রাখাইনে চীনা বন্দরের কাছের শহর দখলের দাবি বিদ্রোহীদের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১১: ১৫
Thumbnail image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দ্বীপ শহর রামরির দখল নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এই শহরের নিকটবর্তী শহর কায়াকপায়ুতে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) অবস্থিত। এএ দাবি করেছে, দীর্ঘ তিন মাসের লড়াই শেষে শহরটির দখল নিয়েছে তারা। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

রামরি দ্বীপের দুটি শহরের একটি রামরি ও অপরটি কায়াকপায়ু। এই কায়াকপায়ুতে চীন ও মিয়ানমারের যৌথ উদ্যোগে অর্থায়নে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর ও একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে। এ দুটি প্রকল্পেই বেশির ভাগ বিনিয়োগ চীনের। 

কায়াকপায়ু গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে মিয়ানমার হয়ে চীনের ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অর্থনৈতিক করিডরও চালু করেছে বেইজিং, যার মাধ্যমে চীন সরাসরি ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। 

আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তাবাহিনী বিগত কয়েক মাস ধরে রামরি শহরে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি। গোষ্ঠীটি গত সোমবার জানিয়েছে, রামরিতে ব্যাপক অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ও বিমান হামলা চালানো হলেও জান্তাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। 

রামরির পতনের বিষয়ে জান্তাবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি যতবার বিভিন্ন শহর, গ্রাম বা অঞ্চল দখলের দাবি করেছে, তার সবগুলোই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। 

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রামরিতে জান্তাবাহিনীর সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে আরাকান আর্মি। জান্তার আক্রমণে শহরটির সরকারি হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বাজার, মার্কেট, ধর্মীয় স্থাপনার বড় একটি অংশই বিধ্বস্ত হয়েছে। গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, তারা বর্তমানে শহরটি থেকে পলায়নপর জান্তা সেনাদের আটক করার চেষ্টা করছে। 

এদিকে, পূর্বসতর্কতার অংশ হিসেবে শহরটির বাসিন্দাদের এখনই নিজ নিজ বাড়িতে না ফিরে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলেছে, বিগত তিন মাস ধরে শহরের প্রতিটি অংশে জান্তাবাহিনী বিপুল পরিমাণ মাইন পুঁতে রেখে গেছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এসব মাইন অপসারণ করা সম্ভব না হয়, তত দিন বেসামরিক নাগরিকদের শহরে ফেরা উচিত হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত