আজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে তাঁর দেশের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন। ওই সময় এক আবেগঘন ভাষণে তিনি রুশ দার্শনিক ইভান আইয়িনকে সার্বিকভাবে পশ্চিমা শক্তি এবং বিশেষভাবে মার্কিন আধিপত্যবিরোধী বৈশ্বিক লড়াইয়ের একজন নায়ক বলে উল্লেখ করেন। এ বৈশ্বিক লড়াইয়ে তাঁর মিত্রদেরও জোরালো সমর্থন চেয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে এখন মিত্ররা ক্রমেই দূরত্ব বজায় রেখে চলছে রাশিয়ার কাছ থেকে। এই প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কি তাহলে পুতিন একা হয়ে পড়ছেন?
আল-জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পুতিনের অন্যায্য সম্প্রসারণ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনীয় সেনারা দোনেৎস্কের লাইম্যান শহর পুনর্দখল করে নিয়েছেন। তার এক সপ্তাহ পর গত শনিবার রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একমাত্র রেল সেতুটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক ট্রাক বিস্ফোরণে। কের্চ সেতু নামে পরিচিত এ সেতুটি অন্য যেকোনো অবকাঠামোর তুলনায় সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রচার করত ক্রেমলিন। এসব ঘটনায় পুতিনের যুদ্ধ পরিকল্পনা যেমন হোঁচট খাচ্ছে, আবার রাশিয়া এবং তার মিত্ররাও পড়ছে চাপের মুখে।
আল-জাজিরায় ম্যাক্সিমিলিয়ান হেসের ওই বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, আগে রাশিয়া যেসব দেশকে মিত্র ভেবেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে যারা ‘নতি’ স্বীকার না করার এবং ‘রাশিয়াকে সহযোগিতার যৌক্তিক পছন্দ’ বেছে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা মনে হয় ক্রেমলিনের সঙ্গে থাকতে আর খুব একটা আগ্রহী নয়।
সরকারবিরোধী ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পড়া ইরানের উদাহরণ দিয়ে বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান সরকার। একই কারণে তারা রাশিয়ার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রাখার নীতি নিয়েছে। আরেক বড় শক্তি চীনও এখন রাশিয়ার যুদ্ধ প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখছে। মার্কিন ডলার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার অবসানের লক্ষ্যে পুতিনের প্রয়াসে যুক্ত হতেও আর কোনো আগ্রহ নেই চীনের। পুতিন যেখানে বিরাজমান পুরো ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে আগ্রহী, সেখানে চীনের লক্ষ্য বরং মূল প্রভাবক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে ওই ব্যবস্থায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করার। ফলে ‘সম্প্রসারিত’ ভূখণ্ডে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি বেইজিংয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
অন্যদিকে নিজস্ব কিছু ইস্যু নিয়ে পশ্চিমের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও এখন রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলার চিন্তা করছেন। পুতিনের দেওয়া বক্তৃতার এক দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফটের বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার এমআইআর ব্যবস্থায় লেনদেনে আর উৎসাহী নয় তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন দাবি করে আঙ্কারা পুতিনের ‘সম্প্রসারণ’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন একা হয়ে পড়ছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে তাঁর দেশের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন। ওই সময় এক আবেগঘন ভাষণে তিনি রুশ দার্শনিক ইভান আইয়িনকে সার্বিকভাবে পশ্চিমা শক্তি এবং বিশেষভাবে মার্কিন আধিপত্যবিরোধী বৈশ্বিক লড়াইয়ের একজন নায়ক বলে উল্লেখ করেন। এ বৈশ্বিক লড়াইয়ে তাঁর মিত্রদেরও জোরালো সমর্থন চেয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পশ্চিমা দেশগুলোর চাপে এখন মিত্ররা ক্রমেই দূরত্ব বজায় রেখে চলছে রাশিয়ার কাছ থেকে। এই প্রেক্ষাপটে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কি তাহলে পুতিন একা হয়ে পড়ছেন?
আল-জাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, পুতিনের অন্যায্য সম্প্রসারণ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনীয় সেনারা দোনেৎস্কের লাইম্যান শহর পুনর্দখল করে নিয়েছেন। তার এক সপ্তাহ পর গত শনিবার রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একমাত্র রেল সেতুটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক ট্রাক বিস্ফোরণে। কের্চ সেতু নামে পরিচিত এ সেতুটি অন্য যেকোনো অবকাঠামোর তুলনায় সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রচার করত ক্রেমলিন। এসব ঘটনায় পুতিনের যুদ্ধ পরিকল্পনা যেমন হোঁচট খাচ্ছে, আবার রাশিয়া এবং তার মিত্ররাও পড়ছে চাপের মুখে।
আল-জাজিরায় ম্যাক্সিমিলিয়ান হেসের ওই বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, আগে রাশিয়া যেসব দেশকে মিত্র ভেবেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে যারা ‘নতি’ স্বীকার না করার এবং ‘রাশিয়াকে সহযোগিতার যৌক্তিক পছন্দ’ বেছে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা মনে হয় ক্রেমলিনের সঙ্গে থাকতে আর খুব একটা আগ্রহী নয়।
সরকারবিরোধী ব্যাপক আন্দোলনের মুখে পড়া ইরানের উদাহরণ দিয়ে বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইরান সরকার। একই কারণে তারা রাশিয়ার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রাখার নীতি নিয়েছে। আরেক বড় শক্তি চীনও এখন রাশিয়ার যুদ্ধ প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখছে। মার্কিন ডলার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থার অবসানের লক্ষ্যে পুতিনের প্রয়াসে যুক্ত হতেও আর কোনো আগ্রহ নেই চীনের। পুতিন যেখানে বিরাজমান পুরো ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে আগ্রহী, সেখানে চীনের লক্ষ্য বরং মূল প্রভাবক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে ওই ব্যবস্থায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করার। ফলে ‘সম্প্রসারিত’ ভূখণ্ডে রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রতি বেইজিংয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
অন্যদিকে নিজস্ব কিছু ইস্যু নিয়ে পশ্চিমের সঙ্গে বিরোধে জড়ানো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানও এখন রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলার চিন্তা করছেন। পুতিনের দেওয়া বক্তৃতার এক দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফটের বিকল্প হিসেবে রাশিয়ার এমআইআর ব্যবস্থায় লেনদেনে আর উৎসাহী নয় তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন দাবি করে আঙ্কারা পুতিনের ‘সম্প্রসারণ’ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন একা হয়ে পড়ছেন।
ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানী ইসলামাবাদে প্রবেশ করেছে পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাজারো সমর্থক। আজ মঙ্গলবার সকালেই রাজধানীর চারপাশে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে ইসলামাবাদে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এবং ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
১৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের প্রচেষ্টা সংক্রান্ত মামলাটি বাতিল করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালত এই মামলা বাতিল করে গতকাল সোমবার। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশের স্থাপন করা ব্যারিকেড ভেঙে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ঢুকে পড়েছে ইমরান খানের সমর্থকেরা। তারা ঢুকে পড়ার পরপরই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তাঁর সমর্থকেরা আজ মঙ্গলবার
৩ ঘণ্টা আগেগুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল—মুসলিম ভোটের বিভাজন। যার ফলে, রাজ্য বিধানসভার মুসলিম অধ্যুষিত ৩৮টি আসনের একটি বড় অংশকেই শাসক জোটকে পকেটে পুরতে সহায়তা করেছে
৩ ঘণ্টা আগে