ডা. জেসমীন আক্তার লীনা
শীতের হাওয়া ও মৃদু ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে শীত চলে আসবে। তখন নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা যাবে। আগাম প্রস্তুতি নিলে শীতের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা সহজ।
শীতের সাধারণ রোগ চুলকানি
শীতে শরীর চুলকানো খুবই সাধারণ বিষয়। বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে শীত এলে ত্বক বেশি শুকিয়ে যায়। তখন শরীর চুলকায়। নখ বা অন্য কিছু দিয়ে বারবার চুলকানোর ফলে চুলকানি আরও বেড়ে যায়। একান্তই অসহ্য লাগলে হালকাভাবে হাতের তালু দিয়ে চুলকানো যেতে পারে।
শুষ্কতার কারণে চুলকানি দেখা দিলে যা করবেন:-
একজিমা
শীত এলে একজিমা বাড়তে পারে। একজিমা ভালো হওয়ার পরও আক্রান্ত জায়গাটি শুষ্ক হতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ ধরনের একজিমা আছে, যার নাম একজিমা ক্রাকুয়েলেটাম। সাধারণত চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের এই চর্মরোগ হয়। বাতাসের জলীয় পদার্থ কমে যায় বলে এটি শীত এলেই বাড়ে। তখন শুষ্ক ত্বকের গায়ে ফাটা ফাটা দাগ ও হালকা পরিমাণ আঁশ এবং ত্বক পুরু হতে দেখা যায়। ত্বক চুলকালে পুরু হতে থাকে এবং একপর্যায়ে তা শক্ত ও অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে।
স্ক্যাবিস
ত্বকের বহু রোগের মধ্যে একটি স্ক্যাবিস। বাংলায় একে খুজলি-পাঁচড়াও বলে থাকেন অনেকে। এটির সঙ্গে সরাসরি শীতের বা বাতাসের আর্দ্রতার কোনো সম্পর্কের কথা জানা যায় না। তবে রোগটি শীত এলেই ব্যাপক আকারে দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুরা এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে থাকে। শুধু পরিবেশগত কারণে এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে স্ক্যাবিসে আক্রান্ত বেশি দেখা যায়। তবে যেসব শিশু স্কুলে যায়, তারাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। এটি স্ক্যাবিয়াইসারকপটিস স্ক্যারিবাই নামে জীবাণুবাহিত রোগ। এ রোগ হলে শরীরে অসম্ভব রকম চুলকানি হতে দেখা যায় এবং রাতে চুলকানির তীব্রতা বাড়ে। এ রোগে পরিবারের সব সদস্যকে একসঙ্গে চিকিৎসা দিতে হয়।
এ ছাড়া হাম ও চিকেন পক্সের মতো ভাইরাসজনিত রোগগুলো শীতকালে বেশি হয়ে থাকে।
লেখক:সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ,স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বার: আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
শীতের হাওয়া ও মৃদু ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে শীত চলে আসবে। তখন নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা যাবে। আগাম প্রস্তুতি নিলে শীতের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা সহজ।
শীতের সাধারণ রোগ চুলকানি
শীতে শরীর চুলকানো খুবই সাধারণ বিষয়। বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে শীত এলে ত্বক বেশি শুকিয়ে যায়। তখন শরীর চুলকায়। নখ বা অন্য কিছু দিয়ে বারবার চুলকানোর ফলে চুলকানি আরও বেড়ে যায়। একান্তই অসহ্য লাগলে হালকাভাবে হাতের তালু দিয়ে চুলকানো যেতে পারে।
শুষ্কতার কারণে চুলকানি দেখা দিলে যা করবেন:-
একজিমা
শীত এলে একজিমা বাড়তে পারে। একজিমা ভালো হওয়ার পরও আক্রান্ত জায়গাটি শুষ্ক হতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ ধরনের একজিমা আছে, যার নাম একজিমা ক্রাকুয়েলেটাম। সাধারণত চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের এই চর্মরোগ হয়। বাতাসের জলীয় পদার্থ কমে যায় বলে এটি শীত এলেই বাড়ে। তখন শুষ্ক ত্বকের গায়ে ফাটা ফাটা দাগ ও হালকা পরিমাণ আঁশ এবং ত্বক পুরু হতে দেখা যায়। ত্বক চুলকালে পুরু হতে থাকে এবং একপর্যায়ে তা শক্ত ও অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে।
স্ক্যাবিস
ত্বকের বহু রোগের মধ্যে একটি স্ক্যাবিস। বাংলায় একে খুজলি-পাঁচড়াও বলে থাকেন অনেকে। এটির সঙ্গে সরাসরি শীতের বা বাতাসের আর্দ্রতার কোনো সম্পর্কের কথা জানা যায় না। তবে রোগটি শীত এলেই ব্যাপক আকারে দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুরা এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে থাকে। শুধু পরিবেশগত কারণে এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে স্ক্যাবিসে আক্রান্ত বেশি দেখা যায়। তবে যেসব শিশু স্কুলে যায়, তারাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। এটি স্ক্যাবিয়াইসারকপটিস স্ক্যারিবাই নামে জীবাণুবাহিত রোগ। এ রোগ হলে শরীরে অসম্ভব রকম চুলকানি হতে দেখা যায় এবং রাতে চুলকানির তীব্রতা বাড়ে। এ রোগে পরিবারের সব সদস্যকে একসঙ্গে চিকিৎসা দিতে হয়।
এ ছাড়া হাম ও চিকেন পক্সের মতো ভাইরাসজনিত রোগগুলো শীতকালে বেশি হয়ে থাকে।
লেখক:সহকারী অধ্যাপক, চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিভাগ,স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
চেম্বার: আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,মিরপুর রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে