ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর আয়োজনে পুলিশের গাড়ির কাছে বিস্ফোরণ ঘটায় ‘আত্মঘাতী’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৩৪
Thumbnail image

পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর শোভাযাত্রার আগে আত্মঘাতী হামলকারী পুলিশের গাড়ির কাছে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বেলুচিস্তানের মাস্তাংয়ে এ হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মাস্তাংয়ের সহকারী কমিশনার (এসি) আত্তা-উল-মুনিম পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে বলেন, আজ শুক্রবার শহরের আল-ফালাহ রোডের মসজিদের কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শোভাযাত্রার উপলক্ষে সমবেত হতে থাকলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দিনটি পাকিস্তানের সরকারি ছুটির দিন।

আর পুলিশ উপমহাপরিদর্শক মুনির আহমেদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘হামলাকারী পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টের গাড়ির কাছেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।’

তিনি আরও বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মানুষ মসজিদের কাছে জড়ো হতে থাকলে সেখানে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।      

মাস্তাংয়ের সহকারী কমিশনার শহীদ সে পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট নওয়াজ গিশকরি হিসেবে চিহ্নিত করেন। মাস্তাং শহরের স্টেশন হাউস কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাভেদ লেহরিও বোমা হামলাটিকে আত্মঘাতী বোমা হামলা বলে নিশ্চিত করেছেন। 

মাস্তাংয়ের উপকমিশনার আবদুল রাজ্জাক সাসোলি বলেন, ‘মদিনা মসজিদ থেকে শত শত মানুষের একটি মিছিল বের হওয়ার পর তা আল-ফালাহ রোডে পৌঁছালে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তাদের টার্গেট করে।’

পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে।  

বেলুচিস্তানের মহাপরিদর্শক আবদুল খালিক শেখ বলেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন ডিএসপি গিশকরি।  

তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের লক্ষ্যই হলো বেলুচিস্তানে অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। বোমা হামলায় জড়িত এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

মহাপরিদর্শক আবদুল খালিক শেখ বলেন, বিস্ফোরণের কারণে হতাহতদের প্রসঙ্গে শিগগিরই সরকারি বিবৃতি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। 

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে অন্য জরুরি বিভাগের পুলিশ টিম উপস্থিত রয়েছে। এ হামলায় ডিএসপিসহ আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।’  

বেলুচিস্তানের অন্তরীণ তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেন, ‘উদ্ধারকর্মীরা মাস্তাংয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। গুরুতর আহতদের কোয়েটার হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে এবং সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।’ 

আচাকজাই বলেন, ‘শত্রুরা বিদেশিদের মদদে আমাদের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শান্তি ধ্বংস করতে চায়। এই বিস্ফোরণ যেকোনো দিক থেকেই অসহনীয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত