ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি
মায়ের শরীরে জন্ম নেয় নবজাতকের ভ্রূণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বিকশিত হয়। পূর্ণতা পায় মানবশিশুর অবয়ব। মায়ের গর্ভে শিশুর বেড়ে ওঠা, সুস্থতা, ওজন, মেধা, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, জন্মগত ত্রুটি—এসবের অধিকাংশই নির্ভর করে মায়ের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার ওপর। আর মায়ের সুস্থতা নির্ভর করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন প্রণালির ওপর।
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের স্বাভাবিকের প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। ক্যালরি সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাকে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হয়। মায়ের অপুষ্টির ফলে গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এতে শিশু দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই এই সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
খাবার খেতে হবে। সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে।
রমজান মাসে গর্ভবতী মায়েদের রোজা রাখার ব্যাপারে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। রোজা রাখা ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে রোজা রাখার ব্যাপারে গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে শিথিলতা রয়েছে বলে আমরা সবাই জানি। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে যেকোনো গর্ভবতী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা পালন করতে পারেন।
গর্ভকালকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ভাগ করা হয়।
প্রথম ট্রাইমেস্টার
(১-১৩ সপ্তাহ)
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। তা ছাড়া প্রথম তিন মাস বমিভাব ও অরুচি বোধ করার কারণে বেশির ভাগ মা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে পারেন না। ফলে দুর্বলতা, ক্লান্তি ভাব, অনিদ্রা এবং ওজন কমে যাওয়ার মতো ব্যাপারগুলো ঘটে থাকে। তাই গর্ভের প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই ভালো।
দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার
(১৪-২৬ সপ্তাহ)
গর্ভকালীন এই সময়কে ‘স্বর্ণালি সময়’ বলা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারের অপ্রীতিকর উপসর্গগুলো থেকে এ সময় মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে মায়ের খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে। দুর্বলতা কমে গিয়ে ভালো অনুভব করেন। মা ও শিশুর যদি কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকে, তাহলে ১৪ থেকে ২৬ সপ্তাহকাল সময়ে রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তৃতীয় ট্রাইমেস্টার
(২৭-৪০ সপ্তাহ)
প্রথম ট্রাইমেস্টারের মতো এই ট্রাইমেস্টারেও প্রয়োজন কিছু বাড়তি যত্ন ও সতর্কতার। এ সময় শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তাই মায়ের খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। রোজা রাখার ফলে যদি মায়ের ওজন কমে যায় কিংবা শিশুর নড়াচড়া কম করে, তবে রোজা না রাখাই ভালো এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লক্ষ রাখতে হবে
যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
একজন গর্ভবতীর শরীরে বেড়ে ওঠে আরেকটি জীবন। সেই জীবনের সুস্থতা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে মায়ের সুস্থতার ওপর। গর্ভের শিশুর সামান্যতম ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেকোনো সুস্থ-সবল গর্ভবতী নারী অনায়াসে রোজা পালন করতে পারেন।
ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, সহকারী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
মায়ের শরীরে জন্ম নেয় নবজাতকের ভ্রূণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বিকশিত হয়। পূর্ণতা পায় মানবশিশুর অবয়ব। মায়ের গর্ভে শিশুর বেড়ে ওঠা, সুস্থতা, ওজন, মেধা, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, জন্মগত ত্রুটি—এসবের অধিকাংশই নির্ভর করে মায়ের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার ওপর। আর মায়ের সুস্থতা নির্ভর করে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন প্রণালির ওপর।
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের স্বাভাবিকের প্রায় দ্বিগুণ ক্যালরির প্রয়োজন হয়। ক্যালরি সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাকে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হয়। মায়ের অপুষ্টির ফলে গর্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। এতে শিশু দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই এই সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
খাবার খেতে হবে। সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিশ্চিত করতে হবে।
রমজান মাসে গর্ভবতী মায়েদের রোজা রাখার ব্যাপারে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। রোজা রাখা ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে রোজা রাখার ব্যাপারে গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে শিথিলতা রয়েছে বলে আমরা সবাই জানি। তবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে যেকোনো গর্ভবতী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা পালন করতে পারেন।
গর্ভকালকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে ভাগ করা হয়।
প্রথম ট্রাইমেস্টার
(১-১৩ সপ্তাহ)
এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। তা ছাড়া প্রথম তিন মাস বমিভাব ও অরুচি বোধ করার কারণে বেশির ভাগ মা ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে পারেন না। ফলে দুর্বলতা, ক্লান্তি ভাব, অনিদ্রা এবং ওজন কমে যাওয়ার মতো ব্যাপারগুলো ঘটে থাকে। তাই গর্ভের প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই ভালো।
দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার
(১৪-২৬ সপ্তাহ)
গর্ভকালীন এই সময়কে ‘স্বর্ণালি সময়’ বলা হয়। প্রথম ট্রাইমেস্টারের অপ্রীতিকর উপসর্গগুলো থেকে এ সময় মুক্তি পাওয়া যায়। ফলে মায়ের খাবার গ্রহণ এবং ঘুমের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে। দুর্বলতা কমে গিয়ে ভালো অনুভব করেন। মা ও শিশুর যদি কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকে, তাহলে ১৪ থেকে ২৬ সপ্তাহকাল সময়ে রোজা রাখতে কোনো বাধা নেই। তবে তার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তৃতীয় ট্রাইমেস্টার
(২৭-৪০ সপ্তাহ)
প্রথম ট্রাইমেস্টারের মতো এই ট্রাইমেস্টারেও প্রয়োজন কিছু বাড়তি যত্ন ও সতর্কতার। এ সময় শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। তাই মায়ের খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। রোজা রাখার ফলে যদি মায়ের ওজন কমে যায় কিংবা শিশুর নড়াচড়া কম করে, তবে রোজা না রাখাই ভালো এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লক্ষ রাখতে হবে
যখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
একজন গর্ভবতীর শরীরে বেড়ে ওঠে আরেকটি জীবন। সেই জীবনের সুস্থতা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে মায়ের সুস্থতার ওপর। গর্ভের শিশুর সামান্যতম ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেকোনো সুস্থ-সবল গর্ভবতী নারী অনায়াসে রোজা পালন করতে পারেন।
ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, সহকারী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং করার এই অভ্যাসটিকে বলা হয় ‘ডুমস্ক্রলিং’। এটি দিয়ে মূলত মানুষের নেতিবাচক খবর খোঁজা এবং পড়ে দেখার একটি প্রবণতাকে বোঝানো হয়। ফলে ডুমস্ক্রলিং মানুষের মন খারাপের কারণ হতে পারে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এটি মানুষের মন খারাপের কারণ হয়, সেই বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছেন বিজ
২ ঘণ্টা আগেসুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগে