অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: যুদ্ধের ময়দানে লড়াইয়ে গিয়ে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি মারা গেছেন। ১৯৯০ সালে বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইদ্রিস দেবির মৃত্যু রণক্ষেত্রেই হলো ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চাদের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাদের লড়াইয়ের খোঁজ খবর নিতে প্রায়ই রণক্ষেত্রে সশরীরে চলে যেতেন ইদ্রিস দেবি। গত বছর মার্চেও চাদের বোহোমা গ্রামে সেনা ঘাটিতে বোকো হারাম যোদ্ধারা হামলা চালালে সেখানে উপস্থিত হয়ে সেনাদের নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় ইদ্রিস দেবিকে।
১৯৯০ সালে বিদ্রোহের মাধ্যমে চাদের প্রেসিডেন্ট হন ইদ্রিস দেবি। পরে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে ভোটের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় আসেন ইদ্রিস দেবি। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে ২০১৮ সালে চাদের সংবিধানও সংশোধন করেছিলেন তিনি।
চাদের জাঘাওয়া নৃগোষ্ঠীর একটি পরিবারে জন্ম নেওয়া ইদ্রিস দেব বেড়ে ওঠেন চাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল এন্নেদিতে। ১৯৭০ সালে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি চাদের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরে তিনি ফ্রান্স থেকে সেনাবাহিনীর উন্নত প্রশিক্ষণ রপ্ত করেন।
ইদ্রিস দেবিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছে চাদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। বিদ্রোহীরা ২০০৬ , ২০০৮ এবং ২০১৯ সালে রাজধানী এনজামিনাতেও পৌঁছে যায় বিদ্রোহীরা। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের সহায়তা নিয়ে তিনি বিদ্রোহীদের প্রতিহত করেছেন।
ইদ্রিস দেবির নেতৃত্বে চাদের সেনারা ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়দা সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপ সাহেল এবং বোকো হারামের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার চাদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, ১১ এপ্রিল দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার এক দিন পরই তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। তবে কোন পরিস্থিতিতে ইদ্রিস দেবির মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এদিকে এরই মধ্যে দেশটির সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ১৮ মাস সরকার পরিচালনা করবে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিসের ৩৭ বছর বয়সী ছেলে কাকার নেতৃত্বে মিলিটারি কাউন্সিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা চাদের সংবিধানে নেই। সংবিধানের যা বলা রয়েছে, তা হলো প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে বা তিনি মারা গেলে সংসদের স্পিকার ৪০ দিনের জন্য দেশের দায়িত্ব নেবেন।
চাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার ইদ্রিস দেবির শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। আর এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন চাদের বন্ধু দেশগুলোর সরকারেরা।
এদিকে ইদ্রিস দেবির মৃত্যুতে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে চাদের জনগণ। এ নিয়ে চাদের রাজধানীর এনজামিনার বাসিন্দা থিয়েরি জিকোলৌম বলেন, খবরটি অবাক করে দিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর খবর আমাকে নারিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে ক্যু-এর মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নাদিদেয়াম সাবের নামে এনজামিনার আরেক বাসিন্দা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল জয় ঘোষণার পরের দিন। পরের দিন আমরা তাঁর মৃত্যুর খবর পেলাম।
ইদ্রিস দেবির মৃত্যুর পর চাদের স্কুল এবং সরকারি অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ঢাকা: যুদ্ধের ময়দানে লড়াইয়ে গিয়ে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি মারা গেছেন। ১৯৯০ সালে বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইদ্রিস দেবির মৃত্যু রণক্ষেত্রেই হলো ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চাদের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাদের লড়াইয়ের খোঁজ খবর নিতে প্রায়ই রণক্ষেত্রে সশরীরে চলে যেতেন ইদ্রিস দেবি। গত বছর মার্চেও চাদের বোহোমা গ্রামে সেনা ঘাটিতে বোকো হারাম যোদ্ধারা হামলা চালালে সেখানে উপস্থিত হয়ে সেনাদের নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় ইদ্রিস দেবিকে।
১৯৯০ সালে বিদ্রোহের মাধ্যমে চাদের প্রেসিডেন্ট হন ইদ্রিস দেবি। পরে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে ভোটের মাধ্যমে তিনি ক্ষমতায় আসেন ইদ্রিস দেবি। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে ২০১৮ সালে চাদের সংবিধানও সংশোধন করেছিলেন তিনি।
চাদের জাঘাওয়া নৃগোষ্ঠীর একটি পরিবারে জন্ম নেওয়া ইদ্রিস দেব বেড়ে ওঠেন চাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল এন্নেদিতে। ১৯৭০ সালে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি চাদের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। পরে তিনি ফ্রান্স থেকে সেনাবাহিনীর উন্নত প্রশিক্ষণ রপ্ত করেন।
ইদ্রিস দেবিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছে চাদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। বিদ্রোহীরা ২০০৬ , ২০০৮ এবং ২০১৯ সালে রাজধানী এনজামিনাতেও পৌঁছে যায় বিদ্রোহীরা। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের সহায়তা নিয়ে তিনি বিদ্রোহীদের প্রতিহত করেছেন।
ইদ্রিস দেবির নেতৃত্বে চাদের সেনারা ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়দা সমর্থিত বিদ্রোহী গ্রুপ সাহেল এবং বোকো হারামের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার চাদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, ১১ এপ্রিল দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণার এক দিন পরই তাঁর মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। তবে কোন পরিস্থিতিতে ইদ্রিস দেবির মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এদিকে এরই মধ্যে দেশটির সরকার ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ১৮ মাস সরকার পরিচালনা করবে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিসের ৩৭ বছর বয়সী ছেলে কাকার নেতৃত্বে মিলিটারি কাউন্সিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা চাদের সংবিধানে নেই। সংবিধানের যা বলা রয়েছে, তা হলো প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে বা তিনি মারা গেলে সংসদের স্পিকার ৪০ দিনের জন্য দেশের দায়িত্ব নেবেন।
চাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার ইদ্রিস দেবির শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। আর এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন চাদের বন্ধু দেশগুলোর সরকারেরা।
এদিকে ইদ্রিস দেবির মৃত্যুতে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে চাদের জনগণ। এ নিয়ে চাদের রাজধানীর এনজামিনার বাসিন্দা থিয়েরি জিকোলৌম বলেন, খবরটি অবাক করে দিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর খবর আমাকে নারিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে ক্যু-এর মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নাদিদেয়াম সাবের নামে এনজামিনার আরেক বাসিন্দা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিল জয় ঘোষণার পরের দিন। পরের দিন আমরা তাঁর মৃত্যুর খবর পেলাম।
ইদ্রিস দেবির মৃত্যুর পর চাদের স্কুল এবং সরকারি অফিসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভারতের জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ে অমুসলিম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রান্ত করছে।
১ ঘণ্টা আগেতুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে অন্তত সাতজনকে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। তাদের হত্যা শেষে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলের কাছের একটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৪৫ বছর আগে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী এসথার গনজালেস। একটি ডিএনএ পরীক্ষার সূত্র ধরে, দীর্ঘ বছর পর এবার সেই মামলার সমাধান হয়েছে। পরিবারের জন্য এই সমাধান একদিকে যেমন স্বস্তি এনে দিয়েছে, অন্যদিকে তা গভীর বেদনার কারণ হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেজার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শু
৪ ঘণ্টা আগে