চীনকে ঠেকাতে ‘সামুদ্রিক নজরদারি’র পরিকল্পনা কোয়াডের 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৮ মে ২০২২, ১৮: ৩৬
Thumbnail image

এবার ‘সামুদ্রিক নজরদারি’র পরিকল্পনা করেছে ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় চার দেশের জোট কোয়াড। সদস্যদেশগুলোর বাস্তবিক সুবিধা নিশ্চিতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে, বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি মূলত এই অঞ্চলে চীনকে চ্যালেঞ্জ জানানো। শনিবার কাতারভিত্তিক আল জাজিরার এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। 

কোয়াড এখনো এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, কোয়াড এই অঞ্চলে নজরদারির স্বার্থে একটি বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট চালু করতে পারে। যাতে সদস্যদেশগুলো বিনা মূল্যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মেরিটাইম ইন্টেলিজেন্স নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে পারে। 

এ ছাড়া, জোটভুক্ত দেশগুলো এই অঞ্চলের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ও রাডার সিগন্যাল মনিটর করে এই এলাকায় থাকা নৌযানগুলোর গতিপথ ট্র্যাক করতে পারে। কোনো নৌযান যদি এই অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত নির্দেশনার বাইরে চলার চেষ্টা করে তবে সেই তথ্যগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কোয়াডের আঞ্চলিক নজরদারি কেন্দ্র—ভারত, সিঙ্গাপুর, ভানুয়াতু এবং সলোমন আইল্যান্ডে পাঠিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে। 

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ—ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সমন্বয়ে গঠিত জোট কোয়াড এ লক্ষ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ফর মেরিটাইম অ্যাওয়ারনেস (আইপিএমডিএ) শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। কোয়াড জানিয়েছে, আইপিএমডিএ এই অঞ্চলে বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে অবৈধ মৎস্য শিকারসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড দমনে বিশেষ সহায়ক হবে। 

বিশ্লেষকদের ধারণা, যদিও কোয়াড চীনের নাম উল্লেখ করেনি তবে এই উদ্যোগ চীনের আশপাশের সমুদ্রে চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোর অভিযোগ করা চীনা জেলেদের অবৈধ মাছ শিকার, দক্ষিণ চীন সমুদ্রের বিবদমান অংশে এমনকি অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় চীনা যুদ্ধজাহাজের প্রবেশের প্রতি একটি স্পষ্ট হুমকি। 

উল্লেখ্য, ছোট-বড় প্রায় ৩০০০ যুদ্ধজাহাজ নিয়ে চীনা নৌবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত