দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে আহসান এইচ মনসুর গভর্নর নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার অর্থের অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একদল সদস্যের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাঁর সহযোগীদের পাচার করা কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরাতে আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাহায্য চাইছেন। তাঁর ধারণা, পাচার করা সম্পদের কিছু অংশ হয়তো যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটেনের বর্তমান লেবার সরকারের সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সহযোগীদের কাছ থেকে সম্পদ গ্রহণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ব্রিটেনের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলতি বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আহসান এইচ মনসুরকে কেন্দ্র করে লেখা একটি নিবন্ধসহ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে ই-মেইল পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তাঁদের আশঙ্কা, ভুয়া সাংবাদিকদের লেখা নিবন্ধ পাচার অর্থ উদ্ধারে ঢাকার চেষ্টায় লন্ডনের সহায়তায় প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ‘আপাত’ কুৎসা রটানোর প্রচারণা।
আজ সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৪৭ সদস্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন রেসপনসিবল ট্যাক্স অ্যান্ড করাপশনের সদস্যদের সঙ্গে আহসান এইচ মনসুরের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর ঠিক আগেই গ্রুপের সদস্যরা সবাই ই-মেইলটি পান।
সেই ই-মেইলের প্রেরক নিজেকে একজন সাংবাদিক দাবি করেছেন এবং এমপিদের কাছে ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইটের লিংক পাঠিয়েছেন। আহসান মনসুরের মেয়ের কথিত ‘ধনসম্পদে’র খবর প্রকাশ করার পরও কেন তদন্ত করা হচ্ছে না, তা নিয়ে ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত দুটি নিবন্ধ পাঠিয়েছেন ওই কথিত সাংবাদিক।
নিবন্ধ দুটির কথিত লেখকদের ‘সাংবাদিক’ হিসেবে উল্লেখ ছাড়া অন্য কোনো পরিচিতি ই-মেইলে উল্লেখ নেই। দ্য গার্ডিয়ান যাচাই করে দেখেছে, এই দুই কথিত সাংবাদিক তাঁদের প্রোফাইলে যে ছবি ব্যবহার করেছেন, তা আসলে অনলাইন থেকে নেওয়া অন্য ব্যক্তির ছবি। আহসান এইচ মনসুর এবং কমিটির সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই ই-মেইলগুলো একটি সুসংগঠিত অপতথ্য প্রচারণার অংশ।
সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তাধীন ব্যক্তিরা ‘আমার খ্যাতি বিনষ্ট করতে এবং বিভিন্নভাবে আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর’ চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর মেয়ে মার্কিন নাগরিক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
এপিপিজির সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক ‘পালাটাইন কমিউনিকেশনস’ নামের একটি ব্রিটিশ জনসংযোগ সংস্থা থেকে আরেকটি ই-মেইল পান। সেখানেও ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের লিংক ছিল। এই ই-মেইলে বলা হয়েছে, আহসান এইচ মনসুর যদি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে প্রস্তুত থাকেন, তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, তিনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
রুপা হক বলেছেন, এমন ই-মেইল পাওয়া ‘খুবই অস্বাভাবিক’ এবং তিনি বিষয়টিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে করা বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এই দুটি কাজই ‘পার্লামেন্ট এবং এমপিদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটাতে ভয় দেখানো এবং হস্তক্ষেপ করার জন্য ডিজাইন করে করা হয়েছে।’
জানা গেছে, এপিপিজির সদস্যরা ই-মেইলগুলো পার্লামেন্টারি সাইবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেই সঙ্গে সংসদীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এই অপতথ্যের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
এপিপিজির সদস্য ও এমপি ফিল ব্রিকক বলেছেন, ‘যদি এমন হয় যে এই যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, তাহলে আমি মনে করি, আমাদের খুব উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্টারি কর্তৃপক্ষকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি—এর পেছনে কে অর্থায়ন করেছে এবং কেন, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, যাতে আমরা কীভাবে নিজেদের সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করতে পারি।’
পালাটাইন কমিউনিকেশনসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের ক্লায়েন্টের নির্দেশাবলি গোপনীয়। ই-মেইলটির বিষয়ে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নিবন্ধের লেখক কারা, সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই এবং এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কও নেই, তবে আমরা কখনোই দাবি করিনি যে, এটি একেবারে সত্য। অনেক গণমাধ্যমের অসংখ্য নিবন্ধের মতো, এটি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈধ উদ্বেগ উত্থাপন করে, যা আমরা মনে করি এমপিদের বিবেচনাযোগ্য।’
ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিবন্ধগুলোর প্রকৃত লেখক ‘পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন’ এবং তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে বিষয়বস্তু ‘যথেষ্ট নির্ভুল’।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে আহসান এইচ মনসুর গভর্নর নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার অর্থের অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একদল সদস্যের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাঁর সহযোগীদের পাচার করা কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরাতে আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাহায্য চাইছেন। তাঁর ধারণা, পাচার করা সম্পদের কিছু অংশ হয়তো যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটেনের বর্তমান লেবার সরকারের সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সহযোগীদের কাছ থেকে সম্পদ গ্রহণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ব্রিটেনের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলতি বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আহসান এইচ মনসুরকে কেন্দ্র করে লেখা একটি নিবন্ধসহ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে ই-মেইল পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তাঁদের আশঙ্কা, ভুয়া সাংবাদিকদের লেখা নিবন্ধ পাচার অর্থ উদ্ধারে ঢাকার চেষ্টায় লন্ডনের সহায়তায় প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ‘আপাত’ কুৎসা রটানোর প্রচারণা।
আজ সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৪৭ সদস্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন রেসপনসিবল ট্যাক্স অ্যান্ড করাপশনের সদস্যদের সঙ্গে আহসান এইচ মনসুরের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর ঠিক আগেই গ্রুপের সদস্যরা সবাই ই-মেইলটি পান।
সেই ই-মেইলের প্রেরক নিজেকে একজন সাংবাদিক দাবি করেছেন এবং এমপিদের কাছে ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইটের লিংক পাঠিয়েছেন। আহসান মনসুরের মেয়ের কথিত ‘ধনসম্পদে’র খবর প্রকাশ করার পরও কেন তদন্ত করা হচ্ছে না, তা নিয়ে ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত দুটি নিবন্ধ পাঠিয়েছেন ওই কথিত সাংবাদিক।
নিবন্ধ দুটির কথিত লেখকদের ‘সাংবাদিক’ হিসেবে উল্লেখ ছাড়া অন্য কোনো পরিচিতি ই-মেইলে উল্লেখ নেই। দ্য গার্ডিয়ান যাচাই করে দেখেছে, এই দুই কথিত সাংবাদিক তাঁদের প্রোফাইলে যে ছবি ব্যবহার করেছেন, তা আসলে অনলাইন থেকে নেওয়া অন্য ব্যক্তির ছবি। আহসান এইচ মনসুর এবং কমিটির সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই ই-মেইলগুলো একটি সুসংগঠিত অপতথ্য প্রচারণার অংশ।
সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তাধীন ব্যক্তিরা ‘আমার খ্যাতি বিনষ্ট করতে এবং বিভিন্নভাবে আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর’ চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর মেয়ে মার্কিন নাগরিক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
এপিপিজির সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক ‘পালাটাইন কমিউনিকেশনস’ নামের একটি ব্রিটিশ জনসংযোগ সংস্থা থেকে আরেকটি ই-মেইল পান। সেখানেও ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের লিংক ছিল। এই ই-মেইলে বলা হয়েছে, আহসান এইচ মনসুর যদি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে প্রস্তুত থাকেন, তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, তিনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
রুপা হক বলেছেন, এমন ই-মেইল পাওয়া ‘খুবই অস্বাভাবিক’ এবং তিনি বিষয়টিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে করা বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এই দুটি কাজই ‘পার্লামেন্ট এবং এমপিদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটাতে ভয় দেখানো এবং হস্তক্ষেপ করার জন্য ডিজাইন করে করা হয়েছে।’
জানা গেছে, এপিপিজির সদস্যরা ই-মেইলগুলো পার্লামেন্টারি সাইবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেই সঙ্গে সংসদীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এই অপতথ্যের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
এপিপিজির সদস্য ও এমপি ফিল ব্রিকক বলেছেন, ‘যদি এমন হয় যে এই যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, তাহলে আমি মনে করি, আমাদের খুব উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্টারি কর্তৃপক্ষকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি—এর পেছনে কে অর্থায়ন করেছে এবং কেন, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, যাতে আমরা কীভাবে নিজেদের সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করতে পারি।’
পালাটাইন কমিউনিকেশনসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের ক্লায়েন্টের নির্দেশাবলি গোপনীয়। ই-মেইলটির বিষয়ে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নিবন্ধের লেখক কারা, সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই এবং এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কও নেই, তবে আমরা কখনোই দাবি করিনি যে, এটি একেবারে সত্য। অনেক গণমাধ্যমের অসংখ্য নিবন্ধের মতো, এটি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈধ উদ্বেগ উত্থাপন করে, যা আমরা মনে করি এমপিদের বিবেচনাযোগ্য।’
ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিবন্ধগুলোর প্রকৃত লেখক ‘পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন’ এবং তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে বিষয়বস্তু ‘যথেষ্ট নির্ভুল’।
আরও খবর পড়ুন:
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে আহসান এইচ মনসুর গভর্নর নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার অর্থের অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একদল সদস্যের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাঁর সহযোগীদের পাচার করা কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরাতে আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাহায্য চাইছেন। তাঁর ধারণা, পাচার করা সম্পদের কিছু অংশ হয়তো যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটেনের বর্তমান লেবার সরকারের সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সহযোগীদের কাছ থেকে সম্পদ গ্রহণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ব্রিটেনের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলতি বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আহসান এইচ মনসুরকে কেন্দ্র করে লেখা একটি নিবন্ধসহ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে ই-মেইল পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তাঁদের আশঙ্কা, ভুয়া সাংবাদিকদের লেখা নিবন্ধ পাচার অর্থ উদ্ধারে ঢাকার চেষ্টায় লন্ডনের সহায়তায় প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ‘আপাত’ কুৎসা রটানোর প্রচারণা।
আজ সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৪৭ সদস্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন রেসপনসিবল ট্যাক্স অ্যান্ড করাপশনের সদস্যদের সঙ্গে আহসান এইচ মনসুরের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর ঠিক আগেই গ্রুপের সদস্যরা সবাই ই-মেইলটি পান।
সেই ই-মেইলের প্রেরক নিজেকে একজন সাংবাদিক দাবি করেছেন এবং এমপিদের কাছে ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইটের লিংক পাঠিয়েছেন। আহসান মনসুরের মেয়ের কথিত ‘ধনসম্পদে’র খবর প্রকাশ করার পরও কেন তদন্ত করা হচ্ছে না, তা নিয়ে ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত দুটি নিবন্ধ পাঠিয়েছেন ওই কথিত সাংবাদিক।
নিবন্ধ দুটির কথিত লেখকদের ‘সাংবাদিক’ হিসেবে উল্লেখ ছাড়া অন্য কোনো পরিচিতি ই-মেইলে উল্লেখ নেই। দ্য গার্ডিয়ান যাচাই করে দেখেছে, এই দুই কথিত সাংবাদিক তাঁদের প্রোফাইলে যে ছবি ব্যবহার করেছেন, তা আসলে অনলাইন থেকে নেওয়া অন্য ব্যক্তির ছবি। আহসান এইচ মনসুর এবং কমিটির সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই ই-মেইলগুলো একটি সুসংগঠিত অপতথ্য প্রচারণার অংশ।
সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তাধীন ব্যক্তিরা ‘আমার খ্যাতি বিনষ্ট করতে এবং বিভিন্নভাবে আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর’ চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর মেয়ে মার্কিন নাগরিক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
এপিপিজির সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক ‘পালাটাইন কমিউনিকেশনস’ নামের একটি ব্রিটিশ জনসংযোগ সংস্থা থেকে আরেকটি ই-মেইল পান। সেখানেও ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের লিংক ছিল। এই ই-মেইলে বলা হয়েছে, আহসান এইচ মনসুর যদি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে প্রস্তুত থাকেন, তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, তিনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
রুপা হক বলেছেন, এমন ই-মেইল পাওয়া ‘খুবই অস্বাভাবিক’ এবং তিনি বিষয়টিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে করা বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এই দুটি কাজই ‘পার্লামেন্ট এবং এমপিদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটাতে ভয় দেখানো এবং হস্তক্ষেপ করার জন্য ডিজাইন করে করা হয়েছে।’
জানা গেছে, এপিপিজির সদস্যরা ই-মেইলগুলো পার্লামেন্টারি সাইবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেই সঙ্গে সংসদীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এই অপতথ্যের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
এপিপিজির সদস্য ও এমপি ফিল ব্রিকক বলেছেন, ‘যদি এমন হয় যে এই যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, তাহলে আমি মনে করি, আমাদের খুব উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্টারি কর্তৃপক্ষকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি—এর পেছনে কে অর্থায়ন করেছে এবং কেন, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, যাতে আমরা কীভাবে নিজেদের সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করতে পারি।’
পালাটাইন কমিউনিকেশনসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের ক্লায়েন্টের নির্দেশাবলি গোপনীয়। ই-মেইলটির বিষয়ে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নিবন্ধের লেখক কারা, সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই এবং এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কও নেই, তবে আমরা কখনোই দাবি করিনি যে, এটি একেবারে সত্য। অনেক গণমাধ্যমের অসংখ্য নিবন্ধের মতো, এটি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈধ উদ্বেগ উত্থাপন করে, যা আমরা মনে করি এমপিদের বিবেচনাযোগ্য।’
ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিবন্ধগুলোর প্রকৃত লেখক ‘পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন’ এবং তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে বিষয়বস্তু ‘যথেষ্ট নির্ভুল’।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে আহসান এইচ মনসুর গভর্নর নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাচার অর্থের অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একদল সদস্যের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেছেন।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাঁর সহযোগীদের পাচার করা কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশে ফেরাতে আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাহায্য চাইছেন। তাঁর ধারণা, পাচার করা সম্পদের কিছু অংশ হয়তো যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি কিনতে ব্যবহার করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ভাগনি ও ব্রিটেনের বর্তমান লেবার সরকারের সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সহযোগীদের কাছ থেকে সম্পদ গ্রহণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ব্রিটেনের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলতি বছর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে। এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আহসান এইচ মনসুরকে কেন্দ্র করে লেখা একটি নিবন্ধসহ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে ই-মেইল পেয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা। তাঁদের আশঙ্কা, ভুয়া সাংবাদিকদের লেখা নিবন্ধ পাচার অর্থ উদ্ধারে ঢাকার চেষ্টায় লন্ডনের সহায়তায় প্রভাব ফেলতে পারে। এটি আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ‘আপাত’ কুৎসা রটানোর প্রচারণা।
আজ সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৪৭ সদস্যের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন রেসপনসিবল ট্যাক্স অ্যান্ড করাপশনের সদস্যদের সঙ্গে আহসান এইচ মনসুরের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর ঠিক আগেই গ্রুপের সদস্যরা সবাই ই-মেইলটি পান।
সেই ই-মেইলের প্রেরক নিজেকে একজন সাংবাদিক দাবি করেছেন এবং এমপিদের কাছে ‘ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইটের লিংক পাঠিয়েছেন। আহসান মনসুরের মেয়ের কথিত ‘ধনসম্পদে’র খবর প্রকাশ করার পরও কেন তদন্ত করা হচ্ছে না, তা নিয়ে ওয়েবসাইটটিতে প্রকাশিত দুটি নিবন্ধ পাঠিয়েছেন ওই কথিত সাংবাদিক।
নিবন্ধ দুটির কথিত লেখকদের ‘সাংবাদিক’ হিসেবে উল্লেখ ছাড়া অন্য কোনো পরিচিতি ই-মেইলে উল্লেখ নেই। দ্য গার্ডিয়ান যাচাই করে দেখেছে, এই দুই কথিত সাংবাদিক তাঁদের প্রোফাইলে যে ছবি ব্যবহার করেছেন, তা আসলে অনলাইন থেকে নেওয়া অন্য ব্যক্তির ছবি। আহসান এইচ মনসুর এবং কমিটির সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই ই-মেইলগুলো একটি সুসংগঠিত অপতথ্য প্রচারণার অংশ।
সাবেক আইএমএফ কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্তাধীন ব্যক্তিরা ‘আমার খ্যাতি বিনষ্ট করতে এবং বিভিন্নভাবে আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর’ চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর মেয়ে মার্কিন নাগরিক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর তেমন কোনো সম্পর্ক নেই।
এপিপিজির সদস্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক ‘পালাটাইন কমিউনিকেশনস’ নামের একটি ব্রিটিশ জনসংযোগ সংস্থা থেকে আরেকটি ই-মেইল পান। সেখানেও ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের লিংক ছিল। এই ই-মেইলে বলা হয়েছে, আহসান এইচ মনসুর যদি টিউলিপ সিদ্দিকের ‘সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে প্রস্তুত থাকেন, তবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, তিনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
রুপা হক বলেছেন, এমন ই-মেইল পাওয়া ‘খুবই অস্বাভাবিক’ এবং তিনি বিষয়টিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে করা বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, এই দুটি কাজই ‘পার্লামেন্ট এবং এমপিদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটাতে ভয় দেখানো এবং হস্তক্ষেপ করার জন্য ডিজাইন করে করা হয়েছে।’
জানা গেছে, এপিপিজির সদস্যরা ই-মেইলগুলো পার্লামেন্টারি সাইবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সেই সঙ্গে সংসদীয় পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠিয়েছেন। তাঁরা এই অপতথ্যের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।
এপিপিজির সদস্য ও এমপি ফিল ব্রিকক বলেছেন, ‘যদি এমন হয় যে এই যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা, তাহলে আমি মনে করি, আমাদের খুব উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট পার্লামেন্টারি কর্তৃপক্ষকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি—এর পেছনে কে অর্থায়ন করেছে এবং কেন, তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে, যাতে আমরা কীভাবে নিজেদের সর্বোত্তমভাবে রক্ষা করতে পারি।’
পালাটাইন কমিউনিকেশনসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের ক্লায়েন্টের নির্দেশাবলি গোপনীয়। ই-মেইলটির বিষয়ে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই নিবন্ধের লেখক কারা, সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই এবং এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কও নেই, তবে আমরা কখনোই দাবি করিনি যে, এটি একেবারে সত্য। অনেক গণমাধ্যমের অসংখ্য নিবন্ধের মতো, এটি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বৈধ উদ্বেগ উত্থাপন করে, যা আমরা মনে করি এমপিদের বিবেচনাযোগ্য।’
ইন্টারন্যাশনাল পলিসি ডাইজেস্টের এক মুখপাত্র বলেছেন, নিবন্ধগুলোর প্রকৃত লেখক ‘পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন’ এবং তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে বিষয়বস্তু ‘যথেষ্ট নির্ভুল’।
আরও খবর পড়ুন:

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩৩ মিনিট আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক নাটকীয় ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে ট্যাংকারটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নিরপেক্ষ জলসীমায় এটি প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক আঘাত। এর আগে ইউক্রেন শুধু কৃষ্ণসাগরে রুশ জাহাজের ওপর ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, আক্রান্ত জাহাজটির নাম ‘কেনডিল’। এটি রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অংশ বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এসব জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রুশ তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয় বলে অভিযোগ পশ্চিমা দেশগুলোর। হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এর ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে ট্যাংকারটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল। ফেরার পথেই ভূমধ্যসাগরে হামলার চালানো হয়।
এই হামলাকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি নতুন ও তাৎপর্যপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় এমন অভিযান ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক আইন, নৌ নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক জ্বালানি পরিবহন নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবু হামলার ভিডিও প্রকাশ যুদ্ধের পরিধি ও কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সম্প্রতি এক সমাবেশে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ‘সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত পূর্বাঞ্চলকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নাউয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত ওয়াইটিএফ কর্মী রাজপথে নেমে হাসনাত আবদুল্লাহর ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁরা সতর্ক করে বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর যেন বাংলাদেশ ‘কুদৃষ্টি’ না দেয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দেন, ১৯৭১ সালে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ভারতের অবদান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
যুব টিপরা ফেডারেশনের সভাপতি সুরজ দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে সংকটের সময়ে আমাদের দেশ তাদের পাশে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়েছিল। ভারতের অমূল্য অবদানেই আজকের বাংলাদেশের অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সুরজ দেববর্মা আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তাদের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার স্বপ্ন দেখে, তবে এই অঞ্চলের মানুষও সমুদ্রে যাওয়ার পথ চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মানুষ বসবাস করেন, যাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে মিলে যায়। বাংলাদেশ যদি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়, তবে আমরাও ভারতের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামকে যুক্ত করার দাবি তুলতে পারি।’
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে গত বছরের ডিসেম্বরে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজকে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছিলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তবে বাংলাদেশও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে (সেভেন সিস্টার্স) ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে।

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩৩ মিনিট আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কূটনীতিক মাহভাশ সিদ্দিকি এইচ-১বি ভিসা নিয়ে একটি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভারতীয়রা এইচ-১বি ভিসা পেতে জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেন করছেন। তাঁর মতে, অযোগ্য প্রার্থীরা এই ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মার্কিন কর্মীদের কর্মসংস্থান দখল করছেন। এই দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এইচ-১বি ভিসা কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্টি ইমিগ্রেশন থিংকট্যাংক সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজে (সিআইএস) লেখা এক নিবন্ধে মাহভাশ সিদ্দিকি ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের মার্কিন কনস্যুলেটে জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
এর আগে এক পডকাস্টে মাহভাশ সিদ্দিকি বলেন, চেন্নাইয়ে তিনি ১৫ জন জুনিয়র ভিসা কর্মকর্তার একজন ছিলেন। তিনি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত, এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
মাহভাশ সিদ্দিকি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ আবেদনকারীর কম্পিউটার সায়েন্সের ডিগ্রি থাকলেও তাঁদের মৌলিক কোডিং জ্ঞান নেই। হায়দরাবাদের আমিরপেট এলাকায় জাল ডিগ্রি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও জাল ম্যারেজ সার্টিফিকেট বিক্রির একটি ‘শিল্প’ গড়ে উঠেছে বলে তিনি দাবি করেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র উভয় স্থানেই দুর্নীতিবাজ এইচআর কর্মকর্তারা জাল চাকরির চিঠি তৈরি করতে সহায়তা করেন। তিনি একে একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজড সিস্টেম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি অনুযায়ী, এই ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার মার্কিন কর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেমন—ভারতীয়দের জালিয়াতির ফলে যোগ্য মার্কিন আইটি গ্র্যাজুয়েটদের সরিয়ে কম যোগ্য এইচ-১বি কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় লবিস্ট ও সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ নির্বাহীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মাহভাশ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, তাঁরা মার্কিন কর্মীদের অদক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেস বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক সময়ই অবগত নয় এবং ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছে।
যদিও এইচ-১বি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ দেওয়া, মাহভাশ সিদ্দিকির মতে, এটি কার্যত একটি দেশের আধিপত্যে পরিণত হয়ে অভিবাসনের শর্টকাটে রূপ নিয়েছে।
তবে কেবল আইটি সেক্টরেই নয়, বরং চিকিৎসাক্ষেত্রের ভিসা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মাহভাশ সিদ্দিকির দাবি, ভারতের অনেক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট কোটা বা ঘুষের মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে জে-১ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন এবং মার্কিন চিকিৎসকদের তুলনায় নিম্নমানের দক্ষতা নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি মার্কিন সরকারকে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। সুপারিশ হিসেবে তিনি এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় নতুন ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, ডিগ্রি ও দক্ষতা যাচাই, পর্যাপ্ত আমেরিকান কর্মী থাকলে সেই সেক্টরে বিদেশি নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা ও জালিয়াতি ধরা পড়লে জরিমানা এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩৩ মিনিট আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সুইডেনে একটি ফৌজদারি অভিযোগ করেছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। অ্যাসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কার দিয়ে নোবেল তহবিলের ‘চরম অপব্যবহার’ করা হয়েছে এবং সুইডিশ আইনের আওতায় এটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সহায়তার শামিল।
অভিযোগে অ্যাসাঞ্জ বলেন, শান্তির প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত নোবেল পুরস্কারকে এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘যুদ্ধের হাতিয়ারে’ পরিণত করা হয়েছে। তিনি মাচাদোর হাতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে বরাদ্দ ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) হস্তান্তর স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জনের বিরুদ্ধে তহবিল অপব্যবহার, যুদ্ধাপরাধ ও আগ্রাসী অপরাধে অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নোবেল কমিটি মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল—মাচাদো ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বৈরতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য কাজ করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দেয়। বিশেষ করে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর প্রকাশ্য সমর্থন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। মাচাদো ক্ষমতায় গেলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের অঙ্গীকারও করেছেন।
অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে সামরিক চাপ প্রয়োগের যে নীতিকে মাচাদো সমর্থন করেছেন, তা তাঁকে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা থেকে ‘সম্পূর্ণভাবে বাদ’ দেয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, এই সামরিক অভিযানে ইতিমধ্যে বহু প্রাণহানি ঘটেছে এবং ভেনেজুয়েলায় আগ্রাসনের আশঙ্কা বাড়ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলের কথা উল্লেখ করে অ্যাসাঞ্জ বলেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন—শান্তিতে নোবেল পুরস্কার সেই ব্যক্তিকে দিতে হবে, যিনি মানবজাতির কল্যাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন এবং জাতিগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। উইকিলিকসের পক্ষ থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পুরস্কারের অর্থ মানবিক উদ্দেশ্যের বদলে আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে।
নরওয়ের অসলোতে একটি কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিলেও অ্যাসাঞ্জ যুক্তি দিয়েছেন—সুইডেনের স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশনকেই এই পুরস্কারের আর্থিক দায়ভার নিতে হবে। সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা অ্যাসাঞ্জের অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে যুক্তরাজ্য সফররত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ‘অপদস্থ’ করতে পরিকল্পিতভাবে ‘ভুয়া তথ্য’ প্রচার করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন একদল ব্রিটিশ এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলাকে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে কিয়েভ।
৩৩ মিনিট আগে
আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে টিপরা মথা পার্টির যুব সংগঠন যুব টিপরা ফেডারেশন (ওয়াইটিএফ)। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর একটি বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াইটিএফ আজ শুক্রবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
১ ঘণ্টা আগে
মাহভাশ সিদ্দিকি চেন্নাই কনস্যুলেটকে এইচ-১বি ভিসা জালিয়াতির ‘বিশ্ব রাজধানী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে চেন্নাইয়ে বছরে ১ লাখ আবেদন পড়ত। এখন তা বছরে ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
২ ঘণ্টা আগে