অনলাইন ডেস্ক
বানরের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল জিনগত প্রকৌশলের মাধ্যমে বদলে দেওয়া একটি শূকরের কিডনি। সেই কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বানরটি সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় জীবিত ছিল প্রায় দুই বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সফল প্রতিস্থাপনের ফলে মানুষের দেহে অন্য প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি আরও এগিয়ে গেল। এতে প্রতি বছর লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছে, প্রাইমেট গোত্রীয় বানরটির দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ফলে মানুষের দেহ উপযোগী অন্য প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সফল হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ই-জেনেসিস নামের একটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালিয়েছে। তাঁরা মূলত অত্যাধুনিক জিনোম প্রকৌশলের ওপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন। অত্যাধুনিক এই জিনোম প্রযুক্তিটির নাম হলো—জিন এডিটিং বা জিন সম্পাদনা। সাধারণত অন্য প্রাণীর কোনো অঙ্গ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপিত করা হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই অঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জিন সম্পাদনার বিষয়টিকে অনেকটাই পরিবর্তন করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা অন্য প্রাণীর অঙ্গকে মানুষের দেহে কার্য উপযোগী করে বদলে নিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে ই-জেনেসিসের প্রধান নির্বাহী মিশেল কার্টিস বলেন, ‘আমাদের মানুষের জন্য নতুন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দাতার সন্ধান দেবে যা হাজারো মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।’ মিশেল কার্টিস এই গবেষণার প্রধান ছিলেন। তিনি বলছেন, মানবদেহে এ ধরনে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো যে ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তার অনেকগুলোই আমরা এই গবেষণা থেকে পেয়ে গেছি।
এই নতুন আবিষ্কার নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী অনেকে। তাদেরই একজন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ডের স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিয়াক জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রোগ্রামের পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই নিবন্ধ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযুক্তিতে এখন সরাসরি মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসায় প্রয়োগের সময় এসেছে।’ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নিজেও এই বিষয়ে নেচার জার্নালে নিবন্ধ লিখেছিলেন।
চিকিৎসকেরা আশা করছেন, এই প্রতিস্থাপন সফল হলে প্রতি বছর লাখো মানুষ বেঁচে যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১ লাখ মানুষের ৪০ শতাংশই নানা ধরনে কিডনি জটিলতায় ভোগেন এবং তাদের অধিকাংশেরই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা একেবারে কম নয়। যেমন ২০২২ সালে ভারতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ লিভার ফেইলিওরের শিকার হয়েছেন। প্রায় ২ লাখ মানুষ শিকার হয়েছেন কিডনি ফেইলিওরের। কিন্তু মাত্র ১৫ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
যাই হোক বিজ্ঞানীরা ওই শূকরের দেহে সব মিলিয়ে ৬৯ ধরনের জিনগত সম্পাদনা করেছিলেন। কিছু কিছু জিন সম্পাদনা করা হয়েছে যাতে সেটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে বিরোধ তৈরি না করে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয়ে জিনগত পরিবর্তন এনেছিলেন ওই শূকরেরে দেহে।
উল্লেখ্য, ওই বানরটি কিডনি প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ৭৫৮ দিন জীবিত ছিল। যা মানুষের বাইরে কোনো প্রাইমেট গোত্রীয় প্রাণীর ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়।
বানরের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল জিনগত প্রকৌশলের মাধ্যমে বদলে দেওয়া একটি শূকরের কিডনি। সেই কিডনি প্রতিস্থাপনের পর বানরটি সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় জীবিত ছিল প্রায় দুই বছর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সফল প্রতিস্থাপনের ফলে মানুষের দেহে অন্য প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি আরও এগিয়ে গেল। এতে প্রতি বছর লাখো মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
গতকাল বুধবার বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছে, প্রাইমেট গোত্রীয় বানরটির দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার ফলে মানুষের দেহ উপযোগী অন্য প্রাণীর কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি সফল হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের ই-জেনেসিস নামের একটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালিয়েছে। তাঁরা মূলত অত্যাধুনিক জিনোম প্রকৌশলের ওপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন। অত্যাধুনিক এই জিনোম প্রযুক্তিটির নাম হলো—জিন এডিটিং বা জিন সম্পাদনা। সাধারণত অন্য প্রাণীর কোনো অঙ্গ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপিত করা হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সেই অঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জিন সম্পাদনার বিষয়টিকে অনেকটাই পরিবর্তন করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা অন্য প্রাণীর অঙ্গকে মানুষের দেহে কার্য উপযোগী করে বদলে নিয়েছিলেন।
এই বিষয়ে ই-জেনেসিসের প্রধান নির্বাহী মিশেল কার্টিস বলেন, ‘আমাদের মানুষের জন্য নতুন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দাতার সন্ধান দেবে যা হাজারো মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।’ মিশেল কার্টিস এই গবেষণার প্রধান ছিলেন। তিনি বলছেন, মানবদেহে এ ধরনে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো যে ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তার অনেকগুলোই আমরা এই গবেষণা থেকে পেয়ে গেছি।
এই নতুন আবিষ্কার নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী অনেকে। তাদেরই একজন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ডের স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিয়াক জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রোগ্রামের পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই নিবন্ধ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযুক্তিতে এখন সরাসরি মাঠ পর্যায়ের চিকিৎসায় প্রয়োগের সময় এসেছে।’ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নিজেও এই বিষয়ে নেচার জার্নালে নিবন্ধ লিখেছিলেন।
চিকিৎসকেরা আশা করছেন, এই প্রতিস্থাপন সফল হলে প্রতি বছর লাখো মানুষ বেঁচে যাবে। পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১ লাখ মানুষের ৪০ শতাংশই নানা ধরনে কিডনি জটিলতায় ভোগেন এবং তাদের অধিকাংশেরই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা একেবারে কম নয়। যেমন ২০২২ সালে ভারতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ লিভার ফেইলিওরের শিকার হয়েছেন। প্রায় ২ লাখ মানুষ শিকার হয়েছেন কিডনি ফেইলিওরের। কিন্তু মাত্র ১৫ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।
যাই হোক বিজ্ঞানীরা ওই শূকরের দেহে সব মিলিয়ে ৬৯ ধরনের জিনগত সম্পাদনা করেছিলেন। কিছু কিছু জিন সম্পাদনা করা হয়েছে যাতে সেটি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে বিরোধ তৈরি না করে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু বিষয়ে জিনগত পরিবর্তন এনেছিলেন ওই শূকরেরে দেহে।
উল্লেখ্য, ওই বানরটি কিডনি প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ৭৫৮ দিন জীবিত ছিল। যা মানুষের বাইরে কোনো প্রাইমেট গোত্রীয় প্রাণীর ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়।
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৩ দিন আগে