অনলাইন ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি আদালত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী আরনিমা হায়াতকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী মিরাজ জাফরকে ২১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে ন্যূনতম ১৬ বছর কারাভোগের পর তিনি প্যারোলে মুক্তির আবেদন করতে পারবেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হওয়া আরনিমা (২০) তাঁর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই মিরাজের (২৩) সঙ্গে ইসলামিক রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আরনিমা হায়াত মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করছিলেন এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
বিয়ের পরে থেকেই আরনিমা তাঁর স্বামীর সহিংস আচরণের শিকার হন। আদালত জানিয়েছেন, হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে আরনিমা তাঁর বন্ধুকে মেসেজে লেখেন, ‘আমি ওকে ঘৃণা করি।’
আরনিমা তাঁর বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, তিনি স্বামীর নির্যাতনের কারণে ভয় পেতেন এবং তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে, মিরাজ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
হত্যার পর মিরাজ একটি হার্ডওয়্যার স্টোর থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড কিনে আরনিমার দেহ গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। পুলিশের কাছে মিরাজের মা ট্রিপল-জিরো (জরুরি) নম্বরে ফোন করলে আরনিমার দেহ উদ্ধার করা হয়।
নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ডেবোরা সুইনি রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, ‘মিরাজ জাফর আরনিমাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং তাঁর প্রতি সহিংস আচরণ করতেন।’ হত্যার আগে মিরাজের পাঠানো মেসেজে দেখা যায়, আরনিমা তাঁকে বাড়ি ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন।
আদালতে আরনিমার মা মাহফুজা আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম ও ভালো মানুষ নয়। আমরা ভেবেছিলাম, ও (আরনিমা) একদিন বুঝবে আর আমাদের কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু ও বুঝতে পেরেছিল, তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল।’
আরনিমার বাবা আবু হায়াত বলেন, ‘সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলে এমনভাবে পুড়িয়েছে যে, আমি আর তাঁর মুখে চুমু খেতে পারব না।’
আদালত মিরাজকে ২১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০৩৮ সালে তিনি প্যারোলের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এটি পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি আদালত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী আরনিমা হায়াতকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী মিরাজ জাফরকে ২১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে ন্যূনতম ১৬ বছর কারাভোগের পর তিনি প্যারোলে মুক্তির আবেদন করতে পারবেন।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হওয়া আরনিমা (২০) তাঁর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই মিরাজের (২৩) সঙ্গে ইসলামিক রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আরনিমা হায়াত মেডিকেল সায়েন্সে পড়াশোনা করছিলেন এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
বিয়ের পরে থেকেই আরনিমা তাঁর স্বামীর সহিংস আচরণের শিকার হন। আদালত জানিয়েছেন, হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে আরনিমা তাঁর বন্ধুকে মেসেজে লেখেন, ‘আমি ওকে ঘৃণা করি।’
আরনিমা তাঁর বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, তিনি স্বামীর নির্যাতনের কারণে ভয় পেতেন এবং তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তবে, মিরাজ এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
হত্যার পর মিরাজ একটি হার্ডওয়্যার স্টোর থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড কিনে আরনিমার দেহ গলিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। পুলিশের কাছে মিরাজের মা ট্রিপল-জিরো (জরুরি) নম্বরে ফোন করলে আরনিমার দেহ উদ্ধার করা হয়।
নিউ সাউথ ওয়েলস সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ডেবোরা সুইনি রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, ‘মিরাজ জাফর আরনিমাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং তাঁর প্রতি সহিংস আচরণ করতেন।’ হত্যার আগে মিরাজের পাঠানো মেসেজে দেখা যায়, আরনিমা তাঁকে বাড়ি ছাড়ার অনুরোধ করেছিলেন।
আদালতে আরনিমার মা মাহফুজা আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম ও ভালো মানুষ নয়। আমরা ভেবেছিলাম, ও (আরনিমা) একদিন বুঝবে আর আমাদের কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু ও বুঝতে পেরেছিল, তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছিল।’
আরনিমার বাবা আবু হায়াত বলেন, ‘সে আমার মেয়েকে মেরে ফেলে এমনভাবে পুড়িয়েছে যে, আমি আর তাঁর মুখে চুমু খেতে পারব না।’
আদালত মিরাজকে ২১ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০৩৮ সালে তিনি প্যারোলের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এটি পারিবারিক সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
প্রভাবশালী ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের ২০২৪ সালের ’বর্ষসেরা দেশ’ তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এ অর্জনকে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি স্বৈরাচারী শাসন উচ্ছেদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে বর্ণনা করেছে ম্যাগাজিনটি।
২৬ মিনিট আগেইসরায়েলের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে গাজায় পানি প্রবেশে বাধা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ এনেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে সরকারিভাবে মৌলবাদকে মাথাচাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলোতেও। এটি এখনই বন্ধ না করা গেলে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ নিয়েও টানাটানি শুরু হয়ে যেতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেহংকংয়ের ক্যাথে ড্রাগন এয়ারলাইনসে ১৪ বছর ধরে পাইলট হিসেবে কাজ করছিলেন লিসা রোজারিওর স্বামী জেরোন। ২০২০ সালের অক্টোবরে জেরোন চাকরি হারান। এই ঘটনাটি তাঁদের জীবনে একটি বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল।
১৪ ঘণ্টা আগে