মইনুল হাসান
সংক্রামক ভাইরাস নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁরা সবাই একমত যে নোভেল করোনাভাইরাস (সার্স-কোভ-২) খুব শিগগিরই পুরোনো হচ্ছে না। অর্থাৎ, খুব সহজে পৃথিবীর মানুষ এ ভাইরাস থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাই জানিয়েছে, `এই অতি ক্ষুদ্র ও অতি ভয়ংকর শত্রুর সঙ্গে আমাদের বহু বছর কাটাতে হতে পারে।' বিজ্ঞানীরা মাত্র ১০ মাস, বিস্ময়কর রেকর্ড সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক টিকা বা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হলেও পৃথিবীর সব মানুষকে দ্রুত টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, এ বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভাগ্যবান মানুষ, যাঁরা অধিকাংশই উন্নত দেশগুলোতে বসবাস করেন। টিকা প্রয়োগের এমন ধীরগতির সুযোগে নোভেল করোনাভাইরাস নিজেকে খানিকটা বদলে নিত্য নতুন রূপে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন একই ভাইরাসের নানা ধরন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। বিশেষ করে ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বেজায় বিপাকে ফেলেছে। এই ধরন মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯১ শতাংশ থেকে ৬৬ শতাংশে নামিয়ে আনে। এদিকে কলম্বিয়া থেকে শুরু করে আরেকটি ধরন ‘মিউ’ ৩৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা এই নতুন ধরনের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।
বিজ্ঞানীরা তাই কার্যকর, সহজলভ্য, সহজে সংরক্ষণ ও প্রয়োগ করা যায় এমন ধরনের কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা ও ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে অনেকখানি এগিয়েও গিয়েছেন। অচিরেই কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পাঁচটি নতুন ওষুধ বাজারে আসছে—
এক. মলনুপিরাভির
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স যৌথভাবে তৈরি করেছে এই ট্যাবলেট টিকা। সংক্রমিত ২০২ জনের ওপর প্রথম দফা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, মলনুপিরাভির মাত্র ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। প্রতিদিন দুটি করে মলনুপিরাভির ট্যাবলেট পাঁচ দিন খাওয়ার পর তাঁদের সবাই করোনামুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।
দুই. এক্সএভি-১৯ (XAV-19)
ফরাসি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনোথেরা ক্যাপসুল আকারের এই টিকা বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ওষুধ বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকা দিয়ে তৈরি, ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। কোভিড আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করে তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলে। দ্বিতীয় দফা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ফ্রান্সের ৩৫টি হাসপাতালে এই টিকা প্রয়োগে রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়নি। বর্তমানে ইউরোপের করোনা সংক্রমিত ৭২২ জনের ওপর তৃতীয় দফা পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। জেনোথেরা জানিয়েছে, ফরাসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে ৩০ হাজার ডোজ এক্সএভি-১৯-এর জন্য বায়না করে রেখেছে। এ বছরের অক্টোবর থেকেই বাজারে আসবে এটি।
তিন. টসিলিজুমাব
মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি এটি একটি ইনজেকশন, যা শিরায় প্রয়োগ করতে হয়। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছালে রোগীর তীব্র প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে এটি। ফলে রোগীকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখার প্রয়োজন হয় না। এই ওষুধ ব্যবহারে বহু মৃত্যু এড়ানো গেছে এবং অনেক রোগীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন হয়নি। এই ওষুধ অ্যাকটেমরা অথবা রোএকতেমরা নামে বাজারে পাওয়া যায় এবং সাধারণত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে এর কার্যকারিতা গত মে মাসে জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়। তবে ওষুধটিকে মোটেই সহজলভ্য বলা যাবে না। কারণ, সুইস রোচ ওষুধ কোম্পানির একটি ইনজেকশনের মূল্য প্রায় ৮০০ ইউরো।
চার. রোনাপ্রেভে
এটিও একটি ইনজেকশন, যা শিরায় প্রয়োগ করতে হয়। একধরনের বিশেষ অ্যান্টিবডি এটি, যা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে। যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের লেঁ রোনাপ্রেভে ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। ফ্রান্সের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এই ইনজেকশন অনুমোদন করেছে। তবে খুবই উচ্চমূল্যের, সুইস রোচ ওষুধ কোম্পানির উৎপাদিত একটি ইনজেকশনের মূল্য প্রায় ২ হাজার ইউরো; অর্থাৎ, টাকার অঙ্কে প্রায় ২ লাখ।
পাঁচ. এ জেড ডি৭৪৪২ (AZD 7442)
দুই ধরনের বিশেষ অ্যান্টিবডির মিশ্রণে তৈরি এজেডডি৭৪৪২। এটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৭৭ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে। ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫ হাজার ১৯৭ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করে এমন ফলাফল পাওয়া গেছে। এই ওষুধের প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত ২০ আগস্ট এ তথ্য জানিয়েছে। একটি ইনজেকশন রোগীকে বহুদিন, অর্থাৎ এক বছর পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
টিকার সঙ্গে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে আরও বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ অচিরেই বাজারে আসবে। সেই সব ওষুধ সাধারণের জন্য দ্রুত সহজলভ্য হলেই তা উপকারে আসবে।
মইনুল হাসান: ফ্রান্স প্রবাসী লেখক ও অণুজীব বিজ্ঞানী
সংক্রামক ভাইরাস নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁরা সবাই একমত যে নোভেল করোনাভাইরাস (সার্স-কোভ-২) খুব শিগগিরই পুরোনো হচ্ছে না। অর্থাৎ, খুব সহজে পৃথিবীর মানুষ এ ভাইরাস থেকে রেহাই পাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তাই জানিয়েছে, `এই অতি ক্ষুদ্র ও অতি ভয়ংকর শত্রুর সঙ্গে আমাদের বহু বছর কাটাতে হতে পারে।' বিজ্ঞানীরা মাত্র ১০ মাস, বিস্ময়কর রেকর্ড সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক টিকা বা ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করতে সক্ষম হলেও পৃথিবীর সব মানুষকে দ্রুত টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে, এ বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পুরো পৃথিবীতে মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আর দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভাগ্যবান মানুষ, যাঁরা অধিকাংশই উন্নত দেশগুলোতে বসবাস করেন। টিকা প্রয়োগের এমন ধীরগতির সুযোগে নোভেল করোনাভাইরাস নিজেকে খানিকটা বদলে নিত্য নতুন রূপে আরও বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। তীব্র সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন একই ভাইরাসের নানা ধরন পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। বিশেষ করে ভারতীয় ধরন বা ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট বেজায় বিপাকে ফেলেছে। এই ধরন মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯১ শতাংশ থেকে ৬৬ শতাংশে নামিয়ে আনে। এদিকে কলম্বিয়া থেকে শুরু করে আরেকটি ধরন ‘মিউ’ ৩৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা এই নতুন ধরনের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।
বিজ্ঞানীরা তাই কার্যকর, সহজলভ্য, সহজে সংরক্ষণ ও প্রয়োগ করা যায় এমন ধরনের কোভিড-১৯ প্রতিষেধক টিকা ও ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে অনেকখানি এগিয়েও গিয়েছেন। অচিরেই কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পাঁচটি নতুন ওষুধ বাজারে আসছে—
এক. মলনুপিরাভির
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্ক ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স যৌথভাবে তৈরি করেছে এই ট্যাবলেট টিকা। সংক্রমিত ২০২ জনের ওপর প্রথম দফা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে, মলনুপিরাভির মাত্র ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। প্রতিদিন দুটি করে মলনুপিরাভির ট্যাবলেট পাঁচ দিন খাওয়ার পর তাঁদের সবাই করোনামুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।
দুই. এক্সএভি-১৯ (XAV-19)
ফরাসি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনোথেরা ক্যাপসুল আকারের এই টিকা বাজারজাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ওষুধ বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি বা প্রতিরক্ষিকা দিয়ে তৈরি, ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। কোভিড আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করে তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে সক্রিয় করে তোলে। দ্বিতীয় দফা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ফ্রান্সের ৩৫টি হাসপাতালে এই টিকা প্রয়োগে রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়নি। বর্তমানে ইউরোপের করোনা সংক্রমিত ৭২২ জনের ওপর তৃতীয় দফা পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। জেনোথেরা জানিয়েছে, ফরাসি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে ৩০ হাজার ডোজ এক্সএভি-১৯-এর জন্য বায়না করে রেখেছে। এ বছরের অক্টোবর থেকেই বাজারে আসবে এটি।
তিন. টসিলিজুমাব
মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দিয়ে তৈরি এটি একটি ইনজেকশন, যা শিরায় প্রয়োগ করতে হয়। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছালে রোগীর তীব্র প্রদাহ হ্রাস করতে সাহায্য করে এটি। ফলে রোগীকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখার প্রয়োজন হয় না। এই ওষুধ ব্যবহারে বহু মৃত্যু এড়ানো গেছে এবং অনেক রোগীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন হয়নি। এই ওষুধ অ্যাকটেমরা অথবা রোএকতেমরা নামে বাজারে পাওয়া যায় এবং সাধারণত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে এর কার্যকারিতা গত মে মাসে জার্নাল দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়। তবে ওষুধটিকে মোটেই সহজলভ্য বলা যাবে না। কারণ, সুইস রোচ ওষুধ কোম্পানির একটি ইনজেকশনের মূল্য প্রায় ৮০০ ইউরো।
চার. রোনাপ্রেভে
এটিও একটি ইনজেকশন, যা শিরায় প্রয়োগ করতে হয়। একধরনের বিশেষ অ্যান্টিবডি এটি, যা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে। যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের লেঁ রোনাপ্রেভে ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। ফ্রান্সের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষ এই ইনজেকশন অনুমোদন করেছে। তবে খুবই উচ্চমূল্যের, সুইস রোচ ওষুধ কোম্পানির উৎপাদিত একটি ইনজেকশনের মূল্য প্রায় ২ হাজার ইউরো; অর্থাৎ, টাকার অঙ্কে প্রায় ২ লাখ।
পাঁচ. এ জেড ডি৭৪৪২ (AZD 7442)
দুই ধরনের বিশেষ অ্যান্টিবডির মিশ্রণে তৈরি এজেডডি৭৪৪২। এটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৭৭ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে। ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫ হাজার ১৯৭ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করে এমন ফলাফল পাওয়া গেছে। এই ওষুধের প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত ২০ আগস্ট এ তথ্য জানিয়েছে। একটি ইনজেকশন রোগীকে বহুদিন, অর্থাৎ এক বছর পর্যন্ত কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
টিকার সঙ্গে মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে আরও বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ অচিরেই বাজারে আসবে। সেই সব ওষুধ সাধারণের জন্য দ্রুত সহজলভ্য হলেই তা উপকারে আসবে।
মইনুল হাসান: ফ্রান্স প্রবাসী লেখক ও অণুজীব বিজ্ঞানী
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২০ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১ দিন আগে