অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন পেয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে তা গৃহীত হয়। মার্কিন প্রস্তাব অনুসারে, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে এই প্রস্তাবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও ১০ অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে রাশিয়া ছাড়া সব দেশই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। রাশিয়া ভেটো না দিলেও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হওয়া এই খসড়া রেজল্যুশনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এরই মধ্যে এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। রেজল্যুশনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭সহ অন্য অনেক দেশই এই প্রস্তাবের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হওয়া এই সমর্থন প্রস্তাব যুদ্ধ শেষ করতে হামাস ও ইসরায়েলের ওপর বাড়তি চাপ বাড়াবে। এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে গৃহীত হলো, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে।
সর্বশেষ জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পক্ষে রেজল্যুশন গৃহীত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ব্লিঙ্কেন আরব বিশ্বের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যদি আপনারা একটি যুদ্ধবিরতি চান, তবে হামাসকে এর পক্ষে রাজি করাতে চাপ সৃষ্টি করুন।’
এর আগে অবশ্য হামাস জানিয়েছিল, তারা এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। এমনকি তারা গতকাল সোমবার জাতিসংঘের প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে। তবে হামাস এমনটি একটি নিশ্চয়তা চায়, যেখান থেকে তারা বিশ্বাস করতে পারবে যে এই প্রস্তাব সত্যিকার অর্থেই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
মার্কিন ও ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানরত হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারা এখনো এই প্রস্তাবের পক্ষে কোনো মত দেননি। তবে প্রস্তাবে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলায় অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, হামাস এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দেবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই দেশটির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চকিত ছিলেন সব সময়। সর্বশেষ গত শুক্রবার তিনি তিন ধাপের একটি পরিকল্পনার কথা জানান, যা তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাঠিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
ইডেনের এই প্রস্তাবে তিনটি ধাপ আছে। প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি হবে ছয় সপ্তাহের। এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনাকীর্ণ সব এলাকা ছেড়ে চলে যাবে। এই ধাপে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নারী ও বৃদ্ধাদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিপরীতে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। গাজার লোকজন নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরবে। এবং প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক করে ত্রাণ গাজায় সরবরাহ করা হবে।
বাইডেনে তাঁর প্রস্তাবের দ্বিতীয় ধাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ধাপে হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার শর্ত নিয়ে আলোচনা করবে। যত দিন আলোচনা অব্যাহত থাকবে, তত দিন যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘তৃতীয় ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হওয়া ৬০ শতাংশ ক্লিনিক, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনাসহ গাজা পুনর্গঠনের সুবিধার্থে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অনুসরণ করা হবে।’
বাইডেন তাঁর এক ভাষণে জানান, তাঁর সর্বশেষ প্রস্তাব হামাসকে ক্ষমতায় না রেখেও গাজায় আরও ভালো ‘সময়’ আনার পথ তৈরি করে। তবে এটি কীভাবে অর্জিত হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে ওফির ফালাক বলেছেন, ‘আমাদের সব উদ্দেশ্য (হামাস নির্মূল হওয়া) পূরণ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।’
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা শুরু হয় ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ১৩৯ জনকে হত্যা এবং ২৪৩ জনকে জিম্মি করে আনে। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন পেয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে তা গৃহীত হয়। মার্কিন প্রস্তাব অনুসারে, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, নিহত জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর এবং ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে এই প্রস্তাবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও ১০ অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে রাশিয়া ছাড়া সব দেশই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। রাশিয়া ভেটো না দিলেও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হওয়া এই খসড়া রেজল্যুশনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এরই মধ্যে এই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। রেজল্যুশনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে এই প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭সহ অন্য অনেক দেশই এই প্রস্তাবের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হওয়া এই সমর্থন প্রস্তাব যুদ্ধ শেষ করতে হামাস ও ইসরায়েলের ওপর বাড়তি চাপ বাড়াবে। এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে গৃহীত হলো, যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে।
সর্বশেষ জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পক্ষে রেজল্যুশন গৃহীত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ব্লিঙ্কেন আরব বিশ্বের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যদি আপনারা একটি যুদ্ধবিরতি চান, তবে হামাসকে এর পক্ষে রাজি করাতে চাপ সৃষ্টি করুন।’
এর আগে অবশ্য হামাস জানিয়েছিল, তারা এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। এমনকি তারা গতকাল সোমবার জাতিসংঘের প্রস্তাবকেও স্বাগত জানিয়েছে। তবে হামাস এমনটি একটি নিশ্চয়তা চায়, যেখান থেকে তারা বিশ্বাস করতে পারবে যে এই প্রস্তাব সত্যিকার অর্থেই একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
মার্কিন ও ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানরত হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারা এখনো এই প্রস্তাবের পক্ষে কোনো মত দেননি। তবে প্রস্তাবে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলায় অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, হামাস এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দেবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই দেশটির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন জো বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চকিত ছিলেন সব সময়। সর্বশেষ গত শুক্রবার তিনি তিন ধাপের একটি পরিকল্পনার কথা জানান, যা তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাঠিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
ইডেনের এই প্রস্তাবে তিনটি ধাপ আছে। প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতি হবে ছয় সপ্তাহের। এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার জনাকীর্ণ সব এলাকা ছেড়ে চলে যাবে। এই ধাপে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নারী ও বৃদ্ধাদের মুক্তি দেওয়া হবে। বিপরীতে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। গাজার লোকজন নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরবে। এবং প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক করে ত্রাণ গাজায় সরবরাহ করা হবে।
বাইডেনে তাঁর প্রস্তাবের দ্বিতীয় ধাপ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ধাপে হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার শর্ত নিয়ে আলোচনা করবে। যত দিন আলোচনা অব্যাহত থাকবে, তত দিন যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘তৃতীয় ধাপে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হওয়া ৬০ শতাংশ ক্লিনিক, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনাসহ গাজা পুনর্গঠনের সুবিধার্থে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অনুসরণ করা হবে।’
বাইডেন তাঁর এক ভাষণে জানান, তাঁর সর্বশেষ প্রস্তাব হামাসকে ক্ষমতায় না রেখেও গাজায় আরও ভালো ‘সময়’ আনার পথ তৈরি করে। তবে এটি কীভাবে অর্জিত হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তথ্য দেননি। তবে ওফির ফালাক বলেছেন, ‘আমাদের সব উদ্দেশ্য (হামাস নির্মূল হওয়া) পূরণ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে না।’
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা শুরু হয় ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ১৩৯ জনকে হত্যা এবং ২৪৩ জনকে জিম্মি করে আনে। এর জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
২ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৪ ঘণ্টা আগে