অনলাইন ডেস্ক
উত্তর সিরিয়া ও আলাওই পর্বতমালা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। তবে রুশ সেনাদের সিরিয়া থেকে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। সিরিয়ার চার কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছে। গতকাল ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছিল সম্ভবত, রাশিয়া সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে। সেই খবর প্রকাশের পরপরই সিরিয়ার কর্মকর্তারা বিষয়টি জানালেন।
বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর প্রয়াত পিতা হাফিজ আল-আসাদ—যিনি প্রায় ৩০ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন—মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার দুটি সেনা ঘাঁটির—লাতাকিয়ায় হামেইমিম বিমানঘাঁটি এবং তারতুস নৌঘাঁটি—ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত শুক্রবার ম্যাক্সার স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, অন্তত দুটি আন্তনভ এএন-১২৪—যা বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমানগুলোর কটি—হামেইমিম ঘাঁটিতে উপস্থিত ছিল। সেগুলোর ডালাও উন্মুক্ত করা ছিল, সম্ভবত মালামাল তোলার জন্য। পরে গতকাল শনিবার সিরিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অন্তত একটি কার্গো বিমান লিবিয়ার উদ্দেশ্যে সিরিয়া থেকে উড়ে গেছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সিরিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মস্কো ফ্রন্টলাইন থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করছে এবং কিছু ভারী সরঞ্জাম ও উচ্চ পদস্থ সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাশিয়া সিরিয়ায় তাদের দুটি প্রধান ঘাঁটি ছাড়ছে না এবং বর্তমানে সেগুলো ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু সরঞ্জাম মস্কোয় পাঠানো হচ্ছে এবং আসাদের সামরিক বাহিনী থেকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে উদ্দেশ্য হলো—পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সেনাদের পুনর্বিন্যস্ত করা।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতা—যিনি নতুন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন—রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ান সামরিক উপস্থিতি এবং আসাদ সরকার ও মস্কোর মধ্যে পূর্ববর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘এটি ভবিষ্যতের আলোচনার বিষয় এবং সিরিয়ার জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।’ তবে তিনি জানান, বিদ্রোহীরা এরই মধ্যে যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাহিনী এখন লাতাকিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটির কাছাকাছি অবস্থান করছে।’
এদিকে, ক্রেমলিন বলেছে—রাশিয়া সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। রাশিয়ার একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে আলোচনা চলমান এবং রাশিয়া তার ঘাঁটি ছাড়ছে না।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আহমদ আল-শারা বা আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ কীভাবে বিবেচনার করেন—তা এখনো জানা যায়নি। তবে রাশিয়ার উপস্থিতি তাঁর পক্ষে ইতিবাচকভাবে হয়তো বিবেচনা করা সম্ভব হবে না। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৫ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে আসাদ সরকারকে পশ্চিমা চাপের বিরুদ্ধে টিকিয়ে রেখেছিলেন এবং আসাদ দেশ ছেড়ে পালানোর পর তাঁকে মস্কোই আশ্রয় দিয়েছে।
মস্কো দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার শাসকদের পক্ষাবলম্বন করেছে। সিরিয়া যখন ২০ শতকের ৪০ এর দশকে ফরাসি উপনিবেশবাদী আন্দোলনের উত্তাল তখনো রাশিয়া তাদের সমর্থন দিয়েছে এবং ১৯৪৪ সালে মস্কো সিরিয়াকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্ব সিরিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের মদদপুষ্ট স্যাটেলাইট স্টেট হিসেবে দেখত।
সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটিগুলো তার বৈশ্বিক সামরিক উপস্থিতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারতুস নৌঘাঁটি রাশিয়ার একমাত্র ভূমধ্যসাগরের মেরামত ও পুনঃসরবরাহ কেন্দ্র এবং হামেইমিম আফ্রিকায় সামরিক এবং ভাড়াটে বাহিনীর কার্যক্রমের জন্য একটি প্রধান স্টেজিং পয়েন্ট।
সিরিয়ার সামরিক ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলি জানিয়েছে, সিরিয়ায় রাশিয়া গোয়েন্দা কেন্দ্রও আছে যেখানে একটি লিসেনিং পোস্ট—অর্থাৎ, অন্য দেশের গোয়েন্দা যোগাযোগে আড়ি পাতা সিস্টেম—আছে। রাশিয়া ১৯৭১ সালে তারতুসে নৌঘাঁটি স্থাপন করে এবং ২০১৭ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকারের পক্ষে হস্তক্ষেপের মূল্য হিসেবে মস্কো সেখানে আরও ৪৯ বছরের জন্য বিনা মূল্যে অবস্থান করার অনুমতি পায়।
ইস্তাম্বুলে বসবাসরত ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়োরুক ইসিক বলেছেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তার কার্গো বিমানগুলো সিরিয়া ছেড়ে ককেসাসের মধ্য দিয়ে লিবিয়ার আল খাদিম বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছে।’
হামেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে তারতুস নৌঘাঁটিটি একটি মহাসড়কের মাধ্যমে যুক্ত। সেই সড়কে গত শুক্রবার রাশিয়ার একটি গাড়িবহর দেখা যায়। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, এই গাড়িবহরে ইন্সট্রিফাইটিং যানবাহন ও লজিস্টিক যানবাহন। বহরের একটি গাড়ির ত্রুটির কারণে সেটি মহাসড়কে এক জায়গায় থেমে গিয়েছিল। সেখানেই এতে থাকা সরঞ্জাম দেখতে পান এক প্রত্যক্ষদর্শী। পরে তিনি তা রয়টার্সের প্রতিবেদককে জানান।
এদিকে, হামেইমিমে গিয়ে রয়টার্স দেখতে পেয়েছিল যে—রাশিয়ার সৈন্যরা ঘাঁটিতে সাধারণভাবেই চলাচল করছে এবং বিমানগুলি হ্যাঙ্গারে রাখা আছে যথারীতি। এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর প্ল্যানেট ল্যাবসের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রাশিয়ার ভূমধ্যসাগরের বহরে অন্তত তিনটি জাহাজ—দুটি গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট এবং একটি তেলবাহী জাহাজ তারতুস থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দাঁড়িয়ে আছে।
উত্তর সিরিয়া ও আলাওই পর্বতমালা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। তবে রুশ সেনাদের সিরিয়া থেকে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। সিরিয়ার চার কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছে। গতকাল ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছিল সম্ভবত, রাশিয়া সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে। সেই খবর প্রকাশের পরপরই সিরিয়ার কর্মকর্তারা বিষয়টি জানালেন।
বাশার আল-আসাদ এবং তাঁর প্রয়াত পিতা হাফিজ আল-আসাদ—যিনি প্রায় ৩০ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন—মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার দুটি সেনা ঘাঁটির—লাতাকিয়ায় হামেইমিম বিমানঘাঁটি এবং তারতুস নৌঘাঁটি—ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত শুক্রবার ম্যাক্সার স্যাটেলাইটের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, অন্তত দুটি আন্তনভ এএন-১২৪—যা বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো বিমানগুলোর কটি—হামেইমিম ঘাঁটিতে উপস্থিত ছিল। সেগুলোর ডালাও উন্মুক্ত করা ছিল, সম্ভবত মালামাল তোলার জন্য। পরে গতকাল শনিবার সিরিয়ার এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অন্তত একটি কার্গো বিমান লিবিয়ার উদ্দেশ্যে সিরিয়া থেকে উড়ে গেছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সিরিয়ার সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মস্কো ফ্রন্টলাইন থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করছে এবং কিছু ভারী সরঞ্জাম ও উচ্চ পদস্থ সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাশিয়া সিরিয়ায় তাদের দুটি প্রধান ঘাঁটি ছাড়ছে না এবং বর্তমানে সেগুলো ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু সরঞ্জাম মস্কোয় পাঠানো হচ্ছে এবং আসাদের সামরিক বাহিনী থেকে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদেরও ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে উদ্দেশ্য হলো—পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সেনাদের পুনর্বিন্যস্ত করা।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতা—যিনি নতুন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখেন—রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সিরিয়ায় রাশিয়ান সামরিক উপস্থিতি এবং আসাদ সরকার ও মস্কোর মধ্যে পূর্ববর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘এটি ভবিষ্যতের আলোচনার বিষয় এবং সিরিয়ার জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।’ তবে তিনি জানান, বিদ্রোহীরা এরই মধ্যে যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপন করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাহিনী এখন লাতাকিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটির কাছাকাছি অবস্থান করছে।’
এদিকে, ক্রেমলিন বলেছে—রাশিয়া সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে ঘাঁটিগুলোর বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে এই বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। রাশিয়ার একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে আলোচনা চলমান এবং রাশিয়া তার ঘাঁটি ছাড়ছে না।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আহমদ আল-শারা বা আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ কীভাবে বিবেচনার করেন—তা এখনো জানা যায়নি। তবে রাশিয়ার উপস্থিতি তাঁর পক্ষে ইতিবাচকভাবে হয়তো বিবেচনা করা সম্ভব হবে না। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৫ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে আসাদ সরকারকে পশ্চিমা চাপের বিরুদ্ধে টিকিয়ে রেখেছিলেন এবং আসাদ দেশ ছেড়ে পালানোর পর তাঁকে মস্কোই আশ্রয় দিয়েছে।
মস্কো দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার শাসকদের পক্ষাবলম্বন করেছে। সিরিয়া যখন ২০ শতকের ৪০ এর দশকে ফরাসি উপনিবেশবাদী আন্দোলনের উত্তাল তখনো রাশিয়া তাদের সমর্থন দিয়েছে এবং ১৯৪৪ সালে মস্কো সিরিয়াকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্ব সিরিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের মদদপুষ্ট স্যাটেলাইট স্টেট হিসেবে দেখত।
সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটিগুলো তার বৈশ্বিক সামরিক উপস্থিতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারতুস নৌঘাঁটি রাশিয়ার একমাত্র ভূমধ্যসাগরের মেরামত ও পুনঃসরবরাহ কেন্দ্র এবং হামেইমিম আফ্রিকায় সামরিক এবং ভাড়াটে বাহিনীর কার্যক্রমের জন্য একটি প্রধান স্টেজিং পয়েন্ট।
সিরিয়ার সামরিক ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলি জানিয়েছে, সিরিয়ায় রাশিয়া গোয়েন্দা কেন্দ্রও আছে যেখানে একটি লিসেনিং পোস্ট—অর্থাৎ, অন্য দেশের গোয়েন্দা যোগাযোগে আড়ি পাতা সিস্টেম—আছে। রাশিয়া ১৯৭১ সালে তারতুসে নৌঘাঁটি স্থাপন করে এবং ২০১৭ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকারের পক্ষে হস্তক্ষেপের মূল্য হিসেবে মস্কো সেখানে আরও ৪৯ বছরের জন্য বিনা মূল্যে অবস্থান করার অনুমতি পায়।
ইস্তাম্বুলে বসবাসরত ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়োরুক ইসিক বলেছেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তার কার্গো বিমানগুলো সিরিয়া ছেড়ে ককেসাসের মধ্য দিয়ে লিবিয়ার আল খাদিম বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছে।’
হামেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে তারতুস নৌঘাঁটিটি একটি মহাসড়কের মাধ্যমে যুক্ত। সেই সড়কে গত শুক্রবার রাশিয়ার একটি গাড়িবহর দেখা যায়। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, এই গাড়িবহরে ইন্সট্রিফাইটিং যানবাহন ও লজিস্টিক যানবাহন। বহরের একটি গাড়ির ত্রুটির কারণে সেটি মহাসড়কে এক জায়গায় থেমে গিয়েছিল। সেখানেই এতে থাকা সরঞ্জাম দেখতে পান এক প্রত্যক্ষদর্শী। পরে তিনি তা রয়টার্সের প্রতিবেদককে জানান।
এদিকে, হামেইমিমে গিয়ে রয়টার্স দেখতে পেয়েছিল যে—রাশিয়ার সৈন্যরা ঘাঁটিতে সাধারণভাবেই চলাচল করছে এবং বিমানগুলি হ্যাঙ্গারে রাখা আছে যথারীতি। এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর প্ল্যানেট ল্যাবসের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রাশিয়ার ভূমধ্যসাগরের বহরে অন্তত তিনটি জাহাজ—দুটি গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট এবং একটি তেলবাহী জাহাজ তারতুস থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দাঁড়িয়ে আছে।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এক নারী সহ একটি হেরোইন পাচারকারী চক্রের ৯ সদস্য ধরা পড়েছিলেন। পরে তারা ‘বালি-নাইন গ্যাং’ নামে কুখ্যাতি পান। রোববার সিএনএন জানিয়েছে, দুই দশক ধরে বন্দী ওই গ্যাংয়ের অবশিষ্ট পাঁচ অস্ট্রেলিয়ানকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
১ ঘণ্টা আগেগাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর হার উদ্বেগজনকভাবে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে না দিলে তারা ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে৮ ডিসেম্বর, ২০২৪। রাজধানী দামেস্ক দখলে নিতে শুরু করেছে বিদ্রোহী এইচটিএসের (হায়াত তাহরির আল শামস) সদস্যরা। এদিকে খবর এল, পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এত দ্রুত ঘটনাগুলো ঘটেছে যে সিরিয়াবাসী এবং গোটা বিশ্বকে ধাতস্থ হতে বেগ পেতে হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরে ভারত–বাংলাদেশ সমুদ্রসীমার (আইএমবিএল) কাছে মাছ শিকার এড়িয়ে চলছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। ফলে রপ্তানিযোগ্য বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, যেমন—ইল, সিলভার পমফ্রেট এবং চিংড়ির জোগান অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ার হওয়ার ভয়ে তাঁরা এখন এই এলাকায় মাছ ধরতে যাচ্ছেন না।
৩ ঘণ্টা আগে