প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি কোনো প্রার্থী, কোন পথে শ্রীলঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ৪৫
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৫৯

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। ফলে বিজয়ী নির্ধারণে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হচ্ছে। 

আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনায় দেখা যায়, নতুন চমক বামপন্থী অনুরা কুমারা দিসানায়েকে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে যে মাইলফলক স্পর্শ করতে হয়—তা থেকে অনেকটা দূরে রয়েছেন তিনি। দেশটির নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী, বিজয়ী হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে। 

দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দফার ভোট গণনায় এগিয়ে ছিলেন বামপন্থী রাজনীতিবিদ দিশানায়েকে। তিনি পেয়েছিলেন ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট। আর তাঁর প্রতিপক্ষ বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমদাসা ৩২ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। এখন এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। 

শ্রীলংকার নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যালটে ক্রমাণুসারে পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন ভোটারেরা। অর্থাৎ, ব্যালটে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যায়।

কোনো প্রার্থীই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পান তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর জন্য দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হয়। এই গণনায় বাদ পড়া প্রার্থীদের ব্যালটগুলো যাচাই করে দেখা হয়, এসব ব্যালটে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে কে কতো পেয়েছেন, সেটির ভিত্তিতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

জয় পেতে হলে কোনো প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার পাশাপাশি এককভাবে আরেকটি ভোট পেতে হবে।

শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে যিনি দেশকে ভঙ্গুর অর্থনীতির অবস্থার মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের পরে ব্যাপক বিক্ষোভের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো দেশটিতে।

অপর দিকে মাত্র ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে নির্বাচনী লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছেন। 

এর আগে, প্রাথমিক ফলাফলে দিসানায়েকেকে এগিয়ে ছিলেন। তখন তিনিই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ধরে নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিরোধী দলের সমর্থকেরা তাঁকে অভিনন্দন জানান। কিন্তু সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, প্রেমাদাসা ধীরে ধীরে তাঁর সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনছেন। তবে নির্বাচনের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে আর ক্ষমতায় থাকছেন না, তা এখন নিশ্চিত হয়ে গেছে। 

২০২২ সালে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের পরে ব্যাপক বিক্ষোভের মাধ্যমে তখনকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটিতে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার।

১৯৮২ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কার আটটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রত্যেকটিতেই প্রথম দফাতেই বিজয়ী নির্ধারিত হয়েছে। এবারই প্রথমবার দ্বিতীয় দফায় গড়াল জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিল। তারপরও শনিবার রাতে ‘জননিরাপত্তার’ স্বার্থে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত