অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের উদীয়মান শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সম্প্রসারণের বিষয়টি এগিয়ে নিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে চীন। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হওয়া পাঁচ দেশের—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা—জোটের শীর্ষ বৈঠকেও বিষয়টি বেশির ভাগ সময় দখল করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই জোটের পাঁচটি দেশ। জোটটিতে বাংলাদেশ, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ প্রায় ১৮টি দেশ যোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিস্ট। চীন দেশগুলোকে জোটে সম্প্রসারণের পক্ষে। এ বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে চীন জোট সম্প্রসারণ করতে চায় না; বরং দেশটি সবার সাধারণ কল্যাণের লক্ষ্যেই জোটের সম্প্রসারণ চায়।
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতে এক বিজনেস ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। তিনি বলেন, ‘সি বলেছেন, চীনের ডিএনএতেই আধিপত্যবাদ নেই।’ তিনি সি চিন পিংকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বড় ধরনের শক্তির প্রতিযোগিতায় নামা বা “গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব” সৃষ্টি করার কোনো ইচ্ছা চীনের নেই।’ বরং শান্তি এবং উন্নয়নের অবকাঠামো বিস্তৃত করার লক্ষ্যেই জোটের সম্প্রসারণ চায় চীন।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী সেখানে বলেন, ‘যত বাধাই আসুক না কেন, ব্রিকস একটি ইতিবাচক ও স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে কল্যাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। আমরা ব্রিকসে নতুন সদস্য গ্রহণের মাধ্যমে একটি কৌশলগত অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব। যা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক করে তুলবে।
সব দিক বিবেচনায় চীন ব্রিকসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য। দেশটির প্রেসিডেন্ট চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন, তাও আবার ব্রিকসের সম্মেলনে। ফলে চীনের কাছে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সফর চীনের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিকসকে অনেকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ভাবলেও চীন যেমন বিষয়টি স্বীকার করে না তেমনি প্রায় একই স্বরে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রও। সম্প্রতি ব্রিকসের বিষয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে উঠছে এমনটা দেখা যাচ্ছে না।
জেক সুলিভান বলেন, ওয়াশিংটন ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শক্তিশালী ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করতে থাকব।’
তারপরও জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের বিভাজনটি বড় আকারেই ফুটে উঠেছে। কারণ, যখন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় একঘরে তখন ব্রিকসের সদস্য হিসেবে রাশিয়া জোটের সদস্যদের কাছ থেকে নজিরবিহীন ‘সঙ্গ’ উপভোগ করছে। কারণ, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো দেশই এখনো ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সমালোচনা করেনি এবং ব্রাজিল নিন্দা করলেও পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছিল তখন তা থেকে দূরে ছিল দেশটি।
তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সদস্য দেশ হওয়ায় পুতিন গ্রেপ্তার এড়াতে এবারের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত হননি। তবে ভার্চ্যুয়ালি তিনি যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে। তাঁর পরিবর্তে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আগেই রেকর্ড করা এক ভাষণে পুতিন বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকেই দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে মুক্তবাজার অর্থনীতির মৌলিক নিয়ম ভঙ্গ করছে।
সম্মেলনে জোটের সদস্য দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাও যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও প্রায় ৫০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকেও আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শাসনতান্ত্রিক ভিন্নতা রয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমান নয়। তারপরও জোটের সদস্য দেশগুলো এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা চান যেখানে তাদের স্বার্থ আরও বেশি রক্ষিত হবে এবং তাদের আরও বেশি প্রতিফলিত হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে জোটটি নিজস্ব মিনি আইএমএফ (কন্টিনজেন্ট রিজার্ভ অ্যারেঞ্জমেন্ট-সিআরএ) এবং মিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গঠন করেছে। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বজুড়ে ডলারের আধিপত্য হ্রাস করা। তবে এর মানে এই নয় যে, তা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাত তৈরি করবে।
গত মঙ্গলবারই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন ব্রিকস বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে চায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লুলা লিখেছেন, ‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে আলোচনার টেবিলে বসতে চাই।’
জোহানেসবার্গে চলমান পঞ্চদশ ব্রিকস সম্মেলনের থিম হলো ‘ব্রিকস এবং আফ্রিকা’। মহাদেশটিকে ঘিরে চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে ব্রিকসের নিজস্ব প্রভাব বিস্তারকে মাথায় রেখেই এই থিম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রিকসের কাছে আফ্রিকার আলাদা গুরুত্ব তো আছেই এর বাইরেও এই মহাদেশের বিভিন্ন দেশসহ ৪০ টিরও বেশি দেশ জোটে যোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন ব্রিকসের কর্মকর্তারা। এসব দেশের প্রায় সবাই পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে এবং গ্লোবাল সাউথ বা পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ। এসব দেশের মধ্যে অনেকগুলোই আবার আগে জোট নিরপেক্ষ বলে পরিচিত ছিল আবার কিছু দেশ ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিরোধী মনোভাবসম্পন্ন।
তবে দেশগুলো যে মনোভাবেরই হোক না কেন, ব্রিকস সম্প্রসারিত হলে যে এর গুরুত্ব বাড়বে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ কারণেই এই সম্মেলন ব্রিকসের অন্য যেকোনো সম্মেলনের চেয়ে অনেক বেশি নির্ধারক ভূমিকা পালন করবে। নতুন সদস্য গৃহীত হবে কি হবে না তা হয়তো চূড়ান্তভাবে বিবেচিত হতে পারে এই সম্মেলনে। নতুন সদস্যের কারণে জোটের গুরুত্ব যে বাড়বে সে কথাই যেন প্রতিধ্বনিত হলো সম্মেলনের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘এটি দেখিয়ে দিতে যাচ্ছে যে, ব্রিকস পরিবার তার সদস্য দেশগুলো তো বটেই বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও এর গুরুত্ব বাড়াতে যাচ্ছে।’
এএফপি থেকে অনূদিত
বিশ্বের উদীয়মান শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সম্প্রসারণের বিষয়টি এগিয়ে নিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে চীন। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হওয়া পাঁচ দেশের—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা—জোটের শীর্ষ বৈঠকেও বিষয়টি বেশির ভাগ সময় দখল করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় এক-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই জোটের পাঁচটি দেশ। জোটটিতে বাংলাদেশ, ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নাইজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ প্রায় ১৮টি দেশ যোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছে দ্য ইকোনমিস্ট। চীন দেশগুলোকে জোটে সম্প্রসারণের পক্ষে। এ বিষয়ে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে চীন জোট সম্প্রসারণ করতে চায় না; বরং দেশটি সবার সাধারণ কল্যাণের লক্ষ্যেই জোটের সম্প্রসারণ চায়।
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতে এক বিজনেস ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। তিনি বলেন, ‘সি বলেছেন, চীনের ডিএনএতেই আধিপত্যবাদ নেই।’ তিনি সি চিন পিংকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বড় ধরনের শক্তির প্রতিযোগিতায় নামা বা “গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব” সৃষ্টি করার কোনো ইচ্ছা চীনের নেই।’ বরং শান্তি এবং উন্নয়নের অবকাঠামো বিস্তৃত করার লক্ষ্যেই জোটের সম্প্রসারণ চায় চীন।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী সেখানে বলেন, ‘যত বাধাই আসুক না কেন, ব্রিকস একটি ইতিবাচক ও স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে কল্যাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। আমরা ব্রিকসে নতুন সদস্য গ্রহণের মাধ্যমে একটি কৌশলগত অংশীদারত্বের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব। যা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে আরও ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক করে তুলবে।
সব দিক বিবেচনায় চীন ব্রিকসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য। দেশটির প্রেসিডেন্ট চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন, তাও আবার ব্রিকসের সম্মেলনে। ফলে চীনের কাছে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সফর চীনের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিকসকে অনেকে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ভাবলেও চীন যেমন বিষয়টি স্বীকার করে না তেমনি প্রায় একই স্বরে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রও। সম্প্রতি ব্রিকসের বিষয়ে মূল্যায়ন তুলে ধরতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ব্রিকস যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে উঠছে এমনটা দেখা যাচ্ছে না।
জেক সুলিভান বলেন, ওয়াশিংটন ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে শক্তিশালী ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করতে থাকব।’
তারপরও জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের বিভাজনটি বড় আকারেই ফুটে উঠেছে। কারণ, যখন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় একঘরে তখন ব্রিকসের সদস্য হিসেবে রাশিয়া জোটের সদস্যদের কাছ থেকে নজিরবিহীন ‘সঙ্গ’ উপভোগ করছে। কারণ, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো দেশই এখনো ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সমালোচনা করেনি এবং ব্রাজিল নিন্দা করলেও পশ্চিমা বিশ্ব যখন ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছিল তখন তা থেকে দূরে ছিল দেশটি।
তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় এবং দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সদস্য দেশ হওয়ায় পুতিন গ্রেপ্তার এড়াতে এবারের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত হননি। তবে ভার্চ্যুয়ালি তিনি যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে। তাঁর পরিবর্তে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। আগেই রেকর্ড করা এক ভাষণে পুতিন বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকেই দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা বিশ্ব নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে মুক্তবাজার অর্থনীতির মৌলিক নিয়ম ভঙ্গ করছে।
সম্মেলনে জোটের সদস্য দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভাও যোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া আরও প্রায় ৫০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকেও আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে।
জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শাসনতান্ত্রিক ভিন্নতা রয়েছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমান নয়। তারপরও জোটের সদস্য দেশগুলো এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা চান যেখানে তাদের স্বার্থ আরও বেশি রক্ষিত হবে এবং তাদের আরও বেশি প্রতিফলিত হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে জোটটি নিজস্ব মিনি আইএমএফ (কন্টিনজেন্ট রিজার্ভ অ্যারেঞ্জমেন্ট-সিআরএ) এবং মিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক গঠন করেছে। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ার উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বজুড়ে ডলারের আধিপত্য হ্রাস করা। তবে এর মানে এই নয় যে, তা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাত তৈরি করবে।
গত মঙ্গলবারই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন ব্রিকস বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে চায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লুলা লিখেছেন, ‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে আলোচনার টেবিলে বসতে চাই।’
জোহানেসবার্গে চলমান পঞ্চদশ ব্রিকস সম্মেলনের থিম হলো ‘ব্রিকস এবং আফ্রিকা’। মহাদেশটিকে ঘিরে চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতার মধ্যে ব্রিকসের নিজস্ব প্রভাব বিস্তারকে মাথায় রেখেই এই থিম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রিকসের কাছে আফ্রিকার আলাদা গুরুত্ব তো আছেই এর বাইরেও এই মহাদেশের বিভিন্ন দেশসহ ৪০ টিরও বেশি দেশ জোটে যোগ দিতে চায় বলে জানিয়েছেন ব্রিকসের কর্মকর্তারা। এসব দেশের প্রায় সবাই পশ্চিমা বিশ্বের বাইরে এবং গ্লোবাল সাউথ বা পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশ। এসব দেশের মধ্যে অনেকগুলোই আবার আগে জোট নিরপেক্ষ বলে পরিচিত ছিল আবার কিছু দেশ ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিরোধী মনোভাবসম্পন্ন।
তবে দেশগুলো যে মনোভাবেরই হোক না কেন, ব্রিকস সম্প্রসারিত হলে যে এর গুরুত্ব বাড়বে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ কারণেই এই সম্মেলন ব্রিকসের অন্য যেকোনো সম্মেলনের চেয়ে অনেক বেশি নির্ধারক ভূমিকা পালন করবে। নতুন সদস্য গৃহীত হবে কি হবে না তা হয়তো চূড়ান্তভাবে বিবেচিত হতে পারে এই সম্মেলনে। নতুন সদস্যের কারণে জোটের গুরুত্ব যে বাড়বে সে কথাই যেন প্রতিধ্বনিত হলো সম্মেলনের আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মন্তব্যে। তিনি বলেছেন, ‘এটি দেখিয়ে দিতে যাচ্ছে যে, ব্রিকস পরিবার তার সদস্য দেশগুলো তো বটেই বৈশ্বিক পরিমণ্ডলেও এর গুরুত্ব বাড়াতে যাচ্ছে।’
এএফপি থেকে অনূদিত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১২ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
১২ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
১২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর দল রাজধানী ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে তা স্থগিত করলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ‘প্রস্তাব’ এসেছে। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে