অনলাইন ডেস্ক
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক আগের দিন ভোটের গতিপ্রকৃতি কেমন হতে পারে তা নিয়ে জরিপ প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি আর জায়গা হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
দ্য গার্ডিয়ানের জরিপ অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার তথা ২ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বেছে নেওয়া পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার, যা লেবার পার্টির প্রায় অর্ধেক।
লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির বাইরে বড় একটি অংশের ব্রিটিশ ভোটার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই দলের পক্ষে মত দিয়েছেন ১১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার। বিপরীতে রিফর্ম ইউকে পার্টি ও গ্রিন পার্টির পক্ষে মত দিয়েছেন যথাক্রমে ১৬ ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার।
মজার ব্যাপার হলো, ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর থেকে বলা যায় লেবার পার্টির জনসমর্থন একই রয়েছে। যদিও কিঞ্চিৎ কমেছে, তবে সেটা খুব বেশি নয়। ২০২২ সালে লেবার পার্টির জনসমর্থন ছিল ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সেই সময়ে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন ছিল ৩২ দশমিক ২ শতাংশ। দুই বছরের ব্যবধানে দলটি প্রায় ১২ শতাংশ সমর্থন হারিয়েছে।
বলা যায়, কনজারভেটিভ পার্টির এই হারানো সমর্থনের পুরোটাই গেছে নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকের দখলে। ২০২২ সালে দলটির জনসমর্থন ছিল প্রায় আড়াই শতাংশ। চলতি বছরের ২ জুলাই নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে।
কোন দল কতটি আসন পেতে পারে জরিপের ভিত্তিতে তারও একটি সারমর্ম তৈরি করেছে দ্য গার্ডিয়ান। সংবাদমাধ্যমটি জরিপের ভিত্তিতে বলছে, বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টি পেতে পারে ৪২৮টি আসন এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে মাত্র ১২৭টি আসন।
অথচ ২০১৯ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি পেয়েছিল ২০৩টি আসন এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছিল ৩৬৫টি আসন। উল্লেখ্য, ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২৬টি আসন।
লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির বাইরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক (লিব ডেম) পার্টি পেতে পারে ৫০টি আসন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি পেতে পারে ১৯টি আসন। এর আগের নির্বাচনে লিব ডেম পেয়েছিল ১১টি এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছিল ৪৮টি আসন। এবারের নির্বাচনে বাদবাকি আসনগুলো অন্যদের দখলে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গার্ডিয়ানের জরিপে।
জরিপ অনুসারে এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হতে পারে। এই ভরাডুবির পেছনে মূল কারণ হতে পারে দলটির অভিজ্ঞ নেতাদের এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া। কনজারভেটিভ পার্টির রেকর্ড-সংখ্যক পুরোনো এমপি এবার আর লড়ছেন না।
বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ঋষি সুনাকের আকস্মিক নির্বাচন ঘোষণার বিষয়টি দলের অনেকেরই পছন্দ হয়নি। এই বিষয় নিয়েও অসন্তোষ আছে দলের ভেতরে। এ ছাড়া দলের ভেতরে শৃঙ্খলার অভাব, সততার অভাব ইত্যাদি বিষয়ও দলটির নির্বাচনী যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
নির্বাচনী প্রচারেও নিষ্প্রভ ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। মূলত ঋষি সুনাকই এর জন্য বেশির ভাগ দায়ী। তিনি নিজেও নির্বাচনী প্রচারণায় খুব একটা ক্যারিশমা দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মোকাবিলা করতে দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি, তা হলো অর্থনীতি।
লেবার পার্টি যেখানে অর্থনৈতিক সংস্কার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে তাদের করণীয় অনেকটাই স্পষ্টভাবে হাজির করেছে তরুণ ভোটারদের সামনে, সেখানে এ ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। আর এসব কারণই মূলত দলটিকে ভরাডুবির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক আগের দিন ভোটের গতিপ্রকৃতি কেমন হতে পারে তা নিয়ে জরিপ প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফিরতে যাচ্ছে লেবার পার্টি আর জায়গা হারাচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।
দ্য গার্ডিয়ানের জরিপ অনুসারে, গতকাল মঙ্গলবার তথা ২ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে বেছে নেওয়া পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটার, যা লেবার পার্টির প্রায় অর্ধেক।
লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির বাইরে বড় একটি অংশের ব্রিটিশ ভোটার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে বেছে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এই দলের পক্ষে মত দিয়েছেন ১১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার। বিপরীতে রিফর্ম ইউকে পার্টি ও গ্রিন পার্টির পক্ষে মত দিয়েছেন যথাক্রমে ১৬ ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার।
মজার ব্যাপার হলো, ২০২২ সালের জুলাইয়ের পর থেকে বলা যায় লেবার পার্টির জনসমর্থন একই রয়েছে। যদিও কিঞ্চিৎ কমেছে, তবে সেটা খুব বেশি নয়। ২০২২ সালে লেবার পার্টির জনসমর্থন ছিল ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সেই সময়ে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন ছিল ৩২ দশমিক ২ শতাংশ। দুই বছরের ব্যবধানে দলটি প্রায় ১২ শতাংশ সমর্থন হারিয়েছে।
বলা যায়, কনজারভেটিভ পার্টির এই হারানো সমর্থনের পুরোটাই গেছে নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকের দখলে। ২০২২ সালে দলটির জনসমর্থন ছিল প্রায় আড়াই শতাংশ। চলতি বছরের ২ জুলাই নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে।
কোন দল কতটি আসন পেতে পারে জরিপের ভিত্তিতে তারও একটি সারমর্ম তৈরি করেছে দ্য গার্ডিয়ান। সংবাদমাধ্যমটি জরিপের ভিত্তিতে বলছে, বর্তমান বিরোধী দল লেবার পার্টি পেতে পারে ৪২৮টি আসন এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে মাত্র ১২৭টি আসন।
অথচ ২০১৯ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি পেয়েছিল ২০৩টি আসন এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছিল ৩৬৫টি আসন। উল্লেখ্য, ৬৫০ আসনের পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩২৬টি আসন।
লেবার ও কনজারভেটিভ পার্টির বাইরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক (লিব ডেম) পার্টি পেতে পারে ৫০টি আসন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি পেতে পারে ১৯টি আসন। এর আগের নির্বাচনে লিব ডেম পেয়েছিল ১১টি এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছিল ৪৮টি আসন। এবারের নির্বাচনে বাদবাকি আসনগুলো অন্যদের দখলে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে গার্ডিয়ানের জরিপে।
জরিপ অনুসারে এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হতে পারে। এই ভরাডুবির পেছনে মূল কারণ হতে পারে দলটির অভিজ্ঞ নেতাদের এবারের নির্বাচনে অংশ না নেওয়া। কনজারভেটিভ পার্টির রেকর্ড-সংখ্যক পুরোনো এমপি এবার আর লড়ছেন না।
বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ঋষি সুনাকের আকস্মিক নির্বাচন ঘোষণার বিষয়টি দলের অনেকেরই পছন্দ হয়নি। এই বিষয় নিয়েও অসন্তোষ আছে দলের ভেতরে। এ ছাড়া দলের ভেতরে শৃঙ্খলার অভাব, সততার অভাব ইত্যাদি বিষয়ও দলটির নির্বাচনী যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
নির্বাচনী প্রচারেও নিষ্প্রভ ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। মূলত ঋষি সুনাকই এর জন্য বেশির ভাগ দায়ী। তিনি নিজেও নির্বাচনী প্রচারণায় খুব একটা ক্যারিশমা দেখাতে পারেননি। এ ছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মোকাবিলা করতে দিকনির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি, তা হলো অর্থনীতি।
লেবার পার্টি যেখানে অর্থনৈতিক সংস্কার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে তাদের করণীয় অনেকটাই স্পষ্টভাবে হাজির করেছে তরুণ ভোটারদের সামনে, সেখানে এ ধরনের কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। আর এসব কারণই মূলত দলটিকে ভরাডুবির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
২ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে বিস্ময়করভাবে ২০ ডেসিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যত টাকা আছে সব একসঙ্গে করা হলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে না।
৩ ঘণ্টা আগে