
ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাফতোগ্যাজ ও গ্যাজপ্রমের মধ্যকার চুক্তির শেষ দিন ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তাঁর দেশ আর নিজ ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়ার সুবিধা দেবে না।
ইউক্রেন আগে থেকেই সতর্ক করেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সামরিক সংঘাতের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রানজিট চুক্তি তারা নবায়ন করবে না। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান গালুশচেঙ্কো বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করেছি। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। রাশিয়া তার বাজার হারাচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইউরোপ এরই মধ্যে রাশিয়ার গ্যাস আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গতকাল বুধবার মস্কো সময় সকাল ৮টা থেকে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বারবার এবং স্পষ্টভাবে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে, গ্যাজপ্রম প্রযুক্তিগত এবং আইনি দিক থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’
রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে স্লোভাকিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে সরবরাহ করে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়া বন্ধ হলেও এই বিষয়টিকে বড় করে দেখতে নারাজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, ‘কমিশন প্রায় এক বছর ধরে এমন একটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
তবে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এর মূল্য দিতে হবে ইউরোপকেই।’ এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের মাধ্যমে গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করা আমাদের ইইউয়ের সবার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলবে, রাশিয়ান ফেডারেশনের ওপর নয়।’
ইউক্রেনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হতে পারে তা আগাম ধারণা করেই গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফর করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচক ফিকো।
এদিকে, অন্য এক অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে গ্যাজপ্রম আগেই জানায় যে তারা মলদোভায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে। এই অবস্থায় চিসিনাউ (মলদোভার রাজধানী) জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, বিচ্ছিন্ন রুশপন্থী অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়া গতকাল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।
মলদোভার সরকারের মুখপাত্র দানিয়েল ভোদা বলেছেন, ‘ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ব্ল্যাকমেল বন্ধ করতে হবে।’ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শীতপ্রধান ওই অঞ্চল বাড়িঘর উষ্ণ রাখারা যে ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এই অবস্থায় মলদোভার জ্বালানি সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান সেখানকার বাসিন্দাদের ‘গরম পোশাক পরতে’, ‘এক কামরায় একত্রিত হতে, দরজা-জানালা পর্দা এবং কম্বল দিয়ে বন্ধ করতে এবং ঘরোয়া তাপ উৎপাদনকারী ব্যবস্থার সহায়তা নিতে বলেছে।’
কিয়েভ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জোনাহ হাল বলেছেন, ‘এটি ইইউ জ্বালানি বাজারে রাশিয়ার প্রভাবের অবসান ঘটিয়েছে। অতীতে রাশিয়া এই প্রভাব ব্যবহার করে বেশি দাম আদায় করত বা শীতকালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের খরচও বাড়িয়েছে। কারণ, তারা অধিক ব্যয়বহুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ব্লকের অর্থনৈতিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এর অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই ট্রানজিট বন্ধ হওয়ার ফলে মস্কো তাদের সবচেয়ে লাভজনক এবং ভৌগোলিকভাবে সহজলভ্য গ্যাস বাজার হারাবে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া অংশীদারদের প্রতি নির্মম ব্ল্যাকমেলের পথ বেছে নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইইউ রাশিয়ার জ্বালানি-নির্ভরতা কমানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছে এবং বিকল্প উৎস খুঁজে পেয়েছে। ২০২০ সালে পাঁচ বছরের সর্বশেষ চুক্তি শুরু হওয়ার সময় ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ইইউতে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে এটি ১৪ বিলিয়ন ঘনমিটারে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, এই পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং রাশিয়াবিহীন পাইপলাইন আমদানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
রাশিয়া এখনো কৃষ্ণসাগরের তলদেশে তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস রপ্তানি করছে। রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হাঙ্গেরি কৃষ্ণসাগরের পাইপলাইনের মাধ্যমে তাদের বেশির ভাগ রাশিয়ান গ্যাস আমদানি করে। ফলে ইউক্রেনের সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে বুদাপেস্ট অনেকটাই রক্ষা পাবে।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাফতোগ্যাজ ও গ্যাজপ্রমের মধ্যকার চুক্তির শেষ দিন ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার আগেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, তাঁর দেশ আর নিজ ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়ার সুবিধা দেবে না।
ইউক্রেন আগে থেকেই সতর্ক করেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সামরিক সংঘাতের মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি ট্রানজিট চুক্তি তারা নবায়ন করবে না। এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী হারমান গালুশচেঙ্কো বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করেছি। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। রাশিয়া তার বাজার হারাচ্ছে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ইউরোপ এরই মধ্যে রাশিয়ার গ্যাস আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্ট গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গতকাল বুধবার মস্কো সময় সকাল ৮টা থেকে ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বারবার এবং স্পষ্টভাবে এই চুক্তি নবায়নের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে, গ্যাজপ্রম প্রযুক্তিগত এবং আইনি দিক থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’
রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ড দিয়ে স্লোভাকিয়া, মলদোভা, হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে সরবরাহ করে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে যাওয়া বন্ধ হলেও এই বিষয়টিকে বড় করে দেখতে নারাজ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, ‘কমিশন প্রায় এক বছর ধরে এমন একটি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে।’
তবে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এর মূল্য দিতে হবে ইউরোপকেই।’ এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের মাধ্যমে গ্যাস ট্রানজিট বন্ধ করা আমাদের ইইউয়ের সবার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলবে, রাশিয়ান ফেডারেশনের ওপর নয়।’
ইউক্রেনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হতে পারে তা আগাম ধারণা করেই গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফর করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচক ফিকো।
এদিকে, অন্য এক অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে গ্যাজপ্রম আগেই জানায় যে তারা মলদোভায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করবে। এই অবস্থায় চিসিনাউ (মলদোভার রাজধানী) জ্বালানি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। দেশটির সরকার বলেছে, বিচ্ছিন্ন রুশপন্থী অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়া গতকাল গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।
মলদোভার সরকারের মুখপাত্র দানিয়েল ভোদা বলেছেন, ‘ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ব্ল্যাকমেল বন্ধ করতে হবে।’ স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শীতপ্রধান ওই অঞ্চল বাড়িঘর উষ্ণ রাখারা যে ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এই অবস্থায় মলদোভার জ্বালানি সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান সেখানকার বাসিন্দাদের ‘গরম পোশাক পরতে’, ‘এক কামরায় একত্রিত হতে, দরজা-জানালা পর্দা এবং কম্বল দিয়ে বন্ধ করতে এবং ঘরোয়া তাপ উৎপাদনকারী ব্যবস্থার সহায়তা নিতে বলেছে।’
কিয়েভ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক জোনাহ হাল বলেছেন, ‘এটি ইইউ জ্বালানি বাজারে রাশিয়ার প্রভাবের অবসান ঘটিয়েছে। অতীতে রাশিয়া এই প্রভাব ব্যবহার করে বেশি দাম আদায় করত বা শীতকালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিত।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের খরচও বাড়িয়েছে। কারণ, তারা অধিক ব্যয়বহুল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে ব্লকের অর্থনৈতিক উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এর অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এই ট্রানজিট বন্ধ হওয়ার ফলে মস্কো তাদের সবচেয়ে লাভজনক এবং ভৌগোলিকভাবে সহজলভ্য গ্যাস বাজার হারাবে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া অংশীদারদের প্রতি নির্মম ব্ল্যাকমেলের পথ বেছে নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইইউ রাশিয়ার জ্বালানি-নির্ভরতা কমানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করেছে এবং বিকল্প উৎস খুঁজে পেয়েছে। ২০২০ সালে পাঁচ বছরের সর্বশেষ চুক্তি শুরু হওয়ার সময় ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ইইউতে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সরবরাহ করা হতো। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের হিসাবে এটি ১৪ বিলিয়ন ঘনমিটারে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, এই পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং রাশিয়াবিহীন পাইপলাইন আমদানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
রাশিয়া এখনো কৃষ্ণসাগরের তলদেশে তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস রপ্তানি করছে। রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হাঙ্গেরি কৃষ্ণসাগরের পাইপলাইনের মাধ্যমে তাদের বেশির ভাগ রাশিয়ান গ্যাস আমদানি করে। ফলে ইউক্রেনের সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে বুদাপেস্ট অনেকটাই রক্ষা পাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে তিনি তরুণ পুরুষদের জন্য ট্রাম্প ও ভ্যান্সকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিনাজের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘ফরচুন’ জানিয়েছে, এই সম্মেলনটি প্রয়াত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজন করা হয়। মঞ্চে নিকি মিনাজের সাক্ষাৎকার নেন চার্লি কার্কের স্ত্রী ও বর্তমানে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর নেতৃত্বে থাকা অ্যারিকা কার্ক। আলোচনায় ট্রাম্পের প্রতি নতুন সমর্থনের কথা জানান মিনাজ—যদিও অতীতে তিনি ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতারও নিন্দা জানান।
মিনাজ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের দেওয়া ‘নিউ-স্কাম’ নামটি ব্যবহার করেন। বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন—বর্তমান প্রশাসনে হৃদয় ও আত্মা আছে এবং ট্রাম্প ও ভ্যান্স দুজনই এমন নেতা, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায়।
এদিকে মঞ্চে এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন ভ্যান্সের রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করতে গিয়ে মিনাজ তাঁকে ‘অ্যাসাসিন’ বলে ফেলেন। কথাটি বলার পরই তিনি থেমে যান এবং পরিস্থিতি কিছুটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শব্দটি উপস্থিত অনেকের মনে আঘাত দেয়।
সম্প্রতি মিনাজ ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতন সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, যেখানে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘে মার্কিন মিশনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নেন।
নিজের পরিবর্তিত অবস্থান নিয়ে মিনাজ বলেন, ‘মত বদলানো দোষের নয়—মনের কথা বলাই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে গেছে।’ বিনোদন জগৎ থেকে সমালোচনার প্রসঙ্গে জানান, তিনি এসব নিয়ে ভাবেন না। একসময় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির তীব্র বিরোধিতা করা এই শিল্পী এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, তাঁর মত বদলানো ঠিকই আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে তিনি তরুণ পুরুষদের জন্য ট্রাম্প ও ভ্যান্সকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে উল্লেখ করেন। মিনাজের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ চমক সৃষ্টি করেছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ‘ফরচুন’ জানিয়েছে, এই সম্মেলনটি প্রয়াত রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্কের স্মরণে আয়োজন করা হয়। মঞ্চে নিকি মিনাজের সাক্ষাৎকার নেন চার্লি কার্কের স্ত্রী ও বর্তমানে টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর নেতৃত্বে থাকা অ্যারিকা কার্ক। আলোচনায় ট্রাম্পের প্রতি নতুন সমর্থনের কথা জানান মিনাজ—যদিও অতীতে তিনি ট্রাম্পের কঠোর সমালোচক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর সহিংসতারও নিন্দা জানান।
মিনাজ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের দেওয়া ‘নিউ-স্কাম’ নামটি ব্যবহার করেন। বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন—বর্তমান প্রশাসনে হৃদয় ও আত্মা আছে এবং ট্রাম্প ও ভ্যান্স দুজনই এমন নেতা, যাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহজে নিজেদের মিল খুঁজে পায়।
এদিকে মঞ্চে এক অস্বস্তিকর মুহূর্ত তৈরি হয়, যখন ভ্যান্সের রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করতে গিয়ে মিনাজ তাঁকে ‘অ্যাসাসিন’ বলে ফেলেন। কথাটি বলার পরই তিনি থেমে যান এবং পরিস্থিতি কিছুটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় শব্দটি উপস্থিত অনেকের মনে আঘাত দেয়।
সম্প্রতি মিনাজ ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতন সংক্রান্ত একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন, যেখানে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। এ নিয়ে তিনি জাতিসংঘে মার্কিন মিশনে আয়োজিত এক প্যানেল আলোচনাতেও অংশ নেন।
নিজের পরিবর্তিত অবস্থান নিয়ে মিনাজ বলেন, ‘মত বদলানো দোষের নয়—মনের কথা বলাই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ হয়ে গেছে।’ বিনোদন জগৎ থেকে সমালোচনার প্রসঙ্গে জানান, তিনি এসব নিয়ে ভাবেন না। একসময় ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির তীব্র বিরোধিতা করা এই শিল্পী এখন প্রকাশ্যেই বলছেন, তাঁর মত বদলানো ঠিকই আছে।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘এই বিভীষিকা আমি কখনো ভুলতে পারব না’—বলছিলেন হাদিল আল ঘেরবাওয়ি। ২৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নারী গাজা যুদ্ধে চরম ক্ষুধা, ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই দুটি গর্ভধারণ ও দুবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন। গাজা সিটির পূর্বাংশে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে বসবাস করায় যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনই তিনি গাজার পশ্চিম অংশে বসবাস করা বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। হাদিল ভেবেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু এরপর পরিবারটি অন্তত ১৩ বার বাস্তুচ্যুত হয় এবং স্বামীর বাড়িটিও একদিন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসেই গাজা সিটিতে একটি আবাসিক ভবনে বড় ধরনের হামলার কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন হাদিল। তাঁর কাছে এটিকে একটি ভূমিকম্প মনে হয়েছিল। পরে আশ্রয় নেন আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানে অন্যান্য আশ্রয়প্রার্থীর ভিড় এত বেশি ছিল যে, বাথরুম ব্যবহার করাও প্রায় অসম্ভব ছিল। সেদিনের দৃশ্য আজও তাড়া করে ফেরে হাদিলকে। স্তূপ করে রাখা লাশ, ড্রামে রাখা খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আর তীব্র গন্ধ। তিনি বলেন, ‘আমি গর্ভবতী ছিলাম, সহ্য করতে পারিনি।’
অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে—নিরাপত্তার আশায় এবার তিনি ও তাঁর স্বামী খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকদের কাছে আগেভাগেই সন্তান প্রসবের অনুরোধ করেন। হাদিল যখন সন্তান প্রসব করছিলেন, তখন হাসপাতালটির পাশের ভবনেই হামলা হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশৃঙ্খল এই পরিস্থিতিতে সন্তান বদলে যাওয়ার আতঙ্কও গ্রাস করেছিল হাদিলকে। তবে আতঙ্কের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত তিনি ছেলে জাওয়াদের জন্ম দেন।
নবজাতক নিয়ে হাদিলকে ৩০ জনের সঙ্গে একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়েছিল। সেই সময়টিতে সেলাইয়ের তীব্র ব্যথার মধ্যেও তিনি কোনো ওষুধ পাননি; রাতের পর রাত চুপচাপ এই ব্যথা সহ্য করেছেন। তাঁর ধারণা, প্রসবের পর তিনি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর তাঁরা একটি তাঁবুতে ওঠেন। বালু, পোকামাকড় আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় একের পর এক নবজাতকের মৃত্যুর খবরে সারাক্ষণ আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন হাদিল। রাতে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বারবার জেগে উঠতেন। জাওয়াদের বয়স ৯ মাস হলে আবারও গর্ভবতী হন তিনি। হাদিল বলেন, ‘তাঁবুতে থেকে আরেকটি সন্তান—ভীষণ ধাক্কা খেয়েছিলাম।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির খবর কিছুটা আশা জাগিয়েছিল তাঁদের। সেই আশা থেকেই ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পরই ভেঙে যায় যুদ্ধবিরতি। পেটে সন্তান নিয়ে আবারও পালাতে হয় হাদিলকে। পালানোর পর তাঁদের বাড়িটিও ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধের মধ্যে দ্বিতীয় গর্ভধারণ হাদিলের জন্য ছিল সবচেয়ে কঠিন। এই সন্তান পেটে রাখার ৯ মাসই তাঁর যুদ্ধের মধ্যে কেটেছে। এমনও দিন গেছে, সারা দিন শুধু একটি শসা খেয়ে কাটিয়েছেন। আর কোথাও এক মুঠো খাবার পেলে নিজের ভাগটুকু তিনি ছেলে জাওয়াদকে দিতেন।
দ্বিতীয়বার প্রসবের সময়ও তিনি বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কারণ ওই বাড়ি থেকে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নবজাতক সুরক্ষার জন্য ইনকিউবেটর ছিল। এক রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে, লিফট না থাকায় পাঁচ তলা থেকে হেঁটেই নামতে হয় হাদিলকে। পরে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন এবং ওই হাসপাতালে দ্বিতীয় ছেলে ফারেসের জন্ম দেন। জন্মের সময় ফারেসের ওজন ছিল মাত্র ২ কেজি।
এবারে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই সেলাই দেওয়া হয় হাদিলকে। আর অন্যকে সুযোগ করে দিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিছানা খালি করে তাঁকে চেয়ারে বসে থাকতে হয়। ফারেসের জন্মের পাঁচ ঘণ্টা পর, চরম ক্লান্তি ও ব্যথা নিয়ে তিনি আবার পাঁচ তলা সিঁড়ি বেয়ে বাবা-মায়ের ঘরে ফেরেন। এই যুদ্ধ, তাঁর শরীর ও মনে রেখে গেছে এমন ক্ষত—যা ভুলবার নয়।

‘এই বিভীষিকা আমি কখনো ভুলতে পারব না’—বলছিলেন হাদিল আল ঘেরবাওয়ি। ২৬ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি নারী গাজা যুদ্ধে চরম ক্ষুধা, ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যেই দুটি গর্ভধারণ ও দুবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন। গাজা সিটির পূর্বাংশে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে বসবাস করায় যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিনই তিনি গাজার পশ্চিম অংশে বসবাস করা বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। হাদিল ভেবেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাবেন। কিন্তু এরপর পরিবারটি অন্তত ১৩ বার বাস্তুচ্যুত হয় এবং স্বামীর বাড়িটিও একদিন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসেই গাজা সিটিতে একটি আবাসিক ভবনে বড় ধরনের হামলার কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন হাদিল। তাঁর কাছে এটিকে একটি ভূমিকম্প মনে হয়েছিল। পরে আশ্রয় নেন আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানে অন্যান্য আশ্রয়প্রার্থীর ভিড় এত বেশি ছিল যে, বাথরুম ব্যবহার করাও প্রায় অসম্ভব ছিল। সেদিনের দৃশ্য আজও তাড়া করে ফেরে হাদিলকে। স্তূপ করে রাখা লাশ, ড্রামে রাখা খণ্ড-বিখণ্ড অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আর তীব্র গন্ধ। তিনি বলেন, ‘আমি গর্ভবতী ছিলাম, সহ্য করতে পারিনি।’
অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে—নিরাপত্তার আশায় এবার তিনি ও তাঁর স্বামী খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকদের কাছে আগেভাগেই সন্তান প্রসবের অনুরোধ করেন। হাদিল যখন সন্তান প্রসব করছিলেন, তখন হাসপাতালটির পাশের ভবনেই হামলা হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশৃঙ্খল এই পরিস্থিতিতে সন্তান বদলে যাওয়ার আতঙ্কও গ্রাস করেছিল হাদিলকে। তবে আতঙ্কের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত তিনি ছেলে জাওয়াদের জন্ম দেন।
নবজাতক নিয়ে হাদিলকে ৩০ জনের সঙ্গে একটি কক্ষে গাদাগাদি করে থাকতে হয়েছিল। সেই সময়টিতে সেলাইয়ের তীব্র ব্যথার মধ্যেও তিনি কোনো ওষুধ পাননি; রাতের পর রাত চুপচাপ এই ব্যথা সহ্য করেছেন। তাঁর ধারণা, প্রসবের পর তিনি বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর তাঁরা একটি তাঁবুতে ওঠেন। বালু, পোকামাকড় আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় একের পর এক নবজাতকের মৃত্যুর খবরে সারাক্ষণ আচ্ছন্ন হয়ে থাকতেন হাদিল। রাতে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বারবার জেগে উঠতেন। জাওয়াদের বয়স ৯ মাস হলে আবারও গর্ভবতী হন তিনি। হাদিল বলেন, ‘তাঁবুতে থেকে আরেকটি সন্তান—ভীষণ ধাক্কা খেয়েছিলাম।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির খবর কিছুটা আশা জাগিয়েছিল তাঁদের। সেই আশা থেকেই ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পরই ভেঙে যায় যুদ্ধবিরতি। পেটে সন্তান নিয়ে আবারও পালাতে হয় হাদিলকে। পালানোর পর তাঁদের বাড়িটিও ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধের মধ্যে দ্বিতীয় গর্ভধারণ হাদিলের জন্য ছিল সবচেয়ে কঠিন। এই সন্তান পেটে রাখার ৯ মাসই তাঁর যুদ্ধের মধ্যে কেটেছে। এমনও দিন গেছে, সারা দিন শুধু একটি শসা খেয়ে কাটিয়েছেন। আর কোথাও এক মুঠো খাবার পেলে নিজের ভাগটুকু তিনি ছেলে জাওয়াদকে দিতেন।
দ্বিতীয়বার প্রসবের সময়ও তিনি বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কারণ ওই বাড়ি থেকে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নবজাতক সুরক্ষার জন্য ইনকিউবেটর ছিল। এক রাতে প্রসবব্যথা শুরু হলে, লিফট না থাকায় পাঁচ তলা থেকে হেঁটেই নামতে হয় হাদিলকে। পরে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন এবং ওই হাসপাতালে দ্বিতীয় ছেলে ফারেসের জন্ম দেন। জন্মের সময় ফারেসের ওজন ছিল মাত্র ২ কেজি।
এবারে অ্যানেসথেসিয়া ছাড়াই সেলাই দেওয়া হয় হাদিলকে। আর অন্যকে সুযোগ করে দিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিছানা খালি করে তাঁকে চেয়ারে বসে থাকতে হয়। ফারেসের জন্মের পাঁচ ঘণ্টা পর, চরম ক্লান্তি ও ব্যথা নিয়ে তিনি আবার পাঁচ তলা সিঁড়ি বেয়ে বাবা-মায়ের ঘরে ফেরেন। এই যুদ্ধ, তাঁর শরীর ও মনে রেখে গেছে এমন ক্ষত—যা ভুলবার নয়।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।
সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।
চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।
এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।
সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।
চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।
এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
২ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

ইউক্রেনের ভূখণ্ড হয়ে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। ইউক্রেনের গ্যাস ট্রানজিট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান নাফতোগ্যাজের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন রাশিয়াকে এই সুবিধা রাশিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট, ভ্লাদ
০২ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ আয়োজিত ‘আমেরিকাফেস্ট’ সম্মেলনে হঠাৎ উপস্থিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন মার্কিন র্যাপ তারকা নিকি মিনাজ।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর সময় হাদিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ হওয়ায় তিনি নিয়মিত ডাক্তার দেখাতেন, আলট্রাসাউন্ড করাতেন এবং ভিটামিন নিতেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
৪ ঘণ্টা আগে