ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি
গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যার মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি হলো এন্ডোমেট্রিওসিস। এ রোগটি নারীদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মানের অবনতি ঘটায় এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। এন্ডোমেট্রিওসিস নামে না চিনলেও ‘চকলেট সিস্ট’ নামে এ রোগটি অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত।
কারণ কী
এই রোগের কারণ মূলত অজানা। তবে কিছু থিওরিটিক্যাল ব্যাখ্যার মাধ্যমে এর কারণ চিহ্নিত করা হয়। যেমন মাসিকের রক্ত যদি পেছনের দিকে গিয়ে ডিম্বনালির মধ্য দিয়ে পেটের ভেতরে যায়, তাহলে এ রোগটি হতে পারে। এ ছাড়া জেনেটিক বা বংশগত কারণকেও এই রোগের জন্য দায়ী করা হয়।
কীভাবে হয়
জরায়ুর তিনটি স্তরের মধ্যে সবচেয়ে ভেতরের স্তরটির নাম এন্ডোমেট্রিয়াম। এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ জরায়ুর বাইরে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে এন্ডোমেট্রিওসিস হয়।
জরায়ুর বাইরে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে গ্রথিত হওয়া এন্ডোমেট্রিয়াল কোষের ওপরও একই সঙ্গে স্ত্রী হরমোনের প্রভাব পড়ে। ফলে জরায়ুর ভেতরের স্তরের মতো একই ধরনের পরিবর্তন ও প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামের স্তরটি মাসিকের সময় বেরিয়ে গেলেও অন্যান্য জায়গার পরিবর্তিত স্তরগুলো বেরোতে পারে না। সেগুলো সেখানে থেকে গিয়ে রক্ত ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে ঘন ও আঠালো হয়ে সিস্ট তৈরি করে অথবা বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গ্রথিত অবস্থায় থেকে যায়। ফলে ঋতুচক্রের সঙ্গে সঙ্গে এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
কোথায় হয়ে থাকে
উপসর্গ
কোনো কোনো ক্ষেত্রে, এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকেরা এই রোগ শনাক্ত করে থাকেন।
কাদের বেশি হয়
রোগ নির্ণয়
চিকিৎসা
দীর্ঘমেয়াদি এই রোগের সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত ফলোআপ করলে অনেকটা ভালো থাকা যায় এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের মানও
উন্নত হয়।
লেখক: প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যার মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি হলো এন্ডোমেট্রিওসিস। এ রোগটি নারীদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মানের অবনতি ঘটায় এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। এন্ডোমেট্রিওসিস নামে না চিনলেও ‘চকলেট সিস্ট’ নামে এ রোগটি অনেকের কাছেই বেশ পরিচিত।
কারণ কী
এই রোগের কারণ মূলত অজানা। তবে কিছু থিওরিটিক্যাল ব্যাখ্যার মাধ্যমে এর কারণ চিহ্নিত করা হয়। যেমন মাসিকের রক্ত যদি পেছনের দিকে গিয়ে ডিম্বনালির মধ্য দিয়ে পেটের ভেতরে যায়, তাহলে এ রোগটি হতে পারে। এ ছাড়া জেনেটিক বা বংশগত কারণকেও এই রোগের জন্য দায়ী করা হয়।
কীভাবে হয়
জরায়ুর তিনটি স্তরের মধ্যে সবচেয়ে ভেতরের স্তরটির নাম এন্ডোমেট্রিয়াম। এন্ডোমেট্রিয়াল কোষ জরায়ুর বাইরে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে এন্ডোমেট্রিওসিস হয়।
জরায়ুর বাইরে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে গ্রথিত হওয়া এন্ডোমেট্রিয়াল কোষের ওপরও একই সঙ্গে স্ত্রী হরমোনের প্রভাব পড়ে। ফলে জরায়ুর ভেতরের স্তরের মতো একই ধরনের পরিবর্তন ও প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামের স্তরটি মাসিকের সময় বেরিয়ে গেলেও অন্যান্য জায়গার পরিবর্তিত স্তরগুলো বেরোতে পারে না। সেগুলো সেখানে থেকে গিয়ে রক্ত ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে ঘন ও আঠালো হয়ে সিস্ট তৈরি করে অথবা বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গ্রথিত অবস্থায় থেকে যায়। ফলে ঋতুচক্রের সঙ্গে সঙ্গে এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
কোথায় হয়ে থাকে
উপসর্গ
কোনো কোনো ক্ষেত্রে, এই রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকেরা এই রোগ শনাক্ত করে থাকেন।
কাদের বেশি হয়
রোগ নির্ণয়
চিকিৎসা
দীর্ঘমেয়াদি এই রোগের সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত ফলোআপ করলে অনেকটা ভালো থাকা যায় এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের মানও
উন্নত হয়।
লেখক: প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
পেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
২ দিন আগেপুরুষদের জন্য নতুন এক জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটিতে কোনো হরমোন নেই। আরও সহজ করে বললে, এই ওষুধ খাওয়ার পর পুরুষের হরমোনে সেই অর্থে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এর নাম ওয়াইসিটি-৫২৯। ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদন থেকে এ...
২ দিন আগেএকসময়কার আভিজাত্যের প্রতীক সেই ভুঁড়িই এখন চিন্তার কারণ। ভারতে বাড়ছে স্থূলতা সমস্যা। আর আপাত নিরীহ সেই ভুঁড়িই হয়তো সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনছে। ২০২১ সালে ভারতে ১৮ কোটি মানুষ ছিলেন স্থূল বা অতিরিক্ত ওজনের। বিশ্বে স্থূল মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারতের অবস্থা ছিল দ্বিতীয়।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুর বড় কারণ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক। তবে সম্প্রতি ব্রিটিশ একদল গবেষক এমন এক ধরনের রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে আগেভাগেই জানা যাবে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ হৃৎপিণ্ডসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র ৫ পাউন্ড স্টারলিং বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প
৩ দিন আগে