আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় রুশ দূতাবাসের দুই কর্মকর্তাসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। তালেবান ও রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রুশ দূতাবাসের প্রবেশপথে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নিরাপত্তারক্ষীরা গুলি করে হামলাকারীকে হত্যা করেছে।

এ হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। একজন তালেবান কর্মকর্তা বলেছেন, কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, এ হামলায় একজন কূটনীতিক এবং দূতাবাসের একজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। 

তবে অন্যান্য গণমাধ্যম আহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে। আফগান পুলিশ জানিয়েছে, দূতাবাসের কর্মীদের পাশাপাশি দূতাবাসে সেবা নিতে আসা চার আফগানও নিহত হয়েছেন। 

ইতিমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ। 

গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে তালেবান। এরপর এই প্রথম কোনো বিদেশি দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটল।

তালেবান পুলিশের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে দূতাবাসের পাহারায় থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা ভবনের সামনে জড়ো হয়ে থাকা লোকজনের (তাঁরা দূতাবাসে বিভিন্ন সেবা নিতে এসেছিলেন) কাছে যেতে দেখেছেন। পরে তিনি বিস্ফোরণ ঘটান।

এদিকে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘একজন অজ্ঞাত জঙ্গি দূতাবাসের প্রবেশপথের কাছে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে এটি একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে নিরাপত্তাব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। মসজিদ, ধর্মীয় উপাসনালয় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক বিশ্লেষকের দাবি, ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এসব হামলার জন্য দায়ী।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের অন্যতম বড় একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তালেবান সমর্থনকারী একজন প্রভাবশালী ইমামও রয়েছেন।