অনলাইন ডেস্ক
হাইতিতে অব্যাহত আছে শক্তিশালী সশস্ত্র গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ। এতে মার্চের প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির রাজধানী ছেড়েছে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স আর নিরাপদ নয়। এই অচলাবস্থায় কাটিয়ে ওঠার পথ দেখাতে পারছেন না দেশটির রাজনীতিবিদেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে, সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মার্চের ৮ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ পোর্ট-অ-প্রিন্স ছেড়ে চলে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগের প্রধান ভলকার তুর্ক গত মঙ্গলবার বলেছেন যে—হত্যা, অপহরণ এবং যৌন সহিংসতাসহ আধুনিক হাইতির ইতিহাসে ঘটেছে নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। অব্যাহত সংঘর্ষের কারণে রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও মানবিক সহায়তার পরিবহনও বন্ধ হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মতে, হাইতির অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষই এখন রাজধানী ছেড়ে দেশটির দক্ষিণ উপদ্বীপের দিকে যাত্রা করছে—যে এলাকা এখনো ২০২১ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের প্রভাব সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। মার্চ মাসে রাজধানী ছেড়ে আসা প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাতজনই গ্যাং সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলো সমুদ্র সীমানায় নিরাপত্তা বাড়ানোয় হাইতির মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ অভিবাসনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছে। এই ৪ শতাংশের বেশির ভাগই যেতে চায় ডোমিনিকান রিপাবলিকে। হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকের যৌথ অধিকারে আছে হিস্পানিওলা দ্বীপ। তবে হাইতির সহিংসতায় ডোমিনিকান রিপাবলিক সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিজ ভূখণ্ডে শরণার্থীশিবির বাতিল করাসহ হাজার হাজার শরণার্থীকে সীমান্তের ওপারে ফেরত পাঠিয়েছে তারা।
রাজধানীর যেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখনো নেওয়া হয়নি সেসবের দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হাইতির গ্যাংগুলোর জোট। হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল গ্যাংগুলো। পুয়ের্তো রিকোতে আটকে থাকা অবস্থায় গত ১১ মার্চ পদত্যাগের ঘোষণা দেন এরিয়েল হেনরি।
এরপর রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে একটি প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এরিয়েল হেনরির স্থলাভিষিক্ত খুঁজে বের করা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহ পরেও দলীয় কোন্দল, হুমকি এবং পদত্যাগের কারণে ঘটিত হয়নি প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল।
গত রোববার হাইতির সামরিক বাহিনী এবং ৫০টিরও বেশি বেসামরিক সমিতির সদস্যরা দেশটির সংবিধানে বর্ণিত বিকল্প একটি ধারা অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে হাইতির সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারককে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে—যিনি সরকার গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন।
তবে বিরোধীরা বলছেন যে, এই ধারণাটি এরিয়েল হেনরির মিত্রদের একটি কৌশল। আদালতের বেশির ভাগ বিচারকই এক বছর আগে হেনরির সময়ে নিয়োগ পান। হাইতির অনেক মানুষই এই বিচারকদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে দেখে।
হাইতিতে অব্যাহত আছে শক্তিশালী সশস্ত্র গ্যাংগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ। এতে মার্চের প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির রাজধানী ছেড়েছে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হওয়ায় সাধারণ মানুষের জন্য রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স আর নিরাপদ নয়। এই অচলাবস্থায় কাটিয়ে ওঠার পথ দেখাতে পারছেন না দেশটির রাজনীতিবিদেরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে যে, সহিংসতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মার্চের ৮ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ পোর্ট-অ-প্রিন্স ছেড়ে চলে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিভাগের প্রধান ভলকার তুর্ক গত মঙ্গলবার বলেছেন যে—হত্যা, অপহরণ এবং যৌন সহিংসতাসহ আধুনিক হাইতির ইতিহাসে ঘটেছে নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। অব্যাহত সংঘর্ষের কারণে রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও মানবিক সহায়তার পরিবহনও বন্ধ হয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মতে, হাইতির অনেক বাস্তুচ্যুত মানুষই এখন রাজধানী ছেড়ে দেশটির দক্ষিণ উপদ্বীপের দিকে যাত্রা করছে—যে এলাকা এখনো ২০২১ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের প্রভাব সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। মার্চ মাসে রাজধানী ছেড়ে আসা প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রায় সাতজনই গ্যাং সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলো সমুদ্র সীমানায় নিরাপত্তা বাড়ানোয় হাইতির মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ অভিবাসনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছে। এই ৪ শতাংশের বেশির ভাগই যেতে চায় ডোমিনিকান রিপাবলিকে। হাইতি ও ডোমিনিকান রিপাবলিকের যৌথ অধিকারে আছে হিস্পানিওলা দ্বীপ। তবে হাইতির সহিংসতায় ডোমিনিকান রিপাবলিক সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। নিজ ভূখণ্ডে শরণার্থীশিবির বাতিল করাসহ হাজার হাজার শরণার্থীকে সীমান্তের ওপারে ফেরত পাঠিয়েছে তারা।
রাজধানীর যেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ এখনো নেওয়া হয়নি সেসবের দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হাইতির গ্যাংগুলোর জোট। হাইতির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল গ্যাংগুলো। পুয়ের্তো রিকোতে আটকে থাকা অবস্থায় গত ১১ মার্চ পদত্যাগের ঘোষণা দেন এরিয়েল হেনরি।
এরপর রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে একটি প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে এরিয়েল হেনরির স্থলাভিষিক্ত খুঁজে বের করা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তিন সপ্তাহ পরেও দলীয় কোন্দল, হুমকি এবং পদত্যাগের কারণে ঘটিত হয়নি প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল।
গত রোববার হাইতির সামরিক বাহিনী এবং ৫০টিরও বেশি বেসামরিক সমিতির সদস্যরা দেশটির সংবিধানে বর্ণিত বিকল্প একটি ধারা অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এর মাধ্যমে হাইতির সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারককে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে—যিনি সরকার গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন।
তবে বিরোধীরা বলছেন যে, এই ধারণাটি এরিয়েল হেনরির মিত্রদের একটি কৌশল। আদালতের বেশির ভাগ বিচারকই এক বছর আগে হেনরির সময়ে নিয়োগ পান। হাইতির অনেক মানুষই এই বিচারকদের দুর্নীতিবাজ হিসেবে দেখে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, মুক্তির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে হামাসকে জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহ করতে হবে। তবে এখনো হামাস এই তালিকা প্রকাশ করেনি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তির সময়সীমা...
৫ ঘণ্টা আগেএকজন বন্দুকধারী সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বিচারক নিহত হন। এ সময় আদালতের একজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। বন্দুকধারী পালানোর সময় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মিজান।
৫ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দেওয়া সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির অভিযোগ, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে সরকার বলছে, এই সাজা ইমরান খানের প্রাপ্য ছিল।
৮ ঘণ্টা আগেআগামী ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৫–এর ১৫ তম প্রদর্শনী বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কা বিমানঘাঁটি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কা বিমানঘাঁটির ১৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে মাংস বিক্রি ও পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে