অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ জার্মানিতে একটি গণকবরের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। এটি এখন পর্যন্ত খনন করা ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবর হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
নুরেমবার্গ শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই গণকবরটিতে প্লেগে মারা যাওয়া মানুষের এক হাজারের মতো কঙ্কাল পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা দেড় হাজারের বেশি মানুষকে সমাধিস্থ করা হয় এখানে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির সূত্রে এ তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
শহরে নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের আগে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের সময় এ গণকবর আবিষ্কৃত হয়।
নুরেমবার্গের হেরিটেজ সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা বিভাগের মেলানি ল্যাংবেইন সিএনএনকে জানান, প্লেগে আক্রান্তদের সমাধিস্থ করতে ব্যবহার করা আটটি গর্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটিতে কয়েক শ মৃতদেহ রয়েছে।
‘এই লোকেদের সাধারণ গোরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়নি।’ বলেন ল্যাংবেইন, ‘এর অর্থ হলো বিপুলসংখ্যক মৃত লোক যাদের খ্রিষ্টানদের রীতি-নীতি বা প্রথার কথা বিবেচনা না করেই অল্প সময়ের মধ্যে সমাধিস্থ করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।’
ল্যাংবেইন মনে করেন এ ধরনের গণকবরের সবচেয়ে যুক্তসংগত ব্যাখ্যা, কোনো মহামারি যেমন প্লেগে এদের মৃত্যু হয়েছে।
১৪ শতক থেকে নুরেমবার্গ প্রায় প্রতি ১০ বছরে প্লেগের প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়। এটিই এই গণকবরের তারিখ নির্ধারণ কঠিন করে তুলেছে বলে মনে করেন ল্যাংবেইন।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা চৌদ্দ শতকের শেষ থেকে ষোলো দশকের গোড়ার সময়কার মধ্যকার একটি গণকবরের তারিখ নির্ধারণে রেডিও কার্বন ডেটিং ব্যবহার করেছিলেন। সেখানে সেই পরিসরের শেষ সময়কার মৃৎপাত্র ও মুদ্রার খণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়।
তারা ১৬৩৪ সালের একটি নোটও আবিষ্কার করেন। যাতে ১৬৩২-৩৩ সালে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় এমন একটি প্লেগ মহামারির বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ আছে। যেখানে বলা হয় প্রায় ২ হাজার লোককে সেন্ট সেবাস্টিয়ান স্পিটালের কাছে সমাহিত করা হয়েছিল। এটি বর্তমান খননের এলাকাই।
এই প্রমাণ দলটিকে এই উপসংহারে নিয়ে যায় যে নতুন আবিষ্কৃত দেহাবশেষগুলোর মধ্যে পুরোনোগুলো সম্ভবত ১৬৩২-৩৩ মহামারির সময়কালের।
জুলিয়ান ডেকার, যার প্রতিষ্ঠান ইন তেরা ভেরিতাস খননকাজ চালাচ্ছে, সিএনএনকে জানান তিনি এই আবিষ্কারে বিস্মিত হয়েছেন। গোড়ার দিকের কয়েকটি কঙ্কাল আবিষ্কারের পর তিনি ভেবেছিলেন এগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা বর্ষণে নিহতদের হতে পারে। ডেকার এখন বিশ্বাস করেন এখানে দেড় হাজারের বেশি মৃতদেহ আছে।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করি যে সংখ্যাটি দুই হাজার বা তারও বেশি হবে। যা এটিকে ইউরোপের বৃহত্তম গণকবরে পরিণত করবে।’ বলেন ডেকার।
ল্যাংবেইন সিএনএনকে বলেছিলেন, ১৬৩২-৩৩ সালের মহামারিটি আগের গুলির চেয়ে ভয়াবহ ছিল। এর পেছনে ভূমিকা রাখে থার্টি ইয়ারস ওয়ার বা ১৬১৮ থেকো ১৬৪৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধ।
‘নুরেমবার্গ বিভিন্ন সৈন্য দল দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল এবং এখানকার অধিবাসীরা বেশ ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বাস করছিল।’ বলেন তিনি।
এই গণকবরে সেই সময়ের সমাজের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা রয়েছে বলে জানান গবেষকেরা। অর্থাৎ সেখানকার অধিবাসীদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে এটি।
‘আমরা একটি প্রদর্শনীর পরিকল্পনাও করছি। তবে এতে কিছু সময় লাগবে। ২০২৫ সালের শরতে হয়তো প্রস্তুত হতে পারব আমরা।’ বলেন ল্যাংবেইন।
দক্ষিণ জার্মানিতে একটি গণকবরের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। এটি এখন পর্যন্ত খনন করা ইউরোপের সবচেয়ে বড় গণকবর হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
নুরেমবার্গ শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই গণকবরটিতে প্লেগে মারা যাওয়া মানুষের এক হাজারের মতো কঙ্কাল পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা দেড় হাজারের বেশি মানুষকে সমাধিস্থ করা হয় এখানে। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির সূত্রে এ তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
শহরে নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের আগে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের সময় এ গণকবর আবিষ্কৃত হয়।
নুরেমবার্গের হেরিটেজ সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা বিভাগের মেলানি ল্যাংবেইন সিএনএনকে জানান, প্লেগে আক্রান্তদের সমাধিস্থ করতে ব্যবহার করা আটটি গর্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটিতে কয়েক শ মৃতদেহ রয়েছে।
‘এই লোকেদের সাধারণ গোরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়নি।’ বলেন ল্যাংবেইন, ‘এর অর্থ হলো বিপুলসংখ্যক মৃত লোক যাদের খ্রিষ্টানদের রীতি-নীতি বা প্রথার কথা বিবেচনা না করেই অল্প সময়ের মধ্যে সমাধিস্থ করা জরুরি হয়ে পড়েছিল।’
ল্যাংবেইন মনে করেন এ ধরনের গণকবরের সবচেয়ে যুক্তসংগত ব্যাখ্যা, কোনো মহামারি যেমন প্লেগে এদের মৃত্যু হয়েছে।
১৪ শতক থেকে নুরেমবার্গ প্রায় প্রতি ১০ বছরে প্লেগের প্রাদুর্ভাবের শিকার হয়। এটিই এই গণকবরের তারিখ নির্ধারণ কঠিন করে তুলেছে বলে মনে করেন ল্যাংবেইন।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা চৌদ্দ শতকের শেষ থেকে ষোলো দশকের গোড়ার সময়কার মধ্যকার একটি গণকবরের তারিখ নির্ধারণে রেডিও কার্বন ডেটিং ব্যবহার করেছিলেন। সেখানে সেই পরিসরের শেষ সময়কার মৃৎপাত্র ও মুদ্রার খণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়।
তারা ১৬৩৪ সালের একটি নোটও আবিষ্কার করেন। যাতে ১৬৩২-৩৩ সালে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায় এমন একটি প্লেগ মহামারির বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ আছে। যেখানে বলা হয় প্রায় ২ হাজার লোককে সেন্ট সেবাস্টিয়ান স্পিটালের কাছে সমাহিত করা হয়েছিল। এটি বর্তমান খননের এলাকাই।
এই প্রমাণ দলটিকে এই উপসংহারে নিয়ে যায় যে নতুন আবিষ্কৃত দেহাবশেষগুলোর মধ্যে পুরোনোগুলো সম্ভবত ১৬৩২-৩৩ মহামারির সময়কালের।
জুলিয়ান ডেকার, যার প্রতিষ্ঠান ইন তেরা ভেরিতাস খননকাজ চালাচ্ছে, সিএনএনকে জানান তিনি এই আবিষ্কারে বিস্মিত হয়েছেন। গোড়ার দিকের কয়েকটি কঙ্কাল আবিষ্কারের পর তিনি ভেবেছিলেন এগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা বর্ষণে নিহতদের হতে পারে। ডেকার এখন বিশ্বাস করেন এখানে দেড় হাজারের বেশি মৃতদেহ আছে।
‘আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করি যে সংখ্যাটি দুই হাজার বা তারও বেশি হবে। যা এটিকে ইউরোপের বৃহত্তম গণকবরে পরিণত করবে।’ বলেন ডেকার।
ল্যাংবেইন সিএনএনকে বলেছিলেন, ১৬৩২-৩৩ সালের মহামারিটি আগের গুলির চেয়ে ভয়াবহ ছিল। এর পেছনে ভূমিকা রাখে থার্টি ইয়ারস ওয়ার বা ১৬১৮ থেকো ১৬৪৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সংঘটিত বিভিন্ন যুদ্ধ।
‘নুরেমবার্গ বিভিন্ন সৈন্য দল দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল এবং এখানকার অধিবাসীরা বেশ ভয়ংকর পরিস্থিতিতে বাস করছিল।’ বলেন তিনি।
এই গণকবরে সেই সময়ের সমাজের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা রয়েছে বলে জানান গবেষকেরা। অর্থাৎ সেখানকার অধিবাসীদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেবে এটি।
‘আমরা একটি প্রদর্শনীর পরিকল্পনাও করছি। তবে এতে কিছু সময় লাগবে। ২০২৫ সালের শরতে হয়তো প্রস্তুত হতে পারব আমরা।’ বলেন ল্যাংবেইন।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে নামা হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। এবার দ্বিতীয় মেয়াদেও ২০২৪ সালে নারী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। গত নভেম্বরে নির্বাচন ও এর আগে নির্বাচনী প্রচারণায়...
১৭ মিনিট আগেগাজায় স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র দানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়নি এবং গাজায় এখনো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার..
১ ঘণ্টা আগেআফ্রিকার ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী দেশ মরোক্কো ৩০ লাখ বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের পরিকল্পনা করেছে। মূলত মরক্কো ২০৩০ সালে স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে মিলে ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজন করবে। আর এ লক্ষ্যেই সম্প্রতি দেশটি ঘোষণা করেছে, তারা পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে এবং শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ৩০ লাখ পর্যন্ত বেওয়ারিশ কুকুর...
১ ঘণ্টা আগেগাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিল স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বা বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায়। হামাস যতক্ষণ প্রথম ধাপে যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের তালিকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এই অবস্থায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে...
১ ঘণ্টা আগে