অনলাইন ডেস্ক
জীবনের বেশির ভাগ সময় নিজেকে এক হতভাগ্য মানুষ ভেবে এসেছেন ডিক্সন হ্যান্ডশো হাতশা। জন্মের পরপরই তাঁকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল, জানতেন না আসল বাবা-মার পরিচয়। সাত দশকেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর বেশ কয়েকজন ভাইবোন রয়েছে। বড়দিনের ঠিক আগে ৭৫ বছর বয়সী ডিক্সন তাঁর জীবিত ভাইবোনদের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
বুধবার এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, বড়দিনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাসকারী ডিক্সন নিউইয়র্কের রোচেস্টারে উড়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর জীবিত ভাই-বোনদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেন।
ডিক্সন বলেন, ‘আমি সারা জীবন কল্পনা করেছি, কোথাও আমার ভাইবোন রয়েছে। এটা আমার ক্রিসমাস মিরাকল!’
গত শনিবার ৫০ জনেরও বেশি আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন ডিক্সন। অথচ গত আগস্টের আগেও তাঁদের অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
দত্তক নেওয়া বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় এবং নিজের কোনো সন্তান না থাকায় খুব নিঃসঙ্গ ছিলেন ডিক্সন। তাই হঠাৎ করেই এত আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়া তাঁর কাছে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা।
ডিক্সন বলেন, ‘দেখা হওয়া মাত্রই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এটা অসাধারণ ছিল। আমি কখনো এমন নিঃশর্ত ভালোবাসার অভিজ্ঞতা পাইনি, যেমনটা আমার নতুন পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছি।’
জানা যায়, ১৯৪৯ সালে নিউইয়র্কের বাফেলোতে জন্ম নেওয়া ডিক্সনকে তিন মাস বয়সে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। তাঁর জীবনের এই গল্প সম্পর্কে তাঁর দত্তক বাবা-মা সব সময়ই সৎ ছিলেন।
তারপরও বাবা-মাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে ডিক্সন বলেন, ‘আমি সব সময় তাদের খুঁজতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নিউইয়র্ক রাজ্য দত্তকের আগে জন্ম সনদগুলো সিল করে রেখেছিল। তাই তাঁদের খুঁজে বের করা অসম্ভব ছিল।’
সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৯ সালে একটি নতুন আইন পাস হওয়ার পর দত্তক নেওয়া নিউইয়র্কবাসীদের জন্য আসল জন্ম সনদ উন্মুক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ডিক্সন তাঁর আসল জন্ম সনদ হাতে পান। তখনই তিনি তাঁর পিতার নাম রবার্ট বাড রোমিগ বলে জানতে পারেন। এ পর্যায়ে প্রথমেই তিনি তাঁর বাবার নামটি দিয়ে গুগলে সার্চ করেন। এতে বাবার ছবি সহ একটি মৃত্যুবার্ষিকীর বিজ্ঞাপন সামনে আসে তাঁর।
নিজের সঙ্গে বাবার চেহারার সাদৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন ডিক্সন। বিজ্ঞাপন থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর আরও ভাই এবং এক বোন রয়েছে।
ডিক্সন জানেন না কেন তাকে দত্তক দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পিতা কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী ছিলেন, আর তাঁর মা ছিলেন সেই বিভাগের সেক্রেটারি।
জীবিত ভাইবোনদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ডিক্সন প্রথমেই গ্যারি নামে একজনকে ফোন দেন। সেই গ্যারি ছিলেন আবার ডিক্সনের পিতার দত্তক নেওয়া ছেলে।
ফোনকলের মুহূর্তটিতে গ্যারি কাজের বিরতিতে ছিলেন। তিনি বলেন—“আমি ফোন তুললাম আর সে বলল, ‘আমার নাম ডিক্সন। আপনি কি গ্যারি রোমিগ?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ সে বলল, ‘আমি আপনার ভাই।’ আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ”
গ্যারি পরে অভূতপূর্ব ওই খবরটি ফোন করে অন্য সব ভাই-বোনকে জানান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সবার মধ্যে গভীর সম্পর্ক আরও মজবুত হতে শুরু করে।
দেখা হলেও ভাই-বোনদের সঙ্গে একসঙ্গে বড়দিন কাটাতে পারেননি ডিক্সন। ফিরে এসেছেন নিজ বাড়িতে। তবে পরিকল্পনা করেছেন, আসন্ন গ্রীষ্মেই তাঁরা একসঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে যাবেন। এ জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা একটি গ্রুপ চ্যাট শুরু করে দিয়েছেন।
জীবনের বেশির ভাগ সময় নিজেকে এক হতভাগ্য মানুষ ভেবে এসেছেন ডিক্সন হ্যান্ডশো হাতশা। জন্মের পরপরই তাঁকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল, জানতেন না আসল বাবা-মার পরিচয়। সাত দশকেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর বেশ কয়েকজন ভাইবোন রয়েছে। বড়দিনের ঠিক আগে ৭৫ বছর বয়সী ডিক্সন তাঁর জীবিত ভাইবোনদের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
বুধবার এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, বড়দিনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় বসবাসকারী ডিক্সন নিউইয়র্কের রোচেস্টারে উড়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি তাঁর জীবিত ভাই-বোনদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেন।
ডিক্সন বলেন, ‘আমি সারা জীবন কল্পনা করেছি, কোথাও আমার ভাইবোন রয়েছে। এটা আমার ক্রিসমাস মিরাকল!’
গত শনিবার ৫০ জনেরও বেশি আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন ডিক্সন। অথচ গত আগস্টের আগেও তাঁদের অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
দত্তক নেওয়া বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় এবং নিজের কোনো সন্তান না থাকায় খুব নিঃসঙ্গ ছিলেন ডিক্সন। তাই হঠাৎ করেই এত আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়া তাঁর কাছে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা।
ডিক্সন বলেন, ‘দেখা হওয়া মাত্রই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এটা অসাধারণ ছিল। আমি কখনো এমন নিঃশর্ত ভালোবাসার অভিজ্ঞতা পাইনি, যেমনটা আমার নতুন পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছি।’
জানা যায়, ১৯৪৯ সালে নিউইয়র্কের বাফেলোতে জন্ম নেওয়া ডিক্সনকে তিন মাস বয়সে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। তাঁর জীবনের এই গল্প সম্পর্কে তাঁর দত্তক বাবা-মা সব সময়ই সৎ ছিলেন।
তারপরও বাবা-মাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে ডিক্সন বলেন, ‘আমি সব সময় তাদের খুঁজতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নিউইয়র্ক রাজ্য দত্তকের আগে জন্ম সনদগুলো সিল করে রেখেছিল। তাই তাঁদের খুঁজে বের করা অসম্ভব ছিল।’
সিএনএন জানিয়েছে, ২০১৯ সালে একটি নতুন আইন পাস হওয়ার পর দত্তক নেওয়া নিউইয়র্কবাসীদের জন্য আসল জন্ম সনদ উন্মুক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ডিক্সন তাঁর আসল জন্ম সনদ হাতে পান। তখনই তিনি তাঁর পিতার নাম রবার্ট বাড রোমিগ বলে জানতে পারেন। এ পর্যায়ে প্রথমেই তিনি তাঁর বাবার নামটি দিয়ে গুগলে সার্চ করেন। এতে বাবার ছবি সহ একটি মৃত্যুবার্ষিকীর বিজ্ঞাপন সামনে আসে তাঁর।
নিজের সঙ্গে বাবার চেহারার সাদৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন ডিক্সন। বিজ্ঞাপন থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর আরও ভাই এবং এক বোন রয়েছে।
ডিক্সন জানেন না কেন তাকে দত্তক দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পিতা কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শিক্ষার্থী ছিলেন, আর তাঁর মা ছিলেন সেই বিভাগের সেক্রেটারি।
জীবিত ভাইবোনদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ডিক্সন প্রথমেই গ্যারি নামে একজনকে ফোন দেন। সেই গ্যারি ছিলেন আবার ডিক্সনের পিতার দত্তক নেওয়া ছেলে।
ফোনকলের মুহূর্তটিতে গ্যারি কাজের বিরতিতে ছিলেন। তিনি বলেন—“আমি ফোন তুললাম আর সে বলল, ‘আমার নাম ডিক্সন। আপনি কি গ্যারি রোমিগ?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ সে বলল, ‘আমি আপনার ভাই।’ আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ”
গ্যারি পরে অভূতপূর্ব ওই খবরটি ফোন করে অন্য সব ভাই-বোনকে জানান এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সবার মধ্যে গভীর সম্পর্ক আরও মজবুত হতে শুরু করে।
দেখা হলেও ভাই-বোনদের সঙ্গে একসঙ্গে বড়দিন কাটাতে পারেননি ডিক্সন। ফিরে এসেছেন নিজ বাড়িতে। তবে পরিকল্পনা করেছেন, আসন্ন গ্রীষ্মেই তাঁরা একসঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে যাবেন। এ জন্য ইতিমধ্যেই তাঁরা একটি গ্রুপ চ্যাট শুরু করে দিয়েছেন।
সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ লিউকেমিয়ায় (রক্ত ক্যানসার) আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি টেলিগ্রাফ। চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন।
৩০ মিনিট আগেবিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩৭ জন বন্দীর শাস্তি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার সামাজিক...
১ ঘণ্টা আগে২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়ংকরতম সেই দিন, যেদিন ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সুনামির ঢেউ আন্দামান ও নিকোবরের হাট বে দ্বীপ গ্রাস করেছিল। এই দ্বীপেই ছিল নমিতা রায়ের বাড়ি। তাঁর বয়স তখন ২৬ বছর।
১ ঘণ্টা আগেচীন ভারতের এবং বাংলাদেশের উদ্বেগ উপেক্ষা করে তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পটি তিব্বত, ভারত এবং বাংলাদেশের নদী প্রবাহে বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম এবং বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলে।
১ ঘণ্টা আগে