অনলাইন ডেস্ক
জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় জরুরি অবস্থার মুখোমুখি এখন চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। দ্রুত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং জন্মহার কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকটের শঙ্কা আরও প্রকট হয়েছে। এর জন্য বেশি বেশি সন্তান জন্মদানে নারীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ঘোষিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রণোদনা। তবুও চীনের জনসংখ্যায় কমছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
গতকাল বুধবার চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (এনবিএস) জনসংখ্যার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির মতে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৪০ কোটি ৯০ লাখে নেমে এসেছে—যা আগের বছরের তুলনায় ২০ লাখ ৮০ হাজার কম।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি চায়, তাদের দেশের নারীরা বেশি বেশি সন্তানের মা হোক। তাই তাঁদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে সস্তায় আবাসন, কর সুবিধা ও নগদ প্রণোদনা। সে সঙ্গে, দেশপ্রেমকেও কাজে লাগিয়ে তারা নারীদের ‘ভালো স্ত্রী ও মা’ হতে বলছে।
তবে এসবে কাজ হচ্ছে না। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও চীনের জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। নারীরা বিয়ে ও বাচ্চা জন্মদানে কম আগ্রহী হওয়ায় চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরও কমেছে। ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার। ১৯৬১ সালের মাও সে-তুংয়ের শাসনামলে চীনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর ২০২২ সালেই প্রথম জনসংখ্যা সংকুচিত হতে দেখেছিল চীন। আর জনসংখ্যা হ্রাসে ২০২৩ ছাপিয়ে গেছে ২০২২-কেও।
এনবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশটিতে প্রতি ১ হাজার জনের বিপরীতে শিশুর জন্মহার ৬ দশমিক ৩৯। ২০২২ সালেও এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭। ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে কম জন্মহারের রেকর্ড। ২০২৩ সালে চীনে ৯০ লাখ ২০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। এর আগের বছর দেশটিতে জন্ম নেয় ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশু।
এনবিএস আরও বলেছে, গত বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। দেশটির সরকার ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর চীনের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। যদিও গত তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এখন চীনের অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় শ্রমশক্তি কমতে থাকা। ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী শ্রমশক্তি ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর দেশটিতে ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার কমেছে। অন্যদিকে, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার।
দশকের পর দশক ধরে ‘এক সন্তান নীতি’ মেনে চলে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিল চীন। কিন্তু জনসংখ্যা কমতে শুরু করায় বিবাহিত দম্পতিদের বেশি বেশি সন্তান নিতে সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হলেও বাড়ছে না জন্মহার। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়া এবং শিশুর জন্ম কম হওয়ায় ২০১৫ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ থেকে সরে আসে চীন।
জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় জরুরি অবস্থার মুখোমুখি এখন চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। দ্রুত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং জন্মহার কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংকটের শঙ্কা আরও প্রকট হয়েছে। এর জন্য বেশি বেশি সন্তান জন্মদানে নারীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ঘোষিত হচ্ছে নতুন নতুন প্রণোদনা। তবুও চীনের জনসংখ্যায় কমছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
গতকাল বুধবার চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (এনবিএস) জনসংখ্যার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির মতে, ২০২৩ সালে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৪০ কোটি ৯০ লাখে নেমে এসেছে—যা আগের বছরের তুলনায় ২০ লাখ ৮০ হাজার কম।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি চায়, তাদের দেশের নারীরা বেশি বেশি সন্তানের মা হোক। তাই তাঁদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে সস্তায় আবাসন, কর সুবিধা ও নগদ প্রণোদনা। সে সঙ্গে, দেশপ্রেমকেও কাজে লাগিয়ে তারা নারীদের ‘ভালো স্ত্রী ও মা’ হতে বলছে।
তবে এসবে কাজ হচ্ছে না। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও চীনের জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। নারীরা বিয়ে ও বাচ্চা জন্মদানে কম আগ্রহী হওয়ায় চীনের জনসংখ্যা টানা দ্বিতীয় বছরও কমেছে। ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার। ১৯৬১ সালের মাও সে-তুংয়ের শাসনামলে চীনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের পর ২০২২ সালেই প্রথম জনসংখ্যা সংকুচিত হতে দেখেছিল চীন। আর জনসংখ্যা হ্রাসে ২০২৩ ছাপিয়ে গেছে ২০২২-কেও।
এনবিএসের তথ্যানুযায়ী, গত বছর দেশটিতে প্রতি ১ হাজার জনের বিপরীতে শিশুর জন্মহার ৬ দশমিক ৩৯। ২০২২ সালেও এই হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭। ১৯৪৯ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে কম জন্মহারের রেকর্ড। ২০২৩ সালে চীনে ৯০ লাখ ২০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। এর আগের বছর দেশটিতে জন্ম নেয় ৯৫ লাখ ৬০ হাজার শিশু।
এনবিএস আরও বলেছে, গত বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। দেশটির সরকার ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর চীনের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। যদিও গত তিন দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এখন চীনের অর্থনীতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয় শ্রমশক্তি কমতে থাকা। ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী শ্রমশক্তি ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর দেশটিতে ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার কমেছে। অন্যদিকে, ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার।
দশকের পর দশক ধরে ‘এক সন্তান নীতি’ মেনে চলে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিল চীন। কিন্তু জনসংখ্যা কমতে শুরু করায় বিবাহিত দম্পতিদের বেশি বেশি সন্তান নিতে সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হলেও বাড়ছে না জন্মহার। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়া এবং শিশুর জন্ম কম হওয়ায় ২০১৫ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ থেকে সরে আসে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
৪ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
৬ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৬ ঘণ্টা আগে