অনলাইন ডেস্ক
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলজুড়ে রয়েছে নানা প্রথা ও ঐতিহ্য। রমজান ঘিরে প্রতিটি দেশের নিজস্ব এসব রীতিনীতি তাঁদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। আফ্রিকার দেশগুলোর এমন রীতি নিয়ে এ আয়োজন—
মিসর
রমজান মাসে আচার-অনুষ্ঠানের বৈচিত্র্যের দিক থেকে শীর্ষে মিসর। রমজানকে রীতিমতো উদ্যাপন করা হয় দেশটিতে। রোজা রাখা, নামাজ এবং দান-খয়রাতের পাশাপাশি ইফতার এবং সাহরিতে ব্যাপক খাবারের আয়োজন করেন মিসরীয়রা। এ ছাড়া দেশটির ঐতিহ্যবাহী গান, ফানুস ওড়ানো, সাহরিতে ডেকে ওঠানো ও ইফতারের সময় জানাতে কামানের ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং ফুটবল টুর্নামেন্টসহ সামাজিক আচারও রমজানে অন্তর্ভুক্ত। মিসেরে এই উদ্যাপন সব সময় একটি ভিন্ন আমেজ তৈরি করে।
আইভরি কোস্ট
আইভরি কোস্টে রমজান মাসকে ‘সুনে কালৌ’ বলা হয়, যার অর্থ উপবাসের মাস। আফ্রিকার অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে আইভরি কোস্টের ইফতার আয়োজন আলাদা। দেশটির কেউ নিজ বাড়িতে ইফতার করেন না। খাবার রান্না করে অন্য দরিদ্র পরিবারে নিয়ে যান, যাতে সবাই একসঙ্গে ইফতার করতে পারে। রমজানে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মাদিদ’ ও ‘থারিদ’। আর সবচেয়ে বিখ্যাত খাবারটি ‘মুমি’ নামে পরিচিত, এটি এক ধরনের রুটি। সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হলো হিবিস্কাস, জিনজার, কিংস ব্রেইন ও দাজিহ।
সেনেগাল
সেনেগালে রমজান মাসে দাতব্য সংস্থাগুলো রাজধানী ডাকারজুড়ে ইফতারের আয়োজন করে। বিশেষ করে অসহায় ও গাড়ির চালক যারা ইফতার করতে সময়মতো বাড়িতে পৌঁছাতে পারেন না, তাঁদের জন্য। সেনেগালি প্রথাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত একটি হলো ‘সুগার কোর’। ভালোবাসা প্রকাশের জন্য প্রিয়জনকে দেওয়া উপহার ‘সুগার কোর’ হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে নারীরা স্বামীদের জন্য উপহার কেনায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন।
মরক্কো
মরক্কোতে রমজান মাস পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করার এবং সামাজিকতা রক্ষার সুযোগ করে দেয়। একই পরিবারের বিবাহিত সদস্যরা রমজানের শুক্রবারগুলোতে পারিবারিক বাসভবনে এক হয়। এই বাসভবনকে ‘বড় বাড়ি’ বলা হয়। রমজানে আরেকটি সুন্দর ঐতিহ্য রয়েছে দেশটিতে— বাবা-মা প্রথম রোজা সন্তানদের জন্য পালন করেন। এ দিন দুধ, খেজুর এবং শুকনো ফল ছাড়াও মরক্কোর সুস্বাদু খাবারের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ইফতার তৈরি করা হয়। মরক্কোর আরেকটি রীতি হলো রমজানের ২৬তম রাতে লা্লইতুল কদর পালন। এ উপলক্ষে তাঁরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন এবং ঘোড়ার প্যারেড আয়োজন করা হয়।
মরক্কোর খাবার বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। রোজায় খেজুর খেয়ে এবং দুধ পান করে মরোক্কোবাসীরা ইফতার শুরু করেন। মাগরিবের নামাজের পর তাঁরা ‘হারিরা’ নামের ঐতিহ্যবাহী স্যুপ খান। তারাবিহ নামাজের পরে প্রধান খাবার পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘তাজিন’ এবং ‘কুসকুস’।
তিউনিসিয়া
খেজুর ও দুধ দিয়ে রোজা ভাঙার পর মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তিউনিসিয়ার মানুষ। এরপর ইফতার টেবিলে বসার প্রথা তাঁদের। তিউনিসিয়ায় ইফতারের টেবিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো ‘তাজিন’। আর জনপ্রিয় মিষ্টান্ন ‘রাফিস’ ও ‘মাদমউগা’— এটি খেজুর, কিশমিশ, ভাত ও ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়। তিউনিসিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ময়দা, ঘি ও মধু দিয়ে তৈরি পোরিজ বেশ জনপ্রিয়।
আলজেরিয়া
আলজেরিয়ার বাড়িতে বাড়িতে শিশুদের প্রথম রোজা বিশেষভাবে উদ্যাপন করা হয়। মেয়েরা নতুন পোশাক পরে রানির মতো সাজে। তারা ইফতারের সময় একটি উঁচু জায়গায় বসে থাকে, সবাই তাদের অভিনন্দন জানায়। ২৭ রমজানের রাতে ছেলেদের খতনা করার প্রথা রয়েছে।
ইফতারের টেবিলেও নানা পদের খাবার রাখা হয় আলজেরিয়ায়। এর মধ্যে ‘হারিরা’ স্যুপ ও ‘সুইট মিট’ বেশি জনপ্রিয়। এ ছাড়া ‘বারবৌচে’ ও ‘কুসকুস’ ইফতারিতে বেশ জনপ্রিয়। সাহরিতে আলজেরিয়ানরা বেশির ভাগই ‘কুসকুস’ এবং ‘মৌসুফ’ খেয়ে থাকে।
ইরিত্রিয়া
ইরিত্রিয়ার মানুষ রমজানে সাহরির শেষে এক ধরনের পানীয় পান করেন। চা, কফি, আদা এবং ভাজা এলাচ দিয়ে বানানো ওই পানীয় ‘গাবনা’ নামে মাটির বিশেষ পাত্রে রাখা হয়। এবং কয়েক ধাপে পান করা হয়। এর পাশাপাশি ময়দা, চিনি এবং মার্জারিন দিয়ে তৈরি ‘হিম্বাশা’ নামের এক ধরনের রুটি পরিবেশন করা হয়। রমজানের শেষ ১০ দিন দেশটিতে উৎসব হয়।
তানজানিয়া
তানজানিয়ার মানুষেরা ১২ বছর বয়স থেকে রোজা রাখা শুরু করে। রমজানে তানজানিয়ায় মুসলমান মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলো দিনের বেলা বন্ধ থাকে। মাগরিবের নামাজের আজানের আগে মসজিদে ড্রাম পিটিয়ে ইফতারের সময় ঘোষণা করা হয়। তানজানিয়ায় রমজানের খাবারের মধ্যে রয়েছে শরবত, খেজুর এবং নারকেল দেওয়া ভাতের সঙ্গে শাকসবজি ও মাছ। পানীয় হিসেবে ফলের রস ও চা পান করেন তাঁরা।
জিবুতি
হর্ন অব আফ্রিকায় অবস্থিত জিবুতির অধিকাংশ বাসিন্দা আফ্রিকান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং ওমান ও ইয়েমেন থেকে আসা অভিবাসী। রমজানে দেশটিতে এক অদ্ভুত রীতি রয়েছে। মাসজুড়ে মাছ খাওয়া বন্ধ করে দেন জিবুতির মানুষেরা। কারণ এটি রোজার সময় তৃষ্ণা বাড়ায়। ইফতারে ‘সাম্বুসা’, ‘হেতিস’, ‘থারিদ’ ও ভেড়ার মাংস খাওয়া হয়। এ ছাড়া দারুচিনি দিয়ে চা পান বেশ জনপ্রিয়।
কেনিয়া
কেনিয়ায় রমজান মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোকে রঙিন কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। রোজার শুরুতে রাস্তায় ঢাকঢোল বাজিয়ে মুসলমানেরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া সাহরির আগে মুসলমানদের ঘুম থেকে জাগাতে ঢোল পিটিয়ে এবং ইসলামি গান গেয়ে রোজা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
কেনিয়ায় রমজানের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম মাছ বা মুরগির সঙ্গে নারকেল দিয়ে রান্না করা ভাত। আরেকটি খাবার বেশ জনপ্রিয়— এটি টমেটো ও পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা বাঁধাকপি, যা ‘সোকোমা’ নামে পরিচিত। সাধারণত, এই খাবারগুলো কেনিয়ায় চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। ফজরের আগে প্রত্যেকে পরের দিন রোজা রাখার প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল ও পানির বোতল নিয়ে মসজিদে জড়ো হন।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলজুড়ে রয়েছে নানা প্রথা ও ঐতিহ্য। রমজান ঘিরে প্রতিটি দেশের নিজস্ব এসব রীতিনীতি তাঁদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। আফ্রিকার দেশগুলোর এমন রীতি নিয়ে এ আয়োজন—
মিসর
রমজান মাসে আচার-অনুষ্ঠানের বৈচিত্র্যের দিক থেকে শীর্ষে মিসর। রমজানকে রীতিমতো উদ্যাপন করা হয় দেশটিতে। রোজা রাখা, নামাজ এবং দান-খয়রাতের পাশাপাশি ইফতার এবং সাহরিতে ব্যাপক খাবারের আয়োজন করেন মিসরীয়রা। এ ছাড়া দেশটির ঐতিহ্যবাহী গান, ফানুস ওড়ানো, সাহরিতে ডেকে ওঠানো ও ইফতারের সময় জানাতে কামানের ব্যবহার সবাইকে মুগ্ধ করে। টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং ফুটবল টুর্নামেন্টসহ সামাজিক আচারও রমজানে অন্তর্ভুক্ত। মিসেরে এই উদ্যাপন সব সময় একটি ভিন্ন আমেজ তৈরি করে।
আইভরি কোস্ট
আইভরি কোস্টে রমজান মাসকে ‘সুনে কালৌ’ বলা হয়, যার অর্থ উপবাসের মাস। আফ্রিকার অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে আইভরি কোস্টের ইফতার আয়োজন আলাদা। দেশটির কেউ নিজ বাড়িতে ইফতার করেন না। খাবার রান্না করে অন্য দরিদ্র পরিবারে নিয়ে যান, যাতে সবাই একসঙ্গে ইফতার করতে পারে। রমজানে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মাদিদ’ ও ‘থারিদ’। আর সবচেয়ে বিখ্যাত খাবারটি ‘মুমি’ নামে পরিচিত, এটি এক ধরনের রুটি। সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হলো হিবিস্কাস, জিনজার, কিংস ব্রেইন ও দাজিহ।
সেনেগাল
সেনেগালে রমজান মাসে দাতব্য সংস্থাগুলো রাজধানী ডাকারজুড়ে ইফতারের আয়োজন করে। বিশেষ করে অসহায় ও গাড়ির চালক যারা ইফতার করতে সময়মতো বাড়িতে পৌঁছাতে পারেন না, তাঁদের জন্য। সেনেগালি প্রথাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত একটি হলো ‘সুগার কোর’। ভালোবাসা প্রকাশের জন্য প্রিয়জনকে দেওয়া উপহার ‘সুগার কোর’ হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে নারীরা স্বামীদের জন্য উপহার কেনায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন।
মরক্কো
মরক্কোতে রমজান মাস পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করার এবং সামাজিকতা রক্ষার সুযোগ করে দেয়। একই পরিবারের বিবাহিত সদস্যরা রমজানের শুক্রবারগুলোতে পারিবারিক বাসভবনে এক হয়। এই বাসভবনকে ‘বড় বাড়ি’ বলা হয়। রমজানে আরেকটি সুন্দর ঐতিহ্য রয়েছে দেশটিতে— বাবা-মা প্রথম রোজা সন্তানদের জন্য পালন করেন। এ দিন দুধ, খেজুর এবং শুকনো ফল ছাড়াও মরক্কোর সুস্বাদু খাবারের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ইফতার তৈরি করা হয়। মরক্কোর আরেকটি রীতি হলো রমজানের ২৬তম রাতে লা্লইতুল কদর পালন। এ উপলক্ষে তাঁরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন এবং ঘোড়ার প্যারেড আয়োজন করা হয়।
মরক্কোর খাবার বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। রোজায় খেজুর খেয়ে এবং দুধ পান করে মরোক্কোবাসীরা ইফতার শুরু করেন। মাগরিবের নামাজের পর তাঁরা ‘হারিরা’ নামের ঐতিহ্যবাহী স্যুপ খান। তারাবিহ নামাজের পরে প্রধান খাবার পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘তাজিন’ এবং ‘কুসকুস’।
তিউনিসিয়া
খেজুর ও দুধ দিয়ে রোজা ভাঙার পর মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তিউনিসিয়ার মানুষ। এরপর ইফতার টেবিলে বসার প্রথা তাঁদের। তিউনিসিয়ায় ইফতারের টেবিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো ‘তাজিন’। আর জনপ্রিয় মিষ্টান্ন ‘রাফিস’ ও ‘মাদমউগা’— এটি খেজুর, কিশমিশ, ভাত ও ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়। তিউনিসিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ময়দা, ঘি ও মধু দিয়ে তৈরি পোরিজ বেশ জনপ্রিয়।
আলজেরিয়া
আলজেরিয়ার বাড়িতে বাড়িতে শিশুদের প্রথম রোজা বিশেষভাবে উদ্যাপন করা হয়। মেয়েরা নতুন পোশাক পরে রানির মতো সাজে। তারা ইফতারের সময় একটি উঁচু জায়গায় বসে থাকে, সবাই তাদের অভিনন্দন জানায়। ২৭ রমজানের রাতে ছেলেদের খতনা করার প্রথা রয়েছে।
ইফতারের টেবিলেও নানা পদের খাবার রাখা হয় আলজেরিয়ায়। এর মধ্যে ‘হারিরা’ স্যুপ ও ‘সুইট মিট’ বেশি জনপ্রিয়। এ ছাড়া ‘বারবৌচে’ ও ‘কুসকুস’ ইফতারিতে বেশ জনপ্রিয়। সাহরিতে আলজেরিয়ানরা বেশির ভাগই ‘কুসকুস’ এবং ‘মৌসুফ’ খেয়ে থাকে।
ইরিত্রিয়া
ইরিত্রিয়ার মানুষ রমজানে সাহরির শেষে এক ধরনের পানীয় পান করেন। চা, কফি, আদা এবং ভাজা এলাচ দিয়ে বানানো ওই পানীয় ‘গাবনা’ নামে মাটির বিশেষ পাত্রে রাখা হয়। এবং কয়েক ধাপে পান করা হয়। এর পাশাপাশি ময়দা, চিনি এবং মার্জারিন দিয়ে তৈরি ‘হিম্বাশা’ নামের এক ধরনের রুটি পরিবেশন করা হয়। রমজানের শেষ ১০ দিন দেশটিতে উৎসব হয়।
তানজানিয়া
তানজানিয়ার মানুষেরা ১২ বছর বয়স থেকে রোজা রাখা শুরু করে। রমজানে তানজানিয়ায় মুসলমান মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলো দিনের বেলা বন্ধ থাকে। মাগরিবের নামাজের আজানের আগে মসজিদে ড্রাম পিটিয়ে ইফতারের সময় ঘোষণা করা হয়। তানজানিয়ায় রমজানের খাবারের মধ্যে রয়েছে শরবত, খেজুর এবং নারকেল দেওয়া ভাতের সঙ্গে শাকসবজি ও মাছ। পানীয় হিসেবে ফলের রস ও চা পান করেন তাঁরা।
জিবুতি
হর্ন অব আফ্রিকায় অবস্থিত জিবুতির অধিকাংশ বাসিন্দা আফ্রিকান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং ওমান ও ইয়েমেন থেকে আসা অভিবাসী। রমজানে দেশটিতে এক অদ্ভুত রীতি রয়েছে। মাসজুড়ে মাছ খাওয়া বন্ধ করে দেন জিবুতির মানুষেরা। কারণ এটি রোজার সময় তৃষ্ণা বাড়ায়। ইফতারে ‘সাম্বুসা’, ‘হেতিস’, ‘থারিদ’ ও ভেড়ার মাংস খাওয়া হয়। এ ছাড়া দারুচিনি দিয়ে চা পান বেশ জনপ্রিয়।
কেনিয়া
কেনিয়ায় রমজান মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ শহরগুলোকে রঙিন কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। রোজার শুরুতে রাস্তায় ঢাকঢোল বাজিয়ে মুসলমানেরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ ছাড়া সাহরির আগে মুসলমানদের ঘুম থেকে জাগাতে ঢোল পিটিয়ে এবং ইসলামি গান গেয়ে রোজা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
কেনিয়ায় রমজানের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম মাছ বা মুরগির সঙ্গে নারকেল দিয়ে রান্না করা ভাত। আরেকটি খাবার বেশ জনপ্রিয়— এটি টমেটো ও পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা বাঁধাকপি, যা ‘সোকোমা’ নামে পরিচিত। সাধারণত, এই খাবারগুলো কেনিয়ায় চায়ের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। ফজরের আগে প্রত্যেকে পরের দিন রোজা রাখার প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি ফল ও পানির বোতল নিয়ে মসজিদে জড়ো হন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে। মার্কিন সংবাদ
২৫ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। দীর্ঘ সময় প্রার্থী বাছাইপর্ব ও প্রচারণার শেষ পর্যায়ে এসে সমাপনী ভাষণে পরস্পরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
১১ ঘণ্টা আগে