অধ্যাপক ডা. মো. সেতাবুর রহমান
ক্যানসার মানেই মৃত্যু নয়। এ রোগের চিকিৎসায় সফলতা অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ। বেশির ভাগ ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব। আবার অনেক ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সূচনায় শনাক্ত করা সম্ভব। সঠিক চিকিৎসা নিলে ক্যানসার থেকে সেরে উঠে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। কিন্তু স্ক্রিনিং সম্পর্কে মানুষের অসচেতনতার কারণে দিন দিন ক্যানসারের জটিলতা ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ক্যানসারের পরিণতি কী হবে, বিষয়টি নির্ভর করে কোন ধরনের ক্যানসার হয়েছে, সেটি কোন পর্যায়ে আছে, রোগীর বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতা—এ রকম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। এ রোগ নিয়ে সচেতনতার অভাব, শনাক্তকরণে দেরি হওয়া, যথাযথ চিকিৎসা না নেওয়া, চিকিৎসা গ্রহণ করা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা—এসব কারণে ক্যানসারে মৃত্যু আমাদের দেশে অনেক বেশি।
ক্যানসার প্রতিকার করতে হলে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানতে হবে অনেক বেশি, সচেতনও হতে হবে। ক্যানসারের বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা এখন দেশেই হচ্ছে। এ ছাড়া সব ধরনের ক্যানসার চিকিৎসা ব্যয়বহুল নয়; এটাও জানা জরুরি।
প্রতিরোধে যা করতে হবে
ক্যানসার একটি জটিল ও সাধারণত ব্যয়বহুল রোগ হলেও অনেকাংশে এটি প্রতিরোধযোগ্য। কিছু কিছু ক্যানসার ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় পুরোপুরি প্রতিরোধ সম্ভব। যেমন জরায়ু ক্যানসার।
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
» ধূমপান, মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
» বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও তাজা ফল খেতে হবে।
» ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবে না।
» প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন।
» খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত চিনি ও লবণ বাদ দিন।
» ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খাবেন না।
» অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
» ক্যানসার ‘প্রতিরোধ সম্পূরক’ বিষয়ে জানুন।
» নবজাতক ও শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান।
এসব বিষয়ে সচেতন হলে ক্যানসারে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা—দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
লেখক: অধ্যাপক ডা. মো. সেতাবুর রহমান, ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কলোরেক্টাল সার্জন, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, ল্যাবএইড ক্যানসার সুপার স্পেশালিটি সেন্টার, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
ক্যানসার মানেই মৃত্যু নয়। এ রোগের চিকিৎসায় সফলতা অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ। বেশির ভাগ ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব। আবার অনেক ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সূচনায় শনাক্ত করা সম্ভব। সঠিক চিকিৎসা নিলে ক্যানসার থেকে সেরে উঠে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়। কিন্তু স্ক্রিনিং সম্পর্কে মানুষের অসচেতনতার কারণে দিন দিন ক্যানসারের জটিলতা ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
ক্যানসারের পরিণতি কী হবে, বিষয়টি নির্ভর করে কোন ধরনের ক্যানসার হয়েছে, সেটি কোন পর্যায়ে আছে, রোগীর বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতা—এ রকম বিভিন্ন বিষয়ের ওপর। এ রোগ নিয়ে সচেতনতার অভাব, শনাক্তকরণে দেরি হওয়া, যথাযথ চিকিৎসা না নেওয়া, চিকিৎসা গ্রহণ করা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা—এসব কারণে ক্যানসারে মৃত্যু আমাদের দেশে অনেক বেশি।
ক্যানসার প্রতিকার করতে হলে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানতে হবে অনেক বেশি, সচেতনও হতে হবে। ক্যানসারের বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা এখন দেশেই হচ্ছে। এ ছাড়া সব ধরনের ক্যানসার চিকিৎসা ব্যয়বহুল নয়; এটাও জানা জরুরি।
প্রতিরোধে যা করতে হবে
ক্যানসার একটি জটিল ও সাধারণত ব্যয়বহুল রোগ হলেও অনেকাংশে এটি প্রতিরোধযোগ্য। কিছু কিছু ক্যানসার ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় পুরোপুরি প্রতিরোধ সম্ভব। যেমন জরায়ু ক্যানসার।
জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
» ধূমপান, মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
» বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও তাজা ফল খেতে হবে।
» ফাস্ট ফুড খাওয়া যাবে না।
» প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন।
» খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত চিনি ও লবণ বাদ দিন।
» ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খাবেন না।
» অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
» ক্যানসার ‘প্রতিরোধ সম্পূরক’ বিষয়ে জানুন।
» নবজাতক ও শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ান।
এসব বিষয়ে সচেতন হলে ক্যানসারে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা—দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
লেখক: অধ্যাপক ডা. মো. সেতাবুর রহমান, ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কলোরেক্টাল সার্জন, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগ, ল্যাবএইড ক্যানসার সুপার স্পেশালিটি সেন্টার, গ্রিন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে