ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
ঈদ মানেই বিশেষ কিছু; হরেক রকম রান্না, দাওয়াত ও উৎসবের আমেজ। এক মাস রোজা রেখে যখন ঈদ আসে, তখন খাবার নিয়ন্ত্রণ করা একটু কঠিনই হয়ে পড়ে। এ সময় ডায়াবেটিসের রোগীরা তাঁদের খাবার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, সেটা বেশ ভাবনার বিষয়।
খাবারদাবার
রমজানের আগে ডায়াবেটিসের রোগীরা যে ডায়েট চার্ট ফলো করছিলেন বা যত কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করছিলেন, রমজানের পরে অর্থাৎ ঈদেও তত কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। ভাত বা শর্করাজাতীয় খাবার একটু কম করে খেতে হবে। ভাতে প্রচুর পরিমাণে পরিশোধিত স্টার্চ বা শর্করা থাকে এবং এতে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে। তাই ভাত রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব দ্রুত বাড়ায় বলে ভাত কম খেয়ে যেসব খাবারে ফাইবার তথা আঁশ বেশি থাকে, সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেমন লাল আটার রুটি, চিড়া, ভুট্টা—এগুলো ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়।
মিষ্টি খেতে চাইলে কী করবেন
ঈদে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে মন চাইতেই পারে। সে ক্ষেত্রে কম মিষ্টি দিয়ে তৈরি খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে বিকল্প চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার দিয়ে সেমাই, পায়েস রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে মিষ্টির স্বাদ পাবেন, কিন্তু ব্লাড সুগার বাড়বে না।
খাবার খাওয়া শেষ তো উঠে পড়ুন
ডায়াবেটিসের রোগীদের উচিত খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টেবিল থেকে উঠে যাওয়া। অন্যদের সঙ্গে বসে গল্প করতে থাকলে অন্যদের অনুরোধে কিংবা নিজের ইচ্ছায় বেশি খাওয়া হয়ে যাবে। তাই খাওয়া শেষ তো টেবিল থেকে উঠে পড়ুন।
খাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়বেন না
রাতের খাবার যথাসম্ভব আগে খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে খাবার খেয়ে ঘরের মধ্যে ১০ মিনিট পায়চারি করা উচিত। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ডায়াবেটিসের রোগীদের উচিত তিন দিন পর পর গ্লুকোমিটার মেশিন দিয়ে চার বেলা ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে খাতায় লিখে রাখা। সকালেখালি পেটে, সকালের খাবারের দুই ঘণ্টা পর, দুপুরের খাবারের দুই ঘণ্টা পর, রাতে খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার মেপে নিতে পারেন।
যেহেতু রমজানে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিনি দিয়ে শরবত, মিষ্টি ফল, যেমন খেজুর, মাল্টা, কলা খাওয়া হয়ে যায়, তাই রমজানের পর ডায়াবেটিসের রোগীদের রুটিন পরীক্ষাগুলো করে ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।শাকসবজি ও সবুজ ফল বেশি করে খানঈদের মধ্যে খাবার শুরু করুন শাকসবজি দিয়ে। এ-জাতীয় খাবার ক্ষুধা কমাবে এবং ব্লাড সুগার বাড়াবে না। শাক ও সবজিতে যেমন আঁশ বেশি থাকে, তেমনি ক্যালরি বা শর্করা কম থাকে। বিকেলের নাশতায় সবুজ ফল, যেমন সবুজ আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
টিপস
ডায়াবেটিসের রোগীরা সব খাবারই খেতে পারবেন। তবে খেতে হবে পরিমাণমতো।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
ঈদ মানেই বিশেষ কিছু; হরেক রকম রান্না, দাওয়াত ও উৎসবের আমেজ। এক মাস রোজা রেখে যখন ঈদ আসে, তখন খাবার নিয়ন্ত্রণ করা একটু কঠিনই হয়ে পড়ে। এ সময় ডায়াবেটিসের রোগীরা তাঁদের খাবার কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন, সেটা বেশ ভাবনার বিষয়।
খাবারদাবার
রমজানের আগে ডায়াবেটিসের রোগীরা যে ডায়েট চার্ট ফলো করছিলেন বা যত কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করছিলেন, রমজানের পরে অর্থাৎ ঈদেও তত কিলোক্যালরি খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। ভাত বা শর্করাজাতীয় খাবার একটু কম করে খেতে হবে। ভাতে প্রচুর পরিমাণে পরিশোধিত স্টার্চ বা শর্করা থাকে এবং এতে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে। তাই ভাত রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব দ্রুত বাড়ায় বলে ভাত কম খেয়ে যেসব খাবারে ফাইবার তথা আঁশ বেশি থাকে, সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেমন লাল আটার রুটি, চিড়া, ভুট্টা—এগুলো ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যায়।
মিষ্টি খেতে চাইলে কী করবেন
ঈদে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে মন চাইতেই পারে। সে ক্ষেত্রে কম মিষ্টি দিয়ে তৈরি খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে বিকল্প চিনি বা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার দিয়ে সেমাই, পায়েস রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে মিষ্টির স্বাদ পাবেন, কিন্তু ব্লাড সুগার বাড়বে না।
খাবার খাওয়া শেষ তো উঠে পড়ুন
ডায়াবেটিসের রোগীদের উচিত খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টেবিল থেকে উঠে যাওয়া। অন্যদের সঙ্গে বসে গল্প করতে থাকলে অন্যদের অনুরোধে কিংবা নিজের ইচ্ছায় বেশি খাওয়া হয়ে যাবে। তাই খাওয়া শেষ তো টেবিল থেকে উঠে পড়ুন।
খাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়বেন না
রাতের খাবার যথাসম্ভব আগে খাওয়ার চেষ্টা করুন। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া ঠিক নয়। প্রয়োজনে খাবার খেয়ে ঘরের মধ্যে ১০ মিনিট পায়চারি করা উচিত। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ডায়াবেটিসের রোগীদের উচিত তিন দিন পর পর গ্লুকোমিটার মেশিন দিয়ে চার বেলা ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে খাতায় লিখে রাখা। সকালেখালি পেটে, সকালের খাবারের দুই ঘণ্টা পর, দুপুরের খাবারের দুই ঘণ্টা পর, রাতে খাবার খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার মেপে নিতে পারেন।
যেহেতু রমজানে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিনি দিয়ে শরবত, মিষ্টি ফল, যেমন খেজুর, মাল্টা, কলা খাওয়া হয়ে যায়, তাই রমজানের পর ডায়াবেটিসের রোগীদের রুটিন পরীক্ষাগুলো করে ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।শাকসবজি ও সবুজ ফল বেশি করে খানঈদের মধ্যে খাবার শুরু করুন শাকসবজি দিয়ে। এ-জাতীয় খাবার ক্ষুধা কমাবে এবং ব্লাড সুগার বাড়াবে না। শাক ও সবজিতে যেমন আঁশ বেশি থাকে, তেমনি ক্যালরি বা শর্করা কম থাকে। বিকেলের নাশতায় সবুজ ফল, যেমন সবুজ আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
টিপস
ডায়াবেটিসের রোগীরা সব খাবারই খেতে পারবেন। তবে খেতে হবে পরিমাণমতো।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে