ইশতিয়াক হাসান
আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:
আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কিছুদিন আগেই। সেই নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সই (এনডিএ) ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির জোট এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ও স্থানী ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি
২ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ, রাশিয়া ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে।
৪ ঘণ্টা আগেএকজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১৪ ঘণ্টা আগে