ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ২৪
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ৩৫

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর সৃষ্ট যুদ্ধাপরাধসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ এক বছর বাড়াতে জাতিসংঘের উত্থাপিত একটি প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিলেও এটিসহ মোট ১৩টি প্রস্তাব গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

জাতিসংঘের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউক্রেনে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ২৮টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ১৭টি দেশ। মাত্র দুটি দেশ—চীন ও ইরিত্রিয়া এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাব পাসে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের স্থায়ী প্রতিনিধি সের্গি কিসলিৎসিয়া ধন্যবাদ জানিয়ে এক টুইটে বলেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে উদ্ভূত ইউক্রেনে মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের আমরা অভিবাদন জানাই। মাত্র দুটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিল। এবার যুদ্ধাপরাধের বিচারের পালা!’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে এর আগেও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত ছিল বাংলাদেশ-ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার ও যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে।

ওই প্রস্তাবে বলা হয়, জাতিসংঘের সনদ মেনে ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। সে সময় ১৪১টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ৭টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ৩২টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল।

ভোটদানে বিরত থাকার কারণ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন দাবি করেছিল, জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় টেকসই ও বাস্তবসম্মত পথরেখা না থাকায় ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।

আর জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেছিলেন, ভারত সংলাপ ও কূটনীতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বহুপাক্ষিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনও রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের শুরু থেকে জাতিসংঘে বিভিন্ন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। গতকালের ভোটাভুটিতেও তারা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত