অনলাইন ডেস্ক
সাম্প্রতিক সময়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ব্যাপক হারে বসতি স্থাপন শুরু করেছে ইসরায়েলি দখলদারেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিছু বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে। কিন্তু, সর্বশেষ নির্বাচনে ট্রাম্প ফিরে আসায় ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন। আশা করছেন, এবার তারা পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি গিলে ফেলে ইসরায়েলে অধিভুক্ত করে নেবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু বসতি স্থাপনকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে আশায় বুক বেঁধেছেন যে, এই অঞ্চলে তারা ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দেবেন। অথচ, ফিলিস্তিনিরা এখনো পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখেন।
বছর দু-এক আগে ফের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর নেতৃত্বে কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি দ্রুত বিস্তৃত হয়েছে। একই সময়ে, বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে, পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকার পাহাড়চূড়াগুলোতে কিছু বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করেছে। এতে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে যে, এসব এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী হতে পারে। কারণ, এসব অঞ্চলের অধিকাংশ বসতি স্থাপনকারী ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য প্রার্থনাও করেছেন।
পশ্চিম তীরের শিলো বসতিতে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাসরত ইসরায়েল মেদাদ রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে (ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে)। আমরা একরকম উচ্ছ্বসিতই।’ মেদাদের মতো অনেকেই চান পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হোক।
ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীরা ট্রাম্পের কয়েকজন মনোনীত কর্মকর্তার প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মাইক হাকাবি। তিনি পশ্চিম তীরকে অধিকৃত এলাকা বলতে অস্বীকার করেন এবং ‘বসতির’ বদলে ‘কমিউনিটি’ শব্দটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। সোজা কথায় বলতে গেলে, তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পক্ষে।
গত মাসে, ইসরায়েল সরকারের এক মন্ত্রী ও বসতি স্থাপনকারী সমর্থকেরা—যারা যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন—পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার মতো একসময় ‘প্রান্তিক’ বলে বিবেচিত ধারণাটি জনসমক্ষে তুলে ধরছেন। তবে নেতানিয়াহু সরকার এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মধ্যপ্রাচ্য দূত ডেনিস রস বলেছেন, ট্রাম্পের কাছে আব্রাহাম চুক্তি (আব্রাহাম অ্যাকর্ড) সম্প্রসারণই অগ্রাধিকার পাবে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের মতো দেশগুলো—যারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতোই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে—চুক্তিতে যোগ দেবে না। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আশা শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাসকে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে আনেন এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি অবৈধ—এই অবস্থান থেকে সরে আসেন। তবে ২০২০ সালে নেতানিয়াহুর অঞ্চল অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টা ট্রাম্পের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পরিকল্পনার কারণে ব্যাহত হয়।
ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ বলেছেন, তিনি আশা করেন যে—আগামী বছর ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তায় ইসরায়েল পশ্চিম তীরকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
পশ্চিম তীরের ইহুদি পৌরসভার সংগঠন ইয়েশা কাউন্সিলের প্রধান ইসরায়েল গান্তজ বলেছেন, ‘আমরা আশা করি ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েল সরকারকে (পশ্চিম তীরকে অধিভুক্ত করা পরিকল্পনায়) এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে।’
তবে এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সরকারের কোনো পদক্ষেপেই সত্য বদলাবে না। এটি ফিলিস্তিনি ভূমি ছিল, আছে এবং থাকবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ব্যাপক হারে বসতি স্থাপন শুরু করেছে ইসরায়েলি দখলদারেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিছু বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে। কিন্তু, সর্বশেষ নির্বাচনে ট্রাম্প ফিরে আসায় ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন। আশা করছেন, এবার তারা পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি গিলে ফেলে ইসরায়েলে অধিভুক্ত করে নেবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু বসতি স্থাপনকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে আশায় বুক বেঁধেছেন যে, এই অঞ্চলে তারা ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দেবেন। অথচ, ফিলিস্তিনিরা এখনো পশ্চিম তীরকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখেন।
বছর দু-এক আগে ফের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তাঁর নেতৃত্বে কট্টর জাতীয়তাবাদী জোট ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি দ্রুত বিস্তৃত হয়েছে। একই সময়ে, বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে, পশ্চিম তীরের জর্ডান উপত্যকার পাহাড়চূড়াগুলোতে কিছু বসতি স্থাপনকারী ইসরায়েলি পতাকা উত্তোলন করেছে। এতে স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে যে, এসব এলাকায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী হতে পারে। কারণ, এসব অঞ্চলের অধিকাংশ বসতি স্থাপনকারী ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য প্রার্থনাও করেছেন।
পশ্চিম তীরের শিলো বসতিতে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাসরত ইসরায়েল মেদাদ রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে (ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে)। আমরা একরকম উচ্ছ্বসিতই।’ মেদাদের মতো অনেকেই চান পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হোক।
ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীরা ট্রাম্পের কয়েকজন মনোনীত কর্মকর্তার প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মাইক হাকাবি। তিনি পশ্চিম তীরকে অধিকৃত এলাকা বলতে অস্বীকার করেন এবং ‘বসতির’ বদলে ‘কমিউনিটি’ শব্দটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। সোজা কথায় বলতে গেলে, তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পক্ষে।
গত মাসে, ইসরায়েল সরকারের এক মন্ত্রী ও বসতি স্থাপনকারী সমর্থকেরা—যারা যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন—পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার মতো একসময় ‘প্রান্তিক’ বলে বিবেচিত ধারণাটি জনসমক্ষে তুলে ধরছেন। তবে নেতানিয়াহু সরকার এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মধ্যপ্রাচ্য দূত ডেনিস রস বলেছেন, ট্রাম্পের কাছে আব্রাহাম চুক্তি (আব্রাহাম অ্যাকর্ড) সম্প্রসারণই অগ্রাধিকার পাবে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের মতো দেশগুলো—যারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতোই পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করে—চুক্তিতে যোগ দেবে না। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের আশা শেষ হয়ে যাবে।’
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাসকে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে আনেন এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি অবৈধ—এই অবস্থান থেকে সরে আসেন। তবে ২০২০ সালে নেতানিয়াহুর অঞ্চল অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টা ট্রাম্পের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পরিকল্পনার কারণে ব্যাহত হয়।
ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ বলেছেন, তিনি আশা করেন যে—আগামী বছর ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তায় ইসরায়েল পশ্চিম তীরকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
পশ্চিম তীরের ইহুদি পৌরসভার সংগঠন ইয়েশা কাউন্সিলের প্রধান ইসরায়েল গান্তজ বলেছেন, ‘আমরা আশা করি ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েল সরকারকে (পশ্চিম তীরকে অধিভুক্ত করা পরিকল্পনায়) এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেবে।’
তবে এ ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সরকারের কোনো পদক্ষেপেই সত্য বদলাবে না। এটি ফিলিস্তিনি ভূমি ছিল, আছে এবং থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ মুখগুলোকে বেছে নিতে শুরু করেন। সর্বশেষ কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ব্রুক রোলিন্সকে। অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রবেশের আগে ১৫ সদস্য নিয়ে ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভা জন্য চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।
৩৪ মিনিট আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বড় জমায়াতের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এই মিছিল ঠেকাতে মরিয়া এখন দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। এ জন্য ইসলামাবাদে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা স্থগিত করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেতীব্র ঝড়ের মধ্যে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে লন্ডনে বিমান অবতরণ করে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন সৌদি পতাকাবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইনসের এক পাইলট। সোমবার গালফ নিউজ জানিয়েছে, ব্রিটেনে আঘাত হানা শক্তিশালী স্টর্ম বার্ট ঝড়ে ভারী তুষার ও বৃষ্টিপাত এবং প্রবল বাতাসের সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বড় ধরনের বিশৃঙ্খল
৩ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ কারণেই মিয়ানমার জান্তা বাহিনীকে একটি যৌথ নিরাপত্তা কোম্পানি (জেভিএসসি) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এটি মিয়ানমারের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে এবং জান্তার শীর্ষ সামরিক নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি
৪ ঘণ্টা আগে