Ajker Patrika

বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আগামী ২-৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ—বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন জোটের অন্যতম সদস্য দেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

মিয়ানমার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ডভিত্তিক বর্মিজ সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারে প্রধান মিন অং হ্লাইং আগামী ৩-৪ এপ্রিল ব্যাংকক সফরে যাবেন এবং বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের জোটের এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

সূত্রটি নিশ্চিত করেছে, সামরিক জান্তাপ্রধান মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের ৬ষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন, যা থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তাপ্রধানের এটিই হবে ব্যাংককের প্রথম সফর।

সম্মেলনের আগে আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রস্তুত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েটংটার্ন সিনাওয়াত্রার সভাপতিত্বে প্রথম শীর্ষ কোনো বৈঠক। বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্র সম্মেলনে তাদের নেতাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাত সদস্যের আঞ্চলিক জোট—শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল এবং থাইল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। এই শীর্ষ সম্মেলনটি মূলত গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

১৯৯৭ সালে ব্যাংককে প্রতিষ্ঠিত বিমসটেকের লক্ষ্য বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর করা। এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে।

সম্মেলনের সময় সদস্য রাষ্ট্রগুলো কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ব্যাংকক শীর্ষ সম্মেলনে সমুদ্র সহযোগিতা, টেকসই উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক সংযোগের ওপরও জোর দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, থাইল্যান্ড ও ভুটান একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করবে, যার লক্ষ্য বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করা, বাজারের সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং পর্যটন, কৃষি, শিক্ষা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪৬০ মিলিয়ন থাই বাথ, যেখানে থাইল্যান্ড থেকে ভুটানে ৪৫৭ মিলিয়ন থাই বাথ মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে এবং ভুটান থেকে ৩ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন থাই বাথ মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে।

এই সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ বা ভারতের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিয়াবাড়ীতে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জিএমের রক্তাক্ত মরদেহ

ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয়: জারাকে সারজিসের জবাব

কিছুদিন আগে মানিব্যাগও ছিল না, এখন বিশাল শোডাউন কীভাবে—সারজিসকে ডা. তাসনিম

চীনের আগে ভারত সফরে যেতে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস: দ্য হিন্দুকে প্রেস সচিব

বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্রয়ে ক্ষুব্ধ ভারতের কোচ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত