Ajker Patrika

কাশ্মীরে জঙ্গি সন্দেহে পুলিশি নির্যাতন, যুবকের আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের পর এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে ওই যুবক একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করেন। যেখানে তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে নির্যাতন করে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাখন দিন (২৫) নামের ওই যুবক জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার বিলাওয়ার এলাকার আদিবাসী। মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিওতে মাখন দিন অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভয়ানক নির্যাতন করে। এরপর তাঁর কাছ থেকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি নেয়। এই অপমানেই তিনি আত্মহত্যা করছেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাঁরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।

কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনার পর পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মৃত্যুর আগে মাখন দিন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি আত্মহত্যা করছি, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন পুলিশের এমন নির্যাতনের শিকার না হয়।’ তিনি দাবি করেন, তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে জঙ্গি বা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এ ঘটনাকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

কাঠুয়ায় এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে পুঞ্চ জেলায় পুলিশের নির্যাতনের অভিযোগে মুকতার হুসেইন শাহ নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। তিনিও মৃত্যুর আগে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তা রেকর্ড করেন এবং নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

অন্যদিকে, কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার একটি চেকপোস্টে গাড়ি না থামানোর অভিযোগে চালককে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনা। এই হত্যার বিষয়ে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই চালককে বারবার গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গাড়ি থামাননি। পরে ২৩ কিলোমিটার ধাওয়া করে চালককে গুলি করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ দুটি ঘটনাকেই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত