অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো পত্রিকার ছাপা সংস্করণ বন্ধ হয়ে গেল। প্রায় ৩২০ বছর পর অস্ট্রিয়ার উইনার জাইটং পত্রিকাটি এরই মধ্যে তাদের শেষ দৈনিক সংস্করণটি ছাপিয়ে ফেলেছে।
তবে তারা অনলাইন প্রকাশনা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি একটি মাসিক মুদ্রিত সংস্করণ চালু রাখার পরিকল্পনা করেছে। অবশ্য সেই পরিকল্পনা এখনো বিবেচনার পর্যায়ে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েনাভিত্তিক দৈনিক সংবাদপত্র উইনার জাইটং। সম্প্রতি আইনের একটি পরিবর্তনের কারণে মুদ্রণ পত্রিকা আর লাভজনক করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণেই তারা ছাপা পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এপ্রিল মাসে অস্ট্রিয়ার জোট সরকার এই আইন পাস করেছে। এ আইনে কোম্পানিগুলোকে তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বিজ্ঞাপন আকারে সংবাদপত্রের মুদ্রিত সংস্করণে প্রকাশ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রহিত করা হয়েছে। এটিই ছিল পত্রিকাগুলোর আয়ের একটি বড় অংশ। ফলে সরকারি গেজেট হিসেবে উইনার জাইটুংয়ের ভূমিকা আর থাকছে না।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম দের স্পিগেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আইন পরিবর্তনের ফলে পত্রিকাটির প্রকাশকের আনুমানিক ১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো (১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি) আয় কমে গেছে। পত্রিকাটি বাধ্য হয়ে সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে ২০–এ নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। ৬৩ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে তারা।
উইনার জাইটং পত্রিকাটি অস্ট্রিয়ান সরকারের মালিকানাধীন। কিন্তু ঐতিহ্যগতভাবেই সম্পাদকীয় নীতিতে স্বাধীন। ১৭০৩ সালের আগস্টে এই পত্রিকার প্রকাশ শুরু হয়। ১২ জন প্রেসিডেন্ট, ১০ কাইজার এবং দুটি রিপাবলিক দেখেছে এই পত্রিকা।
প্রথম সংস্করণে পত্রিকাটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, ‘কোনো কথার ফুলঝুরি বা কাব্যিকতা নয়, আমরা সংবাদের সরল বিবরণ দিতে চাই।’
১৭৬৮ সালে এই পত্রিকায় ‘বিশেষভাবে প্রতিভাবান’ ১২ বছর বয়সী এক বালকের কনসার্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বালক আর কেউ নয়—পশ্চিমা ধ্রুপদি সংগীতের কিংবদন্তি উলফগ্যাং অ্যামাডিউস মোজার্ট!
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়া পরাজিত হলে পত্রিকাটি শেষ হ্যাবসবার্গ সম্রাট কাইজার কার্লের পদত্যাগ নিয়ে একটি বিশেষ সংস্করণ ছেপেছিল।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুন) পত্রিকাটি তাদের দৈনিক মুদ্রিত সংস্করণের শেষ সংখ্যা ছাপে। সম্পাদকীয়তে ছাপা পত্রিকা চালানোর ইতি টানার কারণ হিসেবে সরকারের নতুন আইনকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ‘এটা হলো মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার জন্য ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়… এখন অনেক অনেক প্ল্যাটফর্ম, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য চারদিকে ভুয়া খবর, বিড়ালের ভিডিও আর ষড়যন্ত্র তত্ত্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে।’
গত এপ্রিলে এই পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ছিল সাধারণ দিনে মাত্র ২০ হাজার, যদিও সাপ্তাহিক ছুটিকে এর চাহিদা ছিল দ্বিগুণ।
এই পত্রিকায় সর্বশেষ হাইপ্রোফাইল যাঁদের সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা ও রাজনীতিক আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। এ ছাড়া রয়েছেন অস্ট্রিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর ফ্রাঞ্জ ভ্রানিটজকি এবং উলফগ্যাং শুসেল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জোরোভা অস্ট্রিয়ান বার্তা সংস্থা এপিএকে বলেন, বর্তমান সংবাদপত্রের ‘অবস্থা নিয়ে খুশি নন’। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, উইনার জাইটুং বছরের পর বছর ধরে মানুষকে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি ভালো ভূমিকা রেখে এসেছে।’
তিন শতকের দীর্ঘ সময়ে সংবাদপত্রটি শুধু একটিবার ছাপা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। অস্ট্রিয়া হিটলারের জার্মানিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ১৯৩৯ সালে নাৎসিরা কাগজটি বন্ধ করে দেয়। ১৯৪৫ সালে অস্ট্রিয়া যখন মিত্রদের দখলে তখন এটি আবার মুদ্রণ শুরু করে।
উইনার জাইটংয়ের মুদ্রণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এখন ছাপা সংস্করণে টিকে থাকা বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদপত্রটি হলো জার্মান প্রকাশনা হিলডেসহাইমার অ্যালগেমেইনে জাইটুং। ১৭০৫ সালে এই পত্রিকার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো পত্রিকার ছাপা সংস্করণ বন্ধ হয়ে গেল। প্রায় ৩২০ বছর পর অস্ট্রিয়ার উইনার জাইটং পত্রিকাটি এরই মধ্যে তাদের শেষ দৈনিক সংস্করণটি ছাপিয়ে ফেলেছে।
তবে তারা অনলাইন প্রকাশনা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি একটি মাসিক মুদ্রিত সংস্করণ চালু রাখার পরিকল্পনা করেছে। অবশ্য সেই পরিকল্পনা এখনো বিবেচনার পর্যায়ে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েনাভিত্তিক দৈনিক সংবাদপত্র উইনার জাইটং। সম্প্রতি আইনের একটি পরিবর্তনের কারণে মুদ্রণ পত্রিকা আর লাভজনক করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণেই তারা ছাপা পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এপ্রিল মাসে অস্ট্রিয়ার জোট সরকার এই আইন পাস করেছে। এ আইনে কোম্পানিগুলোকে তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা বিজ্ঞাপন আকারে সংবাদপত্রের মুদ্রিত সংস্করণে প্রকাশ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রহিত করা হয়েছে। এটিই ছিল পত্রিকাগুলোর আয়ের একটি বড় অংশ। ফলে সরকারি গেজেট হিসেবে উইনার জাইটুংয়ের ভূমিকা আর থাকছে না।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম দের স্পিগেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আইন পরিবর্তনের ফলে পত্রিকাটির প্রকাশকের আনুমানিক ১ কোটি ৮০ লাখ ইউরো (১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি) আয় কমে গেছে। পত্রিকাটি বাধ্য হয়ে সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে ২০–এ নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। ৬৩ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে তারা।
উইনার জাইটং পত্রিকাটি অস্ট্রিয়ান সরকারের মালিকানাধীন। কিন্তু ঐতিহ্যগতভাবেই সম্পাদকীয় নীতিতে স্বাধীন। ১৭০৩ সালের আগস্টে এই পত্রিকার প্রকাশ শুরু হয়। ১২ জন প্রেসিডেন্ট, ১০ কাইজার এবং দুটি রিপাবলিক দেখেছে এই পত্রিকা।
প্রথম সংস্করণে পত্রিকাটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, ‘কোনো কথার ফুলঝুরি বা কাব্যিকতা নয়, আমরা সংবাদের সরল বিবরণ দিতে চাই।’
১৭৬৮ সালে এই পত্রিকায় ‘বিশেষভাবে প্রতিভাবান’ ১২ বছর বয়সী এক বালকের কনসার্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বালক আর কেউ নয়—পশ্চিমা ধ্রুপদি সংগীতের কিংবদন্তি উলফগ্যাং অ্যামাডিউস মোজার্ট!
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অস্ট্রিয়া পরাজিত হলে পত্রিকাটি শেষ হ্যাবসবার্গ সম্রাট কাইজার কার্লের পদত্যাগ নিয়ে একটি বিশেষ সংস্করণ ছেপেছিল।
গতকাল শুক্রবার (৩০ জুন) পত্রিকাটি তাদের দৈনিক মুদ্রিত সংস্করণের শেষ সংখ্যা ছাপে। সম্পাদকীয়তে ছাপা পত্রিকা চালানোর ইতি টানার কারণ হিসেবে সরকারের নতুন আইনকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ‘এটা হলো মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার জন্য ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়… এখন অনেক অনেক প্ল্যাটফর্ম, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোকে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য চারদিকে ভুয়া খবর, বিড়ালের ভিডিও আর ষড়যন্ত্র তত্ত্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে।’
গত এপ্রিলে এই পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ছিল সাধারণ দিনে মাত্র ২০ হাজার, যদিও সাপ্তাহিক ছুটিকে এর চাহিদা ছিল দ্বিগুণ।
এই পত্রিকায় সর্বশেষ হাইপ্রোফাইল যাঁদের সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা ও রাজনীতিক আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার। এ ছাড়া রয়েছেন অস্ট্রিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর ফ্রাঞ্জ ভ্রানিটজকি এবং উলফগ্যাং শুসেল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জোরোভা অস্ট্রিয়ান বার্তা সংস্থা এপিএকে বলেন, বর্তমান সংবাদপত্রের ‘অবস্থা নিয়ে খুশি নন’। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, উইনার জাইটুং বছরের পর বছর ধরে মানুষকে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি ভালো ভূমিকা রেখে এসেছে।’
তিন শতকের দীর্ঘ সময়ে সংবাদপত্রটি শুধু একটিবার ছাপা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। অস্ট্রিয়া হিটলারের জার্মানিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ১৯৩৯ সালে নাৎসিরা কাগজটি বন্ধ করে দেয়। ১৯৪৫ সালে অস্ট্রিয়া যখন মিত্রদের দখলে তখন এটি আবার মুদ্রণ শুরু করে।
উইনার জাইটংয়ের মুদ্রণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এখন ছাপা সংস্করণে টিকে থাকা বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদপত্রটি হলো জার্মান প্রকাশনা হিলডেসহাইমার অ্যালগেমেইনে জাইটুং। ১৭০৫ সালে এই পত্রিকার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
৪ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৬ ঘণ্টা আগে