অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের কারণে যদি ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তবে দেশটি পারমাণবিক বোমা তৈরির বিষয়ে যে অবস্থান, তা পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করবে। এমন হুমকিই উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি। ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের এই কর্মকর্তা এমন এক সময়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই বার্তা উচ্চারণ করলেন, যখন দুই দেশের মধ্যেই নিকট অতীতে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে গেছে। তাও আবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেই ঘটনা ঘটেছে। খারাজি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত নেই, তবে ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে আমাদের সামরিক মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এপ্রিলের মাঝামাঝি ইসরায়েলি ভূখণ্ডকে সরাসরি তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এর পর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এর আগে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ফতোয়া দিয়েছিলেন—ইরান পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেবে না। তার পরও ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দামন্ত্রী ২০২১ সালে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বহিরাগত চাপ, বিশেষ করে পশ্চিমা চাপের মুখে ইরান তার পারমাণবিক ডকট্রিন পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে।
খামেনির উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী (ইসরায়েল) যদি আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে, তবে আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বা ডিটারেন্সের বিষয়টিও পরিবর্তন হবে।’
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তিতে বলা ছিল, ইরান মাত্র ২০২ দশমিক ৮ কিলোগ্রাম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ইরানের কাছে সাড়ে পাঁচ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত ছিল।
আইএইএর প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশটির কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিপুল মজুত আছে। এমনকি যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে, তা যদি আরও সমৃদ্ধ করতে পারে, তবে অন্তত দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে দেশটি।
এর সহজ অর্থ হলো, ইরানের জন্য তথাকথিত ‘ব্রেকআউট টাইম’, অর্থাৎ পারমাণবিক বোমার জন্য পর্যাপ্ত ওয়েপন গ্রেড ইউরেনিয়াম তৈরি করতে যে সময় লাগবে, তা বলতে গেলে শূন্যের কাছাকাছি। সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক দিন লাগবে।
আশঙ্কার বিষয় হলো, ইরান এই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য না হওয়ায় আইএইএ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পুরো অবকাঠামো পরিদর্শনের অধিকার রাখে না। ফলে ইরান আরও একটি গোপন সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।
পারমাণবিক বোমা বানানোর পাশাপাশি এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে। প্রথম বোমা বানানোর পর বাকি অস্ত্রগুলো বানাতে কী পরিমাণ সময় দেশটি নেবে এবং সেই বোমাগুলো বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির আছে কি না—এ বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে ইরানের এ বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান কতটা সে বিষয়ে কখনোই বিস্তারিত জানা যায়নি।
আইএইএ প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র তৈরি ও তা বহন করার যোগ্য বাহন তৈরির লক্ষ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছিল ইরানের। তবে তা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অনেক অংশ নিয়েই কাজ করেছে ইরান।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইরানের আর কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের অনুমান, কয়েক মাস থেকে বছরখানেক সময় লাগতে পারে দেশটির। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি দেশটির কংগ্রেসে বলেছিলেন, ইরানের অস্ত্র তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে তিনি এই মূল্যায়ন কিসের ভিত্তিতে দিয়েছিলেন তার সূত্র উল্লেখ করেননি।
ইসরায়েলের কারণে যদি ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে, তবে দেশটি পারমাণবিক বোমা তৈরির বিষয়ে যে অবস্থান, তা পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করবে। এমন হুমকিই উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা কামাল খারাজি। ইরানি সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের এই কর্মকর্তা এমন এক সময়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই বার্তা উচ্চারণ করলেন, যখন দুই দেশের মধ্যেই নিকট অতীতে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে গেছে। তাও আবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেই ঘটনা ঘটেছে। খারাজি বলেন, ‘আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত নেই, তবে ইরানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে আমাদের সামরিক মতবাদ পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এপ্রিলের মাঝামাঝি ইসরায়েলি ভূখণ্ডকে সরাসরি তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান। এর পর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এর আগে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ফতোয়া দিয়েছিলেন—ইরান পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেবে না। তার পরও ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দামন্ত্রী ২০২১ সালে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বহিরাগত চাপ, বিশেষ করে পশ্চিমা চাপের মুখে ইরান তার পারমাণবিক ডকট্রিন পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে।
খামেনির উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী (ইসরায়েল) যদি আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে, তবে আমাদের প্রতিরোধক্ষমতা বা ডিটারেন্সের বিষয়টিও পরিবর্তন হবে।’
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি বা আইএইএয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তিতে বলা ছিল, ইরান মাত্র ২০২ দশমিক ৮ কিলোগ্রাম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ ইরানের কাছে সাড়ে পাঁচ টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত ছিল।
আইএইএর প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং দেশটির কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিপুল মজুত আছে। এমনকি যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত আছে, তা যদি আরও সমৃদ্ধ করতে পারে, তবে অন্তত দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে দেশটি।
এর সহজ অর্থ হলো, ইরানের জন্য তথাকথিত ‘ব্রেকআউট টাইম’, অর্থাৎ পারমাণবিক বোমার জন্য পর্যাপ্ত ওয়েপন গ্রেড ইউরেনিয়াম তৈরি করতে যে সময় লাগবে, তা বলতে গেলে শূন্যের কাছাকাছি। সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক দিন লাগবে।
আশঙ্কার বিষয় হলো, ইরান এই চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য না হওয়ায় আইএইএ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির পুরো অবকাঠামো পরিদর্শনের অধিকার রাখে না। ফলে ইরান আরও একটি গোপন সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।
পারমাণবিক বোমা বানানোর পাশাপাশি এখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আছে। প্রথম বোমা বানানোর পর বাকি অস্ত্রগুলো বানাতে কী পরিমাণ সময় দেশটি নেবে এবং সেই বোমাগুলো বহন করে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির আছে কি না—এ বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট যে ইরানের এ বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান কতটা সে বিষয়ে কখনোই বিস্তারিত জানা যায়নি।
আইএইএ প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র তৈরি ও তা বহন করার যোগ্য বাহন তৈরির লক্ষ্যে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা ছিল ইরানের। তবে তা ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অনেক অংশ নিয়েই কাজ করেছে ইরান।
পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইরানের আর কত সময় লাগবে, সে বিষয়ে বিশ্লেষকদের অনুমান, কয়েক মাস থেকে বছরখানেক সময় লাগতে পারে দেশটির। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলি দেশটির কংগ্রেসে বলেছিলেন, ইরানের অস্ত্র তৈরি করতে বেশ কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে তিনি এই মূল্যায়ন কিসের ভিত্তিতে দিয়েছিলেন তার সূত্র উল্লেখ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
২ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৪ ঘণ্টা আগে