স্বল্প বৃষ্টিপাতের কারণে এরই মধ্যে ভয়াবহ খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হর্ন অব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া, সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়ায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেরিতে বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। ফলে ওই অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ তীব্র দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে চরম খরা হর্ন অফ আফ্রিকাকে মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে ফেলেছে। ফসল ও গবাদিপশু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষকে খাদ্য ও জলের সন্ধানে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য করেছে।

ডব্লিউএফপি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘যেহেতু এই অঞ্চলের বহুল প্রতীক্ষিত বর্ষা মৌসুম শুরু হতে প্রায় এক মাস দেরি হয়েছে ফলে আগামী দিনে খরায় অন্তত ১ কোটি ৪০ লাখ থেকে ২ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্যাভাবের মধ্যে পড়তে পারে। এরই মধ্যে, ৬০ লাখ সোমালি নাগরিক চরম মাত্রার খাদ্য সংকটের সম্মুখীন এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিরাজ করলে আগামী মাসগুলোতে দুর্ভিক্ষের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।

ডব্লিউএফপি আরও বলেছে, ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বেড়েছে। এই যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে।