্রাণায়াম মানসিক চাপ কমায়, ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে ও মনকে ভালো রাখে। এই প্রাণায়াম অন্তত ১১–২১ রাউন্ড করতে হবে। এতে করে ফল ভালো পাওয়া যাবে।
এছাড়াও পা ফোলা কমাতে যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। অনেক সময় দেখা যায়, গর্ভবতী মা হয়ত একঘণ্টা বা দু’ঘণ্টা টানা দাঁড়িয়ে কাজ করেই যাচ্ছেন। এটা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু বসে বিশ্রাম নিতে হবে।
বাপ্পা শান্তনু জানান, গর্ভকালে যেহেতু পেটের ওজনটা বেশি থাকে; সেহেতু অবচেতনভাবেই দেখা যায়, গর্ভবতী মায়েরা একটু ঝুঁকে বসেন ও মেরুদন্ডটাও সামনের দিকে একটু বেঁকে যেতে থাকে। একটু চেষ্টা করতে হবে যে যখন চেয়ারে বা বিছানায় বসবেন তখন যেন বুক–পিঠ টানটান থাকে। মানে যেটুকু সম্ভব মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসার চেষ্টা করতে হবে। পুরোপুরি টানটান রেখে হয়ত বসা সম্ভব না, সেক্ষত্রে পেছনে খুব হালকা করে হেলান দিয়ে কাঁধ দুটো যাতে সামনের দিকে ভাঁজ না হয়ে যায় সেভাবে বসার চেষ্টা করতে হবে।
পুরো গর্ভকালীন সময়টায় পর্যাপ্ত পারিমাণে পানি পানের দিকে নজর রাখতে হবে। শরীরে পানি জমছে বলে, পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দিলে চলবে না। শরীরের ওজন অনুসারে সারাদিনে কী পরিমাণ পানি পান করতে হবে তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যেন পানি পান করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অধিকাংশ নারীরই পা ও গোড়ালির ফুলে যায়। তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে জরায়ুর আকার খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। গর্ভের শিশু যখন বড় হয়, তখন তার মাথার চাপে মায়ের শরীরের নিচের অংশের যে শিরাগুলো দিয়ে রক্ত হৃৎপিণ্ডে প্রবাহিত হয়, সেগুলোয় রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে শরীরের নিজের অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। তখন শিরা থেকে তরল বের হয়ে শরীরের টিস্যুতে জমতে থাকে। এতে পায়ে পানি আসে বা ফুলে যায়। তবে এসময় গর্ভবতী মায়ের যদি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা কিডনিতে সমস্যা থাকে তাহলেও পায়ে পানি আসতে পারে।
গর্ভকালে মায়েদের পায়ে যে পানি জমে তা পুরোপুরি দূর করা যায় কিনা বা এটা কোনোভাবে প্রতিরোধ করা যায় কিনা এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। কোন কোন ব্যায়াম করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়েও ইন্টারনেটে বিস্তর খোঁজ করেন অনেকে।
এভারগ্রিন ইয়োগার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও যোগব্যায়ামের প্রশিক্ষক বাপ্পা শান্তনু বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভাষ্য় অনুযায়ী, গর্ভকালের শেষার্ধে গর্ভবতী নারীর পায়ে যে পানি আসে তা কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না। কারণ এ সময়ে জরায়ুর আকার বড় হয়ে যায় ও সন্তানের ওজনও খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে তখন মায়েদের রক্তনালীতে চাপ পড়ে। এ কারণে এ সময়টায় শরীরে ওয়াটার রিটেনশন হবেই বা পানি জমবেই। তবে সন্তান প্রসবের পর এই সমস্যাটা আর থাকে না।’
তিনি জানান, যোগাসন ও প্রাণায়ামের পাশাপাশি কিছু বিষয় মেনে চললে এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান না করা গেলেও কিছুটা কমানো সম্ভব।
সহায়ক হতে পারে অর্ধ–হলাসন
বাপ্পা শান্তনু জানান, গর্ভাবস্থায় পায়ে পানি জমলে যোগব্যায়ামের যে আসনটি করা যেতে পারে তা হলো অর্ধ–হলাসন। স্বাভাবিক অবস্থায় এই আসনটি ইয়োগা ম্যাটে পিঠের ওপর শুয়ে পা দুটো উপরের দিকে তুলে করা হয়। কিন্তু গর্ভকালে এই আসনটি এভাবে করা যাবে না। কারণ এতে পেটে চাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে উপায় হচ্ছে, পিঠের ওপর শুয়ে দেয়ালে হিপটা স্পর্শ করে দেয়াল ঘেঁষেই পা দুটো উপরের দিকে তুলে দিয়ে কিছুক্ষণ থাকতে হবে। মানে, দেয়াল ও মেঝেতে শরীরটা এল শেপের মতো করে থাকবে। এভাবে কিছুক্ষণ থাকলে পায়ে জমা পানি কিছুটা হলেও কমে আসবে।
স্ট্রেস কমাবে দুই প্রাণায়াম
গর্ভকালে যেমন শারীরিক স্ট্রেস থাকে, তেমনি মানসিক চাপও কিন্তু অনেক বেশি থাকে। কারণ এসময় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হরমোনের তারতম্য দেখা দেয়। বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক চিন্তাও কাজ করে মনে। মানসিক স্ট্রেসের কিন্তু শারীরিক প্রভাবও রয়েছে। আবার পা ফোলার কারণে যদি ব্যথা হয় তাহলেও ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে। ঘুম ভালো না হলে শরীর–মন কোনোটাই ভালোলাগে না। তাই এই প্রাণায়াম করা যেতে পারে।
অনুলোম–বিলোম: এই প্রাণায়াম করলে ঘুম ভালো হয়, মানসিক চাপ কমে। তবে এই প্রাণায়ামে শ্বাস নেওয়া ও শ্বাস ছাড়ার অনুপাত ১:২ হতে হবে। বাপ্পা শান্তনু বলেন, ‘যেটুকু সময় নিয়ে শ্বাস নেবেন তার দ্বিগুণ সময় নিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে। এই প্রাণায়াম অন্তত ৯ রাউন্ড করতে হবে, মানে ৪–৫ মিনিট ধরে করতে হবে।
ভ্রামরী প্রাণায়াম: ভ্রামরী প্রাণায়াম মানসিক চাপ কমায়, ঘুম ভালো হতে সহায়তা করে ও মনকে ভালো রাখে। এই প্রাণায়াম অন্তত ১১–২১ রাউন্ড করতে হবে। এতে করে ফল ভালো পাওয়া যাবে।
এছাড়াও পা ফোলা কমাতে যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কোনো কাজ করা যাবে না। অনেক সময় দেখা যায়, গর্ভবতী মা হয়ত একঘণ্টা বা দু’ঘণ্টা টানা দাঁড়িয়ে কাজ করেই যাচ্ছেন। এটা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু বসে বিশ্রাম নিতে হবে।
বাপ্পা শান্তনু জানান, গর্ভকালে যেহেতু পেটের ওজনটা বেশি থাকে; সেহেতু অবচেতনভাবেই দেখা যায়, গর্ভবতী মায়েরা একটু ঝুঁকে বসেন ও মেরুদন্ডটাও সামনের দিকে একটু বেঁকে যেতে থাকে। একটু চেষ্টা করতে হবে যে যখন চেয়ারে বা বিছানায় বসবেন তখন যেন বুক–পিঠ টানটান থাকে। মানে যেটুকু সম্ভব মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসার চেষ্টা করতে হবে। পুরোপুরি টানটান রেখে হয়ত বসা সম্ভব না, সেক্ষত্রে পেছনে খুব হালকা করে হেলান দিয়ে কাঁধ দুটো যাতে সামনের দিকে ভাঁজ না হয়ে যায় সেভাবে বসার চেষ্টা করতে হবে।
পুরো গর্ভকালীন সময়টায় পর্যাপ্ত পারিমাণে পানি পানের দিকে নজর রাখতে হবে। শরীরে পানি জমছে বলে, পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দিলে চলবে না। শরীরের ওজন অনুসারে সারাদিনে কী পরিমাণ পানি পান করতে হবে তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যেন পানি পান করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১৬ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১ দিন আগে