Ajker Patrika

পুতিনের সাবেক গৃহপরিচারিকার ১০ কোটি ডলারের সম্পদ

অনলাইন ডেস্ক
পুতিনের সাবেক গৃহপরিচারিকার ১০ কোটি ডলারের সম্পদ

আলোচিত প্যানডোরা পেপারসে বেরিয়ে আসছে একের পর এক বাঘা রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সেলিব্রেটির সম্পদের তথ্য গোপনের খবর। গতকাল রোববার প্রকাশ হওয়া এসব গোপন নথিতে বিশ্ব নেতা, রাজনীতিবিদ এবং বিলিয়নিয়ারদের গোপন সম্পদ এবং লেনদেনের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ নথি এখন বিবিসি প্যানারোমা, গার্ডিয়ানসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের হাতে। এই প্যানডোরা পেপারসে উঠে এসেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নামও। 

প্যানডোরা পেপারসের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গোপন প্রেমিকার নাম সভেৎলানা ক্রিভোনোগিখ (৪৬)। তিনি ছিলেন তাঁর গৃহপরিচারিকা। তাঁর নামে অঢেল সম্পদ রয়েছে। সম্পদের আনুমানিক নিট মূল্য ১০ কোটি ডলার। পুতিন যখন সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র ছিলেন তখন থেকেই পুতিনের সঙ্গে ক্রিভোনোগিখের সখ্য গড়ে ওঠে। জানা গেছে, তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। 

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে অঢেল সম্পদের মালিক ক্রিভোনোগিখের অবস্থা আগে এমন ছিল না। তাঁর বেড়ে ওঠা ঘনবসতিপূর্ণ অ্যাপার্টমেন্টে। শুধু ক্রিভোনোগিখই নন, পুতিনের আরও অনেক প্রেমিকাও অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। 

প্যানডোরা পেপারস অনুযায়ী, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে মোনাকোর মন্টে কার্লোতে অফশোর কোম্পানি ব্রুকভিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড দুটি পানামার কোম্পানির মাধ্যমে ক্রিভোনোগিখের জন্য বিলাসবহুল চারতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনে। কাগজে-কলমে ব্রুকভিল ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড মালিক হলেও নথি বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে মূল মালিক পুতিনের প্রেমিকা। পুতিনের প্রেমিকা ক্রিভোনোগিখের নামে সেন্ট পিটার্সবার্গেও ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া আরও অনেক মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। 

ক্রিভোনোগিখ একা নয়, পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কল্যাণে আরও অনেকেই লাভবান হয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে পুতিন ঘনিষ্ঠরা মোনাকোকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এই নগর রাষ্ট্রে কর আইন ও অন্যান্য বিধিবিধান অত্যন্ত শিথিল। এ কারণে সারা বিশ্বের ধনীদের অন্যতম গন্তব্য থাকে এই দেশ। 

রুশ-মোনাকো কেন্দ্রীক সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির গেনাদি তিমশেঙ্কো। তিনি সাবেক সোভিয়েত আমলা। ১৯৯০-এর দশক থেকে তিনি পুতিনের বন্ধু। 

স্থানীয় আইনজীবী ডমিনিক অ্যানাসতাসিস গার্ডিয়ানকে বলেন, মোনাকো হলে সাগরের ওপর মস্কো। এমন এক নরগ রাষ্ট্র যেখানে টাকা কোথা থেকে এলো তা নিয়ে কেউ জানতে চায় না। এখানে টাকার উৎস খতিয়ে দেখার কোনো সংস্কৃতিই নেই। এখানে কর বিবরণ প্রকাশের প্রয়োজন হয় না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত