চীনের সহায়তায় জাপান-তাইওয়ানের কাছ থেকে ট্যাংকের যন্ত্রাংশ কিনেছে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

চীনের সহায়তায় জাপান ও তাইওয়ান থেকে উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ট্যাংক যন্ত্রাংশ কিনেছে রাশিয়া। সম্প্রতি জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকেই দেশ দুটির কাছ থেকে এ ধরনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কিনেছে মস্কো। 

রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিক্কেই জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর রাশিয়া চীনে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চালু করে। এরপর থেকেই সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চীন থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনতে থাকে। নিক্কেইয়ের এই প্রতিবেদন থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়। 

বেলারুশের নাগরিকদের নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বেলপোল, যা বেলারুশের বাইরে থেকে দেশটির সমরাস্ত্র শিল্পের বিষয়ে গবেষণা করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটিই রাশিয়ার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। বেলপোল বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। 

ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ২০২২ সালে লুকাশেঙ্কো সরকার চীনের গুয়াংডং প্রদেশে শেনজেন ফাইভজি হাইটেক ইনোভেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। এর পরপরই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মোটর, সেনসর ও অন্যান্য উপকরণের জন্য উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের যন্ত্রাংশ কিনতে শুরু করে। এগুলো মূলত ট্যাংক ও অন্যান্য অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। 

শেনজেন ফাইভজি যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনেছে তার মধ্যে—জাপানের টোকিওভিত্তিক মেট্রল অন্যতম। প্রতিষ্ঠানটি পজিশনিং সেনসর তৈরি করে। এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানটি টোকিওর ওরিয়েন্টাল মোটর কিনেছে। যন্ত্রাংশ কিনেছে আইচি প্রিফেকচারের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও। 

এই যন্ত্রাংশগুলো শেনজেন ফাইভজি পাঠিয়েছে বেলারুশের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এসএএলইও এবং এলএলসি ল্যাবরেটরি অব অ্যাডিটিভ টেকনোলজিসের কাছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানই লুকাশেঙ্কো সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। 

তবে মেট্রল, ওরিয়েন্টাল মোটর সরাসরি শেনজেন ফাইভজির সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসার কথা অস্বীকার করেছে। এই বিষয়ে এসএএলইও এবং এলএলসি ল্যাবরেটরি অব অ্যাডিটিভ টেকনোলজিসও এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে (গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত)। 

বেলপোলের নথি থেকে দেখা গেছে, কেবল জাপানি প্রতিষ্ঠান নয়, তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও যন্ত্রাংশ কিনেছে বেলারুশের প্রতিষ্ঠানটি। তাইওয়ানের নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাটপটিকের কাছ থেকেও যন্ত্রাংশ কিনেছে শেনজেন ফাইভজি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত